করোনাভাইরাস যুগে পর্যটনের ভবিষ্যৎ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংককের রৌদ্রোজ্জ্বল দিন, দেশটির এই সময়টা পর্যটকদের জন্য বেশ প্রিয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায় ব্যাংককের জনপ্রিয় স্ট্রিট মার্কেটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

এই স্ট্রিট মার্কেটের একজন দোকানদার ক্লেটানা থাংওয়ারাচাই। বেশ কিছু দিন ধরে দোকান খুলে বসে থাকেন। তার খাও সান রোডের দোকানে চম্বুক, নানা রঙের হাতির চাবির রিং, সুতি কাপড়ের প্যান্ট-জামা এবং নানা রঙের ব্যাকপ্যাক রয়েছে।

অন্যান্য দিন হলে এইসব দোকানে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকত, এখন এগুলো কেনার কেউ নেই। সারা দিন বসে থেকে ক্লেটানা থাংওয়ারাচাইর কোন বিক্রিই হয় না।

করোনাভাইরাস মহামারি ভ্রমণ খাতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে এই সময়ে পর্যটক হ্রাস পেয়েছে ৮০ শতাংশ। পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১০০ মিলিয়ন মানুষের চাকরি ঝুঁকিতে পড়েছে।

এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ১৮ শতাংশ। এ বছর দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ কমে যাবে।

এমন পরিস্থিতিতে দোকানদার ক্লেটানার মতো অনেকেই জীবিকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। কোভিড -১৯ এর আগে  দিনে ৩০০ মার্কিন ডলার উপার্জন করতেন তিনি। এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ড সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে এবং এখন তার দৈনিক উপার্জন ২ ডলারে নেমেছে। কোন কোনদিন শূন্য হাতে ফিরে যেতে হয়।

৪৫ বছর বয়সী এই দোকানদার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্ট্রিট মার্কেটে জিনিসপত্র বিক্রি করছেন। এখনও প্রতিদিন এই আশায় দোকান খোলেন, দুর্যোগ কাটিয়ে এই হয়ত পর্যটক তার দোকানে আসবেন।

করোনাভাইরাসের এই মহামারির মধ্যে জীবিকা ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য অনেক দেশই এখন ঝুঁকি নিয়েও উপায় বের করার চেষ্টা করছে।

নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া দু'দেশের মধ্যে নিরাপদে থেকে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার জন্য ‘ট্র্যাভেল ভিসা’ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। থাইল্যান্ড সরকার দেশটির কিছু নির্দিষ্ট এলাকা পর্যটকদের জন্য খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তা কোয়ারেন্টাইন বিধি মেনে।

মহামারির উৎপত্তিস্থল চীন ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে। যদিও দেশটির সীমানা এখনও বেশিরভাগ বাইরের দেশের জন্য বন্ধ রয়েছে। থাইল্যান্ড বিশেষ পর্যটন রিসোর্টগুলো খুলে দিতে বিবেচনা করছে। তবে  কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা চালু রেখে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, কোভিড-১৯ চলাকালে নতুন উদ্যোগ নিয়ে ভ্রমণ চালু করলেও স্বাভাবিক হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। এভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আবার আগের মতো হয়ত কখনো ভ্রমণ করতে পারবে না।

বিশ্বের অনেক দেশ স্বল্প পরিসরে পর্যটক ভিসা ও আঞ্চলিক ভ্রমণ শুরুর পরিকল্পনা করছে। ইউরোপের এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়া- এই তিনটি দেশ ১৫ মে থেকে নাগরিকদের জন্য তাদের অভ্যন্তরীণ সীমানা খোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় এশিয়া ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পটা) প্রধান নির্বাহী মারিও হার্ডির বলেন, আগামী কয়েক মাসে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড একটি ভ্রমণ করিডোর তৈরির দিকে নজর রাখতে পারে।

এয়ারলাইন্স বিশ্লেষক ব্রেন্ডন সোবি মনে করেন, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মধ্যেও একই রকম ব্যবস্থা চিন্তা করা দরকার।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ যখন জোটবদ্ধ হয়ে ভ্রমণ চালু বিষয়ে ভাবছে। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি  বিষয় বিবেচনা করা হবে। যেসব দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে  এবং তাদের যা পরিসংখ্যান, বিশ্বাস যোগ্য কিনা তা দেখা হবে।

এদিকে মারিও হার্ডি মনে করেন, দেশগুলোকে প্রথমে আঞ্চলিক ভ্রমণের সম্ভাবনার দিকে নজর দিতে হবে।

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন ভূগোলবিদ বেনজামিন ইয়াকিন্তো বলেছেন, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যে একটি সুদৃঢ় রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তাই তাদের জোটবদ্ধ হওয়া স্বাভাবিক।

এশিয়ায় পর্যটনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বাজার চীন। জরিপে দেখা যায়, চীনা পর্যটকরা ভ্রমণে খুব বেশি দূরে যান না। প্রতিবছর থাইল্যান্ডেই ১১ মিলিয়ন চীনা পর্যটক ভ্রমণ করেন। থাইল্যান্ডে ভ্রমণ শুরু হলে চীন থেকেই শুরু হতে পারে।

এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ে চীন বিরোধী মনোভাব পোষণ করে এমন দেশগুলোতে ভ্রমণে কম আগ্রহী থাকবে চীনাদের, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় বলে জানান দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রভাষক ফ্রেয়া হিগিংস।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, করোনা সংকটের এই সময়ে ভূ-রাজনৈতিক খেলা বা কৌশল অবলম্বন করার কারণে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পর্যটন খাতকে বাঁচাতে হলে যেসব দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেশি তাদের বাদ রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।

বিশেষ করে যে সমস্ত দেশ পর্যটনের উপর নির্ভরশীল, তাদেরকে অর্থনৈতিক উদ্বেগ ও স্বাস্থ্য খাতের মধ্যে ভারসাম্য রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।

সূত্র: সিএনএন

   

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

;

ভাষণ দেয়ার সময় জ্ঞান হারালেন মন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মঞ্চে হঠাৎ জ্ঞান হারালেন মন্ত্রী। উপস্থিত নেতাকর্মীরা ছুটে এসে তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের এক জনসভায় এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি।
তিনি ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে নাগপুর থেকে নির্বাচন করেছেন। বুধবার তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্দের নেতৃত্বাধীন শিভ সেনার নেতা রাজশ্রী পাতিলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

মঞ্চ থেকে নিচে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু সময় পর জ্ঞান ফেরে তার। এরপর আবারও মঞ্চে উঠে নিজের বক্তৃতা শেষ করেন নিতিন।
অতিরিক্ত গরমের কারণেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী, এমনটাই ধারণা দলীয় নেতাকর্মীর।

পরবর্তীতে নিতিন নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেন। এতে লেখেন, গরমের কারণে অস্বস্তি বোধ করেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এখন পুরোপুরি সুস্থ আছেন।

 

 

;

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: নিহত বেড়ে ৩৪ হাজার ২৬২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার হাজার ২৬২ জনে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনাদোলু ও আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৮৬ জন। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২৬২ জনে, আহতের সংখ্যা ৭৭ হাজার ২২৯ জনে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর গাজার হাসপাতালে দুটি গণকবর থেকে ৩০০ টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের আহ্বানকে সমর্থন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এদিকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৯৫ বিলিয়ন ডলারের একটি নিরাপত্তা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা এবং গাজাকে ১ বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা।

;

হিজাব না পরা নারীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজাব না পরে রাস্তায় বের হওয়া নারী ও তরুণীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান। গত ১৩ এপ্রিল থেকে ‘নুর’ নামের একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করে দেশটি। এরপরই থেকেই হিজাব আইন কার্যকরে কঠোরতা শুরু হয়েছে।

ইরানে হিজাব পরিধানে কঠোর আইন রয়েছে। যারা এই আইন ভঙ্গ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নারীদের ওপর চালানো ধরপাকড়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়া নারীদের ‘নৈতিকতা পুলিশের’ সদস্যরা জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের ব্যস্ততম তেহরান স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক মা ও মেয়ে। ওই সময় তাদের ঘিরে ধরেন পুলিশের পাঁচ নারী ও দুই পুরুষ সদস্য। যখন তারা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করেন তখন তাদের সজোরে ধাক্কা মেরে গাড়িতে তোলা হয়।

তেহরানের শহীদী বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনা গালিবাফ নামের এক নারী শিক্ষার্থী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, তাকে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। যখন তিনি জোরাজুরি করেন তখন তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও যৌন হেনস্তা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।  

এমন পোস্ট দেওয়ার একদিন পরই এই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ইভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, গত শনিবার পুলিশের আট সদস্য তাকে ঘিরে ধরে। ওই সময় ‘বেশ্যা’, ‘নগ্ন আমেরিকার বেশ্যাপ্রেমী’ বলে তাকে গালাগালি করে। এছাড়া নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও পুরুষরাও গ্রেফতার করা সময় তাকে স্পর্শ করেছে বলে দাবি করেছেন এই তরুণী।




;