সংক্রমণের ‘নতুন উপকেন্দ্র’ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা: ডব্লিউএইচও



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশ্বিক মহামারি করোনার ‘নতুন উপকেন্দ্র’ দক্ষিণ আমেরিকা হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চীনের উহানে সংক্রমণের দীর্ঘ ছয় মাস পর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বাড়তে শুরু করেছে।

শুক্রবার (২২ মে) ডব্লিউএইচও জেনেভা সদর দফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থার জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান জানায়, দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কিছু দেশে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এ অবস্থা গভীর উদ্বেগের জন্ম দেয়। ইতোমধ্যে ব্রাজিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় আছে।

‘এক অর্থে বলতে গেলে দক্ষিণ আমেরিকা করোনার নতুন উপকেন্দ্র হয়ে উঠেছে’— বলে জানান তিনি।

ডব্লিউএইচও করোনার দৈনিক পরিস্থিতির প্রতিবেদন অনুসারে জানায়, দক্ষিণ আমেরিকার যে কোনো দেশের তুলনায় ব্রাজিলে আক্রান্তের হার বেশি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন লাখ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ১৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, ব্রাজিল সরকার ম্যালেরিয়াবিরোধী ড্রাগ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওপর ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিজেই এ ওষুধ নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণায় করোনা চিকিৎসায় এ ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবারের আগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন করেননি তাদের চেয়ে যারা নিয়েছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।

বর্তমান ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফলের আগে করোনা চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের বিস্তৃত ব্যবহারকে সমর্থন করা যায় না। যতক্ষণ না পরীক্ষা শেষ হয় এবং আমরা স্পষ্ট ফলাফল পাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলব আমরা।

এখন ব্রাজিলের অন্যান্য প্রদেশগুলোতেও সংক্রমণ বিস্তার লাভ করছে। এক্ষেত্রে ডব্লিউএইচও ব্রাজিল সরকারকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা প্রদান করছে বলেও জানান তিনি।

   

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংকট-কবলিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) জাপান পুনরায় অর্থায়ন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থাটি গাজাকে প্রায় সমস্ত সাহায্যের সমন্বয় করে। সরকার এ কথা জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ’র ১৩ হাজার গাজা কর্মচারীর মধ্যে ১২ জন ৭ অক্টোবর হামাসের মারাত্মক হামলায় জড়িত ছিল বলে ইসরায়েলের অভিযোগের পর সংস্থার ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থায়নকারী জাপান এক ডজনেরও বেশি দেশের সাথে তাদের তহবিল স্থগিত করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া প্রশাসন ও স্বচ্ছতা জোরদার করার জন্য সংস্থার গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) টোকিওতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনির সাথে দেখা করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাপান এবং ইউএনআরডব্লিউএ নিশ্চিত করেছে, তারা জাপানের অবদান পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টার বিষয়ে চূড়ান্ত সমন্বয় এগিয়ে নেবে।

জাপানি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে স্থগিত হওয়া তহবিল পুনরায় চালু করা হবে। এপ্রিলের প্রথমার্ধে সহায়তা সংস্থায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তহবিল আকস্মিকভাবে স্থগিত হওয়ায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর গাজায় মরিয়া প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যেখানে জাতিসংঘ আসন্ন দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।

এই মাসে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন এবং অন্যান্যরা বলেছে, তারা সাহায্য সরবরাহ আবার শুরু করছে।

লাজারিনি মঙ্গলবার বলেছেন, সংস্থাটির অন্তত মে মাসের শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট তহবিল রয়েছে।

;

ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' এ তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে "লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহর রকেট ডিপোর কাছাকাছি একটি এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হামলায় ৩৬ সিরীয় সৈন্য" নিহত হয়েছে"।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে চালানো সিরিয়ায় বিমান হামলায় হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।

;

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ব্ল্যাক সি’য়ের ওপর থেকে রাশিয়ান বিমানের নিক্ষেপ করা ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের যুদ্ধক্ষমতা হারিয়েছে।

ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, পরবর্তীতে রাশিয়া সকালে আরও একবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

;

গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধে ইসরায়েলকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছে, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, এই রায়টি যথেষ্ট নয়। দুর্ভোগ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজা উপত্যকায় মানবিক ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানোর জন্য যেকোনও নতুন দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে আমরা আশা করি যে গাজায় আমাদের লোকেরা যে সমস্ত দুর্দশার মধ্য দিয়ে বসবাস করছে তার সমাধান হিসেবে আদালত যুদ্ধবিরতির আদেশ দেবেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ভোট দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোট থেকে বিরত ছিল, কিন্তু ভেটো দেয়নি।

;