ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা, মোদির জরুরি বৈঠক
ফের ভারত ও চীন সীমান্তে উত্তেজনা। পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্যাংগং ও গালোয়ান উপত্যকায় সেনাসদস্য বাড়িয়েছে ভারত ও চীন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এ ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গেও পৃথকভাবে বৈঠক করেন মোদি।
এরই মধ্যে চীন বাংকার তৈরি করেছে। অস্থায়ী পরিকাঠামোও তৈরি করেছে। সেখানে তারা দুই থেকে আড়াই হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। অন্য দিকে ভারতও একইভাবে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে। এ নিয়ে ভারত ও চীন সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগে এ দিন লাদাখ নিয়ে একদফা বৈঠক করেন ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখেন তারা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনাথকে জানান সেনাপ্রধান এমএম নরবণে। লাদাখ সীমান্তের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকগুলো পর্যালোচনা করে দেখেন তারা।
সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে পড়া নিয়ে একাধিকবার চীনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত। চলতি মাসের গোড়ার দিকে তা নিয়ে নতুন করে দু’দেশের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। গত ৯ মে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নাকু লা সেক্টরে চীনা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় জওয়ানরা। তাতে বেশ কয়েক জন আহতও হন। পরে দু’পক্ষের প্রধানদের হস্তক্ষেপে সাময়িকভাবে উত্তেজনা কমলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বরং গত কয়েক দিনে প্যাংগং ও গালোয়ান উপত্যকায় সেনা মোতায়েন করেছে দু’পক্ষই। গালোয়ান নদীর তীর বরাবর তাবু ফেলেছে চীন। শুরুতে সেখানে দু’-তিন হাজার সেনা মোতায়েন করলেও, তা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করা হয়েছে।
এদিকে, লাদাখ সীমান্ত এলাকার স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছে, প্যাংগং থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের নারি গানসা বিমানঘাঁটিতে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্মাণকাজ চলছে। বিমানঘাঁটির টারম্যাকে সারি দিয়ে চারটি যুদ্ধবিমান দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে ছবিতে।