কারফিউয়ের মধ্যে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে দেশটির ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এরপরও বিক্ষিপ্ত স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৩১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ধরপাকড় ও লাঠিচার্জ, জলকামান ছুড়ছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য থেকে ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সাংবাদিককে হেনস্তা ও আটকের খবরও প্রকাশ করেছে সিএনএন। একইসঙ্গে বিক্ষোভ চলাকালীন নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৩৪০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে গতকাল পুলিশ বিক্ষোভ চলাকালে গুলি চালায়, এতে তিন জন আহত হয়। আহত তিন জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে পুলিশ।
এর আগে ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ডে বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফেডারেল প্রতিরক্ষা পরিষেবার এক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৫ মে) কারাগারে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে খুনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ থেকেই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড: পুলিশ ভ্যান ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য নিহত