গিনি ছাড়তে বলা হলো ডব্লিউএইচও’র প্রতিনিধিকে
ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। সেখান থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-র প্রতিনিধিকে চলে যেতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সংস্থাটির আফ্রিকা অঞ্চলের প্রধান মাতশিদিসো মোয়েতি একথা বলেন।
ডব্লিউএইচও এর তথ্য অনুযায়ী, ১২ লাখ জনসংখ্যার মধ্য আফ্রিকার এই দেশে মার্চের মাঝামাঝিতে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এপর্যন্ত ১ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এবং ১২ জন মারা গেছে।
এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব কম মনে হলেও তেল উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র জনসংখ্যার দেশের জন্য এটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা।
মোয়েতি রয়টার্সকে বলেন, জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংক্রমণ সংখ্যা বিবেচনায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে এটি একটি। কিন্তু সরকার গিনি থেকে ডব্লিউএইচও কে এর প্রতিনিধি ট্রিফোনি কুরুনজিজাকে বদলি করতে বলেছে। তারা কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেনি।
সংস্থাটি এই বিষয়ে কাজ করছে জানিয়ে মোয়েতি আরো বলেন, ‘সরকারের সাথে কাজ করার দায়বদ্ধতাকে বিশেষ করে মানুষের সহায়তার জন্য কাজ করাকে আমি বেশি গুরুত্ব দিতে চাই’।
সাব-সাহারান আফ্রিকার একমাত্র স্প্যানিশ ভাষী দেশ কঙ্গোতে ১৯৭৯ সালের অভ্যত্থানের পর থেকে প্রেসিডেন্ট তেওদোরো ওবিয়াং এর কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। দেশের মোট রাজস্বের ৯০ শতাংশ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আয় হয়। ফলে এবছর বিশ্বব্যাপী তেলের মন্দার প্রভাব দেশটিতে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে।
মোয়েতি জানান, ডব্লিউএইচও সংক্রমিত ব্যক্তিদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি নজরদারিতা আরোপ, সংস্পর্শ শনাক্ত এবং আইসোলেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস মহামারি মোকেবিলায় কঙ্গো সরকারকে সাহায্য করছে।