বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪ লাখ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান বিশ্বের সকল মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। মহামারি এই ভাইরাস স্থবির করে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। বন্ধ হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ব্যবসা। বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশই তাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭০ লাখে। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৮৪৮ জন মানুষের।

তবে আশার কথা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের জোন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে এরই মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ লাখ ৩০ হাজার ৩০১ জন মানুষ। এবং দিন দিন এর সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলো দেশ মহামারীটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষমও হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৪২৫ জন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয় আছে যুক্তরাজ্যের নাম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৪০ হাজার ৬২৫ জনের। আর কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৬২১ জন।

এদিকে অনেকটা নাজুক অবস্থায় আছে ব্রাজিল। দেশটি মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬৪৬ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাণহানি হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৩০ জনের। রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩ জনে ও মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৫১। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বর্তমান হিসাব মতে স্পেনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৫৫০ এবং মারা গেছেন ২৭ হাজার ১৩৬ জন। এছাড়া ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৮, মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৮৯৯ জনের। ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সে ১ লাখ ৩১ হাজার ১০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৫৮ জন। এদিকে জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫০ জন। এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৮ হাজার ৬৮৫ জনের।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৬ জন মানুষের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৭ হাজার ২০৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৮ জন মানুষ। এছাড়াও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৬৯। এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে ৮৮৮ জনের প্রাণহানি হলো। আর মোট ১৩ হাজার ৯০৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য থেকে আরো জানা যায়, করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ ৬ হাজার ৩৬৭ জন, ব্রাজিলে ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৯ জন, রাশিয়ায় ২ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ জন, জার্মানিতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২২৪ জন, ইতালিতে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৭ জন, স্পেনে ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন, তুরস্কে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন, ইরানে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৯ জন ও করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে ৭৯ হাজার ৪২৭ জন।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ভাইরাসে মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।

৪ লাখ ছাড়াল করোনায় মৃতের সংখ্যা

বর্তমান বিশ্বের সকল মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। মহামারি এই ভাইরাস স্থবির করে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। বন্ধ হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ব্যবসা। বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশই তাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭০ লাখে। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৮৪৮ জন মানুষের।

তবে আশার কথা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের জোন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে এরই মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ লাখ ৩০ হাজার ৩০১ জন মানুষ। এবং দিন দিন এর সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলো দেশ মহামারীটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষমও হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৪২৫ জন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয় আছে যুক্তরাজ্যের নাম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৪০ হাজার ৬২৫ জনের। আর কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৬২১ জন।

এদিকে অনেকটা নাজুক অবস্থায় আছে ব্রাজিল। দেশটি মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬৪৬ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাণহানি হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৩০ জনের। রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩ জনে ও মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৫১। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বর্তমান হিসাব মতে স্পেনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৫৫০ এবং মারা গেছেন ২৭ হাজার ১৩৬ জন। এছাড়া ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৮, মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৮৯৯ জনের। ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সে ১ লাখ ৩১ হাজার ১০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৫৮ জন। এদিকে জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫০ জন। এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৮ হাজার ৬৮৫ জনের।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৬ জন মানুষের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৭ হাজার ২০৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৮ জন মানুষ। এছাড়াও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৬৯। এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে ৮৮৮ জনের প্রাণহানি হলো। আর মোট ১৩ হাজার ৯০৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য থেকে আরো জানা যায়, করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ ৬ হাজার ৩৬৭ জন, ব্রাজিলে ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৯ জন, রাশিয়ায় ২ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ জন, জার্মানিতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২২৪ জন, ইতালিতে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৭ জন, স্পেনে ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন, তুরস্কে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন, ইরানে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৯ জন ও করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে ৭৯ হাজার ৪২৭ জন।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ভাইরাসে মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।

   

ইউক্রেনে সামরিক রসদ দ্রুত পাঠানোর উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোলাবারুদ, অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধের সরবরাহ দ্রুত ইউক্রেনে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিকে সমর্থন করার জন্য অনেক বিলম্বিত বিলে স্বাক্ষর করার পর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মোট ৯৫ বিলিয়ন তহবিলের চূড়ান্ত অনুমোদিত বিলের মধ্যে কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের সম্মুখীন ইউক্রেনের জন্য কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক বিতর্কের পর এই অনুমোদন দেওয়া হলো।

জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই সপ্তাহান্তে প্রতিনিধি পরিষদে এবং সিনেটে অনুমোদিত জাতীয় সুরক্ষা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছি।’

আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে শিপমেন্টগুলো শুরু হবে বলে নিশ্চিত করছেন তিনি।

বাইডেনের বক্তব্যের কয়েক মিনিট পর পেন্টাগন নতুন তহবিল ব্যবহার করে কিয়েভের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, আর্টিলারি রাউন্ড, হাইমার্স রকেট লঞ্চারের জন্য গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক-বিরোধী অস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিল পাসের পরপরই দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বিল অনুমোদনের জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কংগ্রেস এবং সমস্ত আমেরিকানদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের দীর্ঘস্থায়ী অনুরোধ পূরণ করে মার্চের সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের অনুরোধে তাদের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য শুরুতে এটি ঘোষণা করিনি।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চলতি মাসে ইউক্রেন হাতে পেয়েছে।’

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

;

ইউরোপ মরণশীল, এটি মারা যেতে পারে : ইমানুয়েল মাখোঁ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে অস্তিত্বের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে ইউরোপ।’

তিনি মহাদেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের উপর কম নির্ভরশীল একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা কৌশল গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

তিনি ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার আচরণকে আগ্রাসী বলে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘মস্কোর সীমানা কোথায় তা এখন আর স্পষ্ট নয়।’

মাখোঁ রাশিয়া এবং চীন উভয়ের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তার বাণিজ্য নীতি সংশোধন করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউরোপ আজ মরনশীল এবং এটি মারা যেতে পারে।’

তিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়ার ঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আগামী দশকে ইউরোপের দুর্বল হয়ে যাওয়ার বা এমনকি মরে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।’

ম্যাক্রোঁ অর্থনীতি এবং প্রতিরক্ষায় ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ইউরোপকে তার নিজের ভাগ্যের মালিক হতে হবে। কারণ, মহাদেশটি অতীতে শক্তির জন্য রাশিয়া এবং নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ইউরোপীয় প্রতিরক্ষার কৌশলগত ধারণা তৈরি করতে হবে।’

;

সন্দেশখালির ঘটনায় প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলো সিবিআই



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আদালতের নির্দেশে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির ধর্ষণের তদন্তে নেমে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই।

তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন ও জমি দখলের যাবতীয় অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে ই-মেইল আইডি তৈরি করে স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রহণ করে সিবিআই।

তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ই-মেইলে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এক নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে কথা বলে অভিযোগকারী নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই। সেই বয়ানের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। তবে ধর্ষণে অভিযুক্ত কে বা কারা তা জানা যায়নি।

এর আগে সন্দেশখালিতে তৃণমূল মাফিয়া শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রাম্য নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যে নারী শাহজাহান বাহিনীর চোখে পড়ত তাকে রাতে তৃণমূল পার্টি অফিসে যেতে বাধ্য করা হতো। কেউ যেতে না চাইলে বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যেত শাহজাহান বাহিনী। এমনকী মারধর করা হতো ওই নারীর স্বামীকে।

গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে সব রকম সাহায্য করার নির্দেশ দেন আদালত।

নির্দেশে আদালত জানায়, ই-মেইল আইডি তৈরি করে অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে সিবিআইকে। সঙ্গে রাজ্য সরকারকে সন্দেশখালির সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও বাতি লাগাতে হবে।

;

দুই শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির দুটি গ্রামে কমপক্ষে ৫৬ জন শিশুসহ ২২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন্দিন ও সোরোর উত্তরাঞ্চলীয় গ্রামে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গণহত্যার ঘটনা ঘটে।

আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীটি বলেছে, গণহত্যাটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক সামরিক অভিযানের অংশ বলে ধারণা হচ্ছে।

বুরকিনা ফাসোর সেনারা ননদিনে ২০ শিশুসহ কমপক্ষে ৪৪ জনকে এবং কাছাকাছি সোরোতে ৩৬ জন শিশুসহ ১৭৯ জনকে হত্যা করে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, তারা গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে কয়েক ডজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের শেয়ার করা ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করেছে।

তারা জীবিতদের দ্বারা নিহতদের নামের তালিকাও পেয়েছে এবং গত ১৫ মার্চ থেকে স্যাটেলাইট চিত্রের ভিত্তিতে আটটি গণকবরের ভূ-অবস্থান সনাক্ত করেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ব্যারাক এবং ঘাঁটিসহ সামরিক লক্ষ্যবস্তু এবং ধর্মীয় স্থানগুলোর মতো বেসামরিক অবকাঠামোতে দেশজুড়ে হামলা চালায়। এতে বহু বেসামরিক নাগরিক, সেনা এবং মিলিশিয়া সদস্য নিহত হন।

বুরকিনা ফাসোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মাহামুদু সানা ওই হামলাকে একযোগে এবং সমন্বিত আক্রমণ হিসাবে অভিহিত করে নিন্দা করলেও নন্দিন এবং সোরোতে বেসামরিকদের গণহত্যার বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, আল-কায়েদা, আইএসআইএল (আইএসআইএস) এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের ফলে বেসামরিক লোকেরা মারা পড়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বর্তমানে বুরকিনা ফাসোর প্রায় অর্ধেক সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। চলমান সহিংসতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং দুই মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরের নেতৃত্বে একটি সামরিক সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি অভ্যুত্থানেন মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বুর্কিনা ফাসোর থিউ জেলার মধ্যে নন্দিন এবং সোরোকে আল-কায়েদার সহযোগী জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম) দ্বারা অবরুদ্ধ করা অনেক গ্রামের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়।

এইচআরডব্লিউ-এর নির্বাহী পরিচালক তিরানা হাসান বলেন, ‘নন্দিন এবং সোরো গ্রামে গণহত্যা হলো বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী কর্তৃক বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানে বেসামরিক নাগরিকদের সর্বশেষ গণহত্যা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের নৃশংসতা প্রতিরোধ ও তদন্ত করতে বুর্কিনাবে কর্তৃপক্ষের বারবার ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে। মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধের একটি বিশ্বাসযোগ্য তদন্তকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।’

জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নকে তদন্ত সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।

;