সকলের জন্য করোনার ভ্যাকসিন, কিন্তু কে পাবে প্রথমে?



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন শেষ পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হলো, কে প্রথমে এটি পাবে? উন্নত দেশগুলোর সাথে সাথেই কি দরিদ্র দেশগুলোতেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে?

বিশ্বের সব বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে। কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার পরই অনুমোদন দেওয়া হবে ভ্যাকসিনের।

তবে যে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হবে সে ভ্যাকসিনটিই করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের সরবরাহ ও প্রাপ্তি নাগালের মধ্যে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। সকলের অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং বৈশ্বিক সমন্বয় রাখতে গাভি (গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাকসিন্স অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন) কাজ করবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গাভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. শেঠ বার্কলে পরবর্তী বড় চ্যালেঞ্জ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সর্বজনীন বণ্টন ও সরবরাহ নিশ্চিতের বিষয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পাশাপাশি বিশ্বের দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের অ্যাক্সেস কীভাবে নিশ্চিত করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত মতামতও জানান।

তিনি বলেন, ‘স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিনের অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে আমাদের এখন সহায়তা প্রয়োজন।’

প্রশ্ন: দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিন অ্যাক্সেসের অর্থায়ন কীভাবে হবে?

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) যুক্তরাজ্য দ্বারা আয়োজিত গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটে বিশ্ব নেতারা ৮.৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে। এই সহায়তা তহবিলের একটি বড় অংশ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য ব্যয় করা হবে।

প্রশ্ন: এই অর্থের বণ্টন কীভাবে হবে?

এই তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোতে ৩০০ মিলিয়ন শিশুদের টিকা দিতে সহায়তা করবে। এর বাইরে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে ৫৬৭ মিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র পরিবহন খরচে ব্যয় হবে।

প্রশ্ন: গাভি কী?

গাভি এর পূর্ণরূপ হলো (গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাকসিন্স অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন)। এটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ইমিউনাইজেশনে অর্থায়ন করা সংস্থা (সরকারি-বেসরকারি বিশ্ব স্বাস্থ্য অংশীদারিত্ব)। যা মূলত দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাদান অ্যাক্সেসকে বাড়াতে কাজ করে। এটি বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন দ্বারা ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থিত।

প্রশ্ন: কোভিড-১৯ কীভাবে বাচ্চাদের টিকাদানকে ব্যাহত করেছে?

গাভি, ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের যৌথ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এর কারণে গুরুত্বপূর্ণ টিকা কর্মসূচিতে বাধার কারণে এক বছরের কম বয়সী ৮০ মিলিয়ন শিশু রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।

প্রশ্ন: ভ্যাকসিনের ব্যবহার কী?

ভ্যাকসিনের সাহায্যে কয়েক মিলিয়ন মৃত্যু, দুর্বলতা থেকে প্রতিবন্ধীত্ব ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। উদাহরণস্বরূপ, টিকা দেওয়ার জন্য শিশুদের পোলিও নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। বিগত কয়েক বছরে, নতুন ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে ইবোলা ও ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন বিকাশ লাভ করেছে। এতে গত ২০ বছরে, ভ্যাকসিন প্রাপ্তির পর আফ্রিকা ও এশিয়া জুড়ে শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

প্রশ্ন: ভ্যাকসিনের প্রধান সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ কী?

ভ্যাকসিনের বিকাশ ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। একটি নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করতে গড়ে প্রায় ১৬ বছর গবেষণা ও পরীক্ষা করতে সময় লাগে।

তাদের কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা প্রমাণ করার জন্য ধাপে ধাপে কঠোর পরীক্ষার পরে, ভ্যাকসিনগুলো অসংখ্য রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রমাণিত করেছে। তবে ভ্যাকসিন ব্যয়বহুল হতে পারে যা দরিদ্রদেশগুলোর প্রাপ্তিতে কঠিন করে তোলে। ভ্যাকসিনগুলো কেবল তখনই কার্যকর সম্ভাবনা উপলব্ধি করে যখন তারা সবচেয়ে দরিদ্র ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে সুরক্ষার জন্য প্রদান করা হয়।

প্রশ্ন: তহবিলের প্রতিশ্রুতি বলতে কী বোঝায়?

তহবিলের প্রতিশ্রুতি এর অর্থ হলো গাভি নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করতে সক্ষমতা অর্জন যা মূলত কোভিড-১৯ মহামারীটির প্রভাব হ্রাস করতে পারে। এই তহবিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

প্রশ্ন: গাভিতে বৃহত্তম দাতা দেশ কোনটি?

যুক্তরাজ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের বৃহত্তম দাতা হিসেবে আছে। আগামী পাঁচ বছরে প্রতি বছর ৩৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যান্য শীর্ষ দাতাদের মধ্যে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, নরওয়ে, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আটটি দেশ গ্যাভির তহবিলে প্রথমবারের মতো অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে: ভুটান, বুর্কিনা ফাসো, ক্যামেরুন, ফিনল্যান্ড, গ্রীস, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, উগান্ডা।

প্রশ্ন: গাভি-সমর্থিত দেশগুলো কতটা অবদান রাখবে?

গাভি সংক্রামক রোগ থেকে নিম্ন-আয়ের দেশে কয়েক লাখ শিশুদের টিকা দেওয়ার সমর্থন করে। নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও ভ্যাকসিন বিতরণকে শক্তিশালী করে করোনাভাইরাস মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করতেও ব্যবহৃত হবে।

প্রশ্ন: গাভি-সমর্থিত দেশগুলো কতটা অবদান রাখবে?

গাভি সংক্রামক রোগ থেকে নিম্ন-আয়ের দেশে কয়েক লাখ শিশুদের টিকা দেওয়ার সমর্থন করে। নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও ভ্যাকসিন বিতরণকে শক্তিশালী করে করোনাভাইরাস মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করতেও ব্যবহৃত হবে।

গভি সমর্থিত দেশগুলোর ভ্যাকসিন কেনার ব্যয়ের জন্য ৩ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করা হয়েছে। ২০১৬-২০২০ সময়কালের জন্য দ্বিগুণেরও বেশি এই অর্থায়ন ভ্যাকসিন প্রার্থী দেশগুলোতে মোট অনুমান ব্যয়ের ৪০ শতাংশেরও বেশি। তারা একই সময়ের মধ্যে টিকা পরিষেবা সরবরাহ ব্যয়ে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

প্রশ্ন: গাভি কি ভ্যাকসিনের দাম কমাতে সহায়তা করতে পারবে?

হ্যাঁ। জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিনকে আরও সাশ্রয়ী করে তোলার জন্য গাভির প্রচেষ্টায় ‘পেন্টাভ্যালেন্ট’ (ফাইভ ইন ওয়ান ভ্যাকসিন নামে পরিচিত)। শিশুদের নিউমোকোকাল এবং রোটাভাইরাস ভ্যাকসিনে ২০১৫ সালে ২১ শতাংশ দাম হ্রাস দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যা আরও হ্রাস পেয়ে ২০.১ ডলার থেকে ১৫.৯০ ডলার হয়েছে।

প্রশ্ন: কীভাবে নিম্ন-মধ্যের দেশগুলোতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অ্যাক্সেস থাকবে?

সম্মেলনে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে কোভাক্স এএমসি এর উদ্যোগে করোনার ভ্যাকসিনের অ্যাক্সেস সরবরাহের জন্য অগ্রিম বাজার প্রতিশ্রুতি প্রবর্তন ও একটি নতুন অর্থায়ন করা হয়েছে।

প্রশ্ন: কোভাক্স এএমসি উদ্যোগের তাৎপর্য কী?

এই পদক্ষেপটি ভবিষ্যতের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সঠিক বণ্টন ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার উপায় হিসেবে দেখা হয়। এএমসির ১২ দাতাদের কাছ থেকে ৫৬৭ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়েছিল।

   

ন্যাটোর দেশে আক্রমণ নয়, তবে এফ-১৬ দিলে ধ্বংস করা হবে: পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এছাড়া পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না রাশিয়া। তবে এসব দেশ যদি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে, তবে সে যুদ্ধবিমান গুলি করে ধ্বংস করা হবে।

রাশিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেন।

রুশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়ার দিকে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার তাদের ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করে আসছে। সে কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, এসব যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে না। আমরা এখন যেমন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং একাধিক রকেট লাঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করি, ঠিক তেমনি আমরা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করব।

পুতিন বলেছেন, ন্যাটোর কোনো সদস্যদেশের ওপর আক্রমণাত্মক চালানোর কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তবে হ্যাঁ যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, সে স্থানগুলো বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। সেটি যে স্থানই হোক না কেন।

বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব দেশের একটি জোট ইউক্রেনের চালকদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিমান চেয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।

;

‘ক্রিপ্টো কিং’ স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ২৫ বছরের কারাদণ্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধসে যাওয়া ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এফটিএক্স-এর সাবেক প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান ফ্রিডকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ম্যানহাটনের একটি আদালত।তাকে গ্রাহকদের বিলিয়ন ডলার চুরি করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতির অভিযোগে স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ৫০ বছরের সাজা চান প্রসিকিউটররা। তাদের যুক্তি জনসাধারণকে প্রতারক থেকে রক্ষা করা দরকার এবং একটি কঠোর শাস্তি অন্য অপরাধীদের নিবৃত্ত করবে। পরে বিচারক ৩২ বছর বয়সী স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেন।

আদালতে দায়ের করা মামলায় প্রসিকিউটররা বলেছেন, আসামি একাধিক মহাদেশজুড়ে কয়েক হাজার লোক এবং কোম্পানির শত শত কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।

বিচারক কাপলান ‘ক্রিপ্টো কিং’ স্যাম ব্যাঙ্কম্যানের ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনকে সান ফ্রান্সিসকো এলাকার কাছাকাছি একটি মাঝারি-নিরাপত্তা কারাগারে স্যাম ব্যাঙ্কম্যানকে পাঠানোর পরামর্শ দেব। কারণ তিনি অন্য বন্দি বা কারাগারের কর্মীদের জন্য শারীরিক হুমকি হতে পারেন। তিনি একটি উচ্চ নিরাপত্তা অবস্থানে অন্যান্য বন্দীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

;

মুস্তফাকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী করে ফিলিস্তিনের নতুন মন্ত্রিসভা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, যেখানে তিনি রিয়াদ আল-মালিকির স্থলাভিষিক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ওই মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছেন।

এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।

এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭৫ হাজার জনে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪৯০ জনে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল।

;

রাজধানী সরিয়ে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, জাকার্তাকে বিশেষ মর্যাদা ঘোষণা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ুদূষণসহ বেশ কিছু সমস্যার কারণে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে বোর্নিও দ্বীপে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এর আগেই জাকার্তাকে দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসবে মনোনীত করেছে ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বোর্নিও দ্বীপের পূর্ব কালিমান্তান জঙ্গলের নুসানতারা অঞ্চলটিকে নতুন রাজধানী হিসেবে সাজানোর জন্য ৩২ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।

বর্তমান রাজধানী জাকার্তা অত্যন্ত জনবহুল আর যানজটপূর্ণ। এ ছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে শহরটি দেবে যাচ্ছে। জাভা সাগরের এই বৃহত্তম দ্বীপটিতে বায়ুদূষণও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এখানে এক কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরটি তলিয়ে যায়। তাই রাজধানীকে বোর্নিও প্রদেশের ইস্ট কালিমানতানের নুসানতারায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

শহরটি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বৃহত্তম একটি প্রকল্প। উইদোদো জাভা দ্বীপপুঞ্জজুড়ে কেন্দ্রীভূত সম্পদ পুনর্বণ্টন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

১৮ মার্চ পাস হওয়া আইন অনুযায়ী জাকার্তা এবং নতুন রাজধানীর উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য একটি একীভূতকরণ কাউন্সিল গঠন করা হবে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টিটো কারনাভিয়ান জানান, নুসানতারায় রাজধানী স্থানান্তরের পর জাকার্তা যাতে বিশ্বের অন্যান্য শহরের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে করে এই শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় এবং দেশের জিডিপিতে অবদান বৃদ্ধি পায়।

আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ডিক্রি জারির আগ পর্যন্ত জাকার্তাই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী থাকবে।

আগামী ১৭ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া সরকার নুসানতারায় তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে। আর চলতি বছরের শেষ নাগাদ কয়েক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে নতুন রাজধানীতে স্থানান্তর করা হবে।

;