‘করোনা টিকা অবশ্যই হালাল হতে হবে’

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো করোনাভাইরাসের টিকার জন্য দ্রুততার ব্যাপারে তার মন্ত্রীদের সতর্ক করে দিয়েছেন। করোনার টিকা হালাল হবে কিনা মানুষজনের উদ্বেগের মধ্যে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন তিনি। এক বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কোভিড-১৯ টিকার সম্ভাব্য হালাল স্ট্যাটাস নিয়ে মানুষজনের মনোভাব আমাদের বিবেচনা করা উচিত। টিকা হালাল না হারাম তা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় এর আগেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

২০১৮ সালে হামের টিকাকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার উলামা পরিষদ। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সম্ভাব্য টিকা নিয়ে নতুন করে এই বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উইদোদো বলেন, টিকার হালাল স্ট্যাটাস, দাম, গুণগত মান এবং বিতরণ সম্পর্কিত জনসংযোগ নিয়ে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, এসব ধাপের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষজনকে টিকা দেওয়া।

বিজ্ঞাপন

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের এটি দেওয়ার গুরুত্ব এবং এর কারণ সম্পর্কে বিশদভাবে জানাতে হবে।

এদিকে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও উলামা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মারুফ আমিন বলেছেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের চীনা ভ্যাকসিন হালাল হলে ভালো, হালাল না হলেও কোনো সমস্যা নেই। ইন্দোনেশিয়ার পিটি বায়োফার্মা সিনোভ্যাকের সঙ্গে মিলে স্থানীয়ভাবে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে। এটা নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ভ্যাকসিনটি যদি হালাল হয় ভালো, যদি না হয় তাহলেও কোনো সমস্যা নেই।

অবশ্য মুফতিদের অভিমত হলো, একান্ত নিরুপায় ও অপারগ অবস্থা ছাড়া অন্য কোনো অবস্থায় হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা জায়েজ নেই।

বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া। হালাল খাবার, হালাল ফ্যাশন, শরিয়া ব্যাংকিং ও হালাল আবাসনসহ নানা খাতে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা।

থমসন রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার মানুষ ২০১৯ সালে হালাল খাবার, পর্যটন, ফ্যাশন এবং প্রসাধনীর পেছনে ২১৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে, ২০১৪ সালে যা ছিল ১৯৩ বিলিয়ন ডলার।

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৭৩৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৩ জন।