সবুজ গম্বুজের ছায়াতলে শুয়ে আছেন রাহমাতুল লিল আলামীন



জাফর আহমাদ, অতিথি লেখক, ইসলাম
সবুজ গম্বুজের ছায়াতলে শুয়ে আছেন রাহমাতুল লিল আলামীন, ছবি: সংগৃহীত

সবুজ গম্বুজের ছায়াতলে শুয়ে আছেন রাহমাতুল লিল আলামীন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মদিনার মসজিদে নববী। মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ। যার ছায়াতলে শুয়ে আছেন সীমাহীন কৃতিত্বের অধিকারী, সতত প্রবাহমান ঝর্নাধারা সৃষ্টিকারী রাহমাতুল লিল আলামীন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

এই সেই সবুজ গম্ভুজ। যার ছায়াতলে তারই পাশে শুয়ে আছেন উত্তাল সংগ্রামমুখর জীবনের সাথী, হিজরতের সাথী, সওর গুহার সাথী, দুঃসহ জীবনের সাথী, সারা জীবনের সাথী এমন কি দীর্ঘ কবর জীবনের সাথী সাইয়েদুনা আমিরুল মুমিনীন হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)। আরও শুয়ে আছেন সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জনক, অর্ধেক পৃথিবীর বাদশা আমিরুল মুমিনীন সাইয়েদুনা হজরত ওমর ফারুক (রা.)। আল্লাহর কি অপার মহিমা সম্ভবত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো পূর্ব নির্দেশনা ছিল না। অত্যন্ত নাজুক ও স্পর্শকাতর জীবনের সাথী, সুখ-দুঃখে শান্তনাদানকারী হুজুরের সম্মানিত স্ত্রী উম্মুল মুমীনিন হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রা.) নয়, কলিজার টুকরা হজরত ফাতেমা (রা.) নয়, আমিরুল মুমিনীন প্রিয় জামাতা হজরত আলী (রা.) নয়, অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ইমাম হাসান ও হোসাইনও (রা.) নয় কিন্তু কবর জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই দু’জন মহান সাথীকে পাশে নিয়ে সময়ের পথ অতিক্রম করে চলেছেন দূর দিগদিগন্তরের পানে।

উচ্চাংগের মেধাবী ও বুদ্ধিমান, সাহসী বীর, ধৈর্যশীল, আদর্শে অবিচল, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ, উদার ও মহানুভব, দাতা, দায়িত্ব সচেতন, বিনয়ী ও ভাবগম্ভীর এবং প্রিয়ভাষী ও শুদ্ধভাষী চরিত্র মাধুর্য ও আবিলতামুক্ত জীবনধারার আলোক রশ্মি সবুজ গম্বুজের চূড়া থেকে অবিরত বিচ্ছুরিত হয়ে পৃথিবীর প্রতিটি দেশ, প্রতিটি জনপদকে আলোকিত করে চলেছে। এর সুরভিত পবিত্র ঘ্রান পৃথিবীকে মোহিত করে চলেছে। পৃথিবীর শেষ অবদি এই আবহ চলবে। যেন সতত প্রবাহিত কোনো এক নির্ঝর, যার স্বচ্ছ নির্মল পানি সারা পৃথিবীকে সিক্ত করে চলেছে। তারই রূপের মহিমায় প্রকৃতি বার বার নতুন সাজে আবির্ভূত হয়, পৃথিবী ঢেকে যায় সবুজ বন-বনানীতে, ফুলে-ফলে সুশোভিত হয় মন ও মানস।

এই সেই সবুজ গম্বুজ যেন একটি ভালো জাতের গাছ, যার সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেয় তৃণলতাহীন, কুলকীনারাহীন ও অন্তহীন মরভূমির দিকভ্রান্ত পথিক খরতাপ রোদ্রে একটু ছায়ার জন্য যার প্রাণ ওষ্ঠাগত। এটি এমন একটি গাছ, যার শিকড় মাটির অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত এবং শাখা-প্রশাখা আকাশে পৌঁছে গেছে। যার সবুজ পাতা মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণে সাহায্য করে। প্রতিটি মুহূর্তে নিজের রবের নির্দেশে ফলদান করে। যে ফল মানুষ ও পাখপাখালীরা খায় এবং আল্লাহতায়ালার শোকরিয়া আদায় করে।

মানবতার পরম সহৃদ সবুজ গম্বুজের নিবিড় ছায়ায় শুয়ে আছেন। এই সবুজ গম্বুজ পৃথিবীর প্রতিটি জনপদকে তীব্রভাবে আকর্ষণ করে। তাই তারা অকৃত্রিম ভালোবাসা ও প্রচণ্ড আবেগের টানে ছুটে আসে সবুজ গম্বুজের একটু ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। প্রচণ্ড আবেগের কারণেই তাকে নিয়ে এত গান, এত সাহিত্য-প্রবন্ধ, কাব্যমালা ও জীবন চরিত রচিত হয়েছে। এমনটি দ্বিতীয় কোনো জীবন চরিত আজও আবির্ভূত হয়নি এবং ভবিষ্যতেও আর হবে না। এটিও যেন এক অনিশেষ ঝর্ণাধারা। জীবন চরিতের ভাণ্ডার নৈমিত্তিক যা রচিত হচ্ছে, তা নিত্য নতুনই মনে হয়।

যারা এই আবেশে পাগলের মতো তার দিকে ছুটে আসেন, তাদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই যে, এই সবুজ গম্বুজের সত্যিকারের ঘ্রাণ একমাত্র তারাই নিতে পারে, এই স্রোতস্বীনি নির্ঝর থেকে স্বচ্ছ ভালোবাসার স্বাদ তারাই গ্রহণ করতে পারে যারা তার সংগ্রামমূখর জীবনের অনুসারী। যারা নিজ নিজ এলাকায় তার মিশন বাস্তবায়নে রক্ত ঝড়ায়। যারা নিজ মাতৃভুমিতে জেঁকে বসা অসংখ্য প্রভুর নাগপাশ থেকে মানবতাকে রক্ষায় জানমাল খরচ করে। প্রচলিত অসংখ্য বাতিল জীবন ব্যবস্থার স্থলে সত্য-সরল জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় যাদের সময় ও শ্রম ব্যয় হয়।

পৃথিবীর দেশে দেশে মানবতার লাঞ্ছনা যাদের মানবিকতাকে সামান্যতম বিচলিত করতে পারে না। যেখানে মানবজাতি নিকষ অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে, পাশবিকতা, হিংস্রতা, জুলুম ও নির্যাতন রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে, শিরক ও পৌত্তলিকতা সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ করেছে। সমাজ জীবনের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গে এমন ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে যে, সেখান থেকে উৎকট দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। সাধারণ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরতে বসেছে। ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্র্রীয় অস্ত্রধারীদের জোরে নিদারুণ শোষণ-নিষ্পেষণে জাতিকে পিষ্ট করছে। চারদিকে দলিত মথিত হচ্ছে মানবিক মর্যাদা। লাঞ্ছিত ও ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে মনুষত্ব।

বিবেক ও মন যেন আজ কঠিন দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ হয়ে গেছে, যার দরুন কোথাও প্রতিবাদ নেই। হতাশা ও ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাসে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে গেছে। এহেন অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিশন যে একমাত্র মুক্তির উপায় হতে পারে, তা যাদের মনে ক্ষীণতম আশার আলো জ্বালে না। মানবতার আত্মার আর্তনাদ যাদের কর্ণকুহরে পৌঁছে না। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি কি ভাবে কোন ধরণের ভালোবাসা পোষণ করেন, তা আমার বুঝে আসে না।

কিন্তু মনের কান পেতে শুনুন সবুজ গম্বুজের চূড়া থেকে বয়ে আসা সম্মিলিত করুণ কান্না। মানবতার করুণ লাঞ্ছনায় সবুজ গম্বুজ থেকে সূরা রুমের ৪১ নং সেই আয়াতটি যেন তেলাওয়াত হচ্ছে, ‘পৃথিবীর জলে-স্থলে যে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে, তা শুধু মানুষের কৃতকর্মের ফল। এভাবে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করাতে চান। হয়তো তারা সৎপথে ফিরে আসবে।’

নিপীড়িত বঞ্চিত বিপন্ন মানবতার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন ব্যথিত হৃদয়ে বিদায় হজের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের বার বার পূনরাবৃত্তি করছেন। রাতের অন্ধকারে মনের চক্ষু দিয়ে লক্ষ্য করুন, এই বুঝি মহাকালের মহান রাষ্ট্রপতি হজরত ওমর (রা.) ক্ষুধার্ত মানুষের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন। জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি কায়েমের জন্য বার বার তাগাদা দিচ্ছেন সিদ্দিকে আকবর হজরত আবু বকর (রা.)। যদি এই কান্নার সুর আপনি উপলব্ধি না করতে পারেন, তবে আপনার আবেগ-অনুভূতি সস্তা মায়াকান্নার রূপ নেবে।

সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিশনারী জীবন। মিশন কি ছিল তা নিন্মোক্ত আয়াতে ব্যক্ত হয়েছে, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি স্বীয় রাসূলকে হেদায়েত ও সত্য জীবন ব্যবস্থা সহকারে পাঠিয়েছেন, যাতে তিনি এই সত্য জীবন ব্যবস্থাকে অন্যসব ধর্মমত ও জীবন ব্যবস্থার ওপর বিজয়ী করে দিতে পারেন। মুশরেকদের তা যতই অপছন্দনীয় হোক না কেন।’ –সূরা আস সফ: ৯

তিনি মুশরেকদের পছন্দ-অপছন্দের তোয়াক্কা না করে, সকল প্রকার বিরোধীতাকে উপেক্ষা করে সত্য জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের কাজ সুসম্পন্ন করেছেন। মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা ও প্রভু আছেন এবং মানুষ তারই গোলাম ও দাস শ্রেষ্টতম এই সত্য, যার ওপর সভ্যতার কল্যাণ-অকল্যাণ পুরোপুরি নির্ভরশীল। তিনি সৎ ও নিষ্কুলষ সভ্যতার এই পবিত্র বৃক্ষ রোপন করে গেছেন। তিনি মানুষের মন-মননে ধ্রুব সত্যের রূপ দিয়ে গেছেন।

সুতরাং যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিপ্লবী জীবন চরিত্রে মনোনিবেশ করেন কেবলমাত্র তারাই সবুজ গম্বুজের চূড়ায় আলোক রশ্মি দেখতে পায়। তারাই কেবল সবুজ গম্বুজের সত্যিকার ঘ্রাণ নিতে পারে।

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;