ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম হেফাজতের

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স দূতাবাস অভিমূখে হেফাজতের মিছিল, ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্স দূতাবাস অভিমূখে হেফাজতের মিছিল, ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনীর প্রতিবাদে ফ্রান্সের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দূতাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

বিজ্ঞাপন

এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল শুরু হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

মিছিলটি বেইলি রোড়ের সামনে গেলে পুলিশ আটকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

এখানে মুনাজাত করে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী। এ সময় তিনি বলেন, শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি উপলক্ষে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন বায়তুল মোকাররম চত্বর। বেলা ১১টায় পুরো এলাকা সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।

মিছির পূর্ব সমাবেশে হেফাজতের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রান্সের বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও ঘৃণা প্রস্তাব আনার দাবি জানান। এছাড়া ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

উল্লেখ্য, স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-স্বাধীনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন প্রদর্শন করেন। এ ঘটনার পর ১৬ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর স্যামুয়েলকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন।

স্যামুয়েল হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়।

ফ্রান্সের পণ্য বর্জন এবং দেশে দেশে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে শনিবার ম্যাক্রোঁ আল জাজিরাকে এক সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি মুসলমানদের অনুভূতি অনুধাবন করেছেন বলে জানালেও কার্টুন প্রদর্শনীর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেননি।