ধর্মে-কর্মে কেন পিছিয়ে মুসলিম ঘরের সন্তানরা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নৈতিক শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নামাজ অনন্য, ছবি: সংগৃহীত

নৈতিক শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নামাজ অনন্য, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘হে আমাদের রব! তুমি আমাদের স্ত্রী (স্বামী) ও সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকিদের ইমাম।’ - সূরা আল ফুরকান: ৭৪

প্রায় বাবা-মা সন্তানদের জন্য আল্লাহতায়ালার দরবারে কোরআনের এই আয়াত পড়ে দোয়া করেন। তার পরও দেখা যায়, পিতা-মাতা দ্বীনদার; কিন্তু তাদের সন্তান-সন্ততিরা দ্বীন মানে না। ইসলাম বিধানাবলী পালন করে না। একজন মুসলিম পিতা-মাতার কাছে সন্তানের ইসলামের প্রতি উদাসীন কিংবা বিরোধী হওয়া ভীষণ কষ্টের বিষয়।

ঈমান গ্রহণকারী একজন ব্যক্তির প্রথম কাজ হলো তার স্ত্রী কিংবা স্বামী, সন্তান-সন্ততি ও নিকটবর্তী লোকজনকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা নিজেদের ও পরিবার-পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও, যার জ্বালানি হবে মানুষ আর পাথর।’ -সূরা আত তাহরিম: ৬

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহতায়ালার সেই নির্দেশ অনুসারে প্রথমে তার পরিবার-পরিজন ও নিকটতম লোকদের নিকট ইসলামের দাওয়াত প্রদান করেন। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতে প্রথম ঈমান আনেন তার প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা (রা.)। তারপর তার পরিবারের সদস্য কিশোর হজরত আলী (রা.) ও প্রিয় বন্ধু হজরত আবু বকর (রা.)। ঘরে যদি স্বামী কিংবা স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি ইসলামের পক্ষে হয়ে থাকে, তবে সেটি হয় বড় প্রশান্তির; সেটি হয় পিতা-মাতার পরম চাওয়া ও পাওয়ার বিষয়।

আমরা জানি, সন্তান-সন্ততির গড়ে ওঠার ভিত্তি হলো- পরিবার। পারিবারিক শিক্ষা সন্তানকে শিশু অবস্থা থেকে ক্রমান্বয়ে ইসলামের পথে চলার ক্ষেত্রে প্রেরণা যোগায়। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেকটি মানব শিশু ইসলামের ওপর জন্মগ্রহণ করে। তারপর তাদের পিতা-মাতা তাদেরকে ইহুদি, খ্রিস্টান কিংবা মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলে। এতে বোঝা যায়, সন্তান কেমন হবে তা বহুলাংশে নির্ভর করে তার পিতা-মাতার আচার-আচরণ ও পারিবারিক পরিবেশের ওপর। সন্তানের লালন-পালন, লেখাপড়া, ভালো চাকরি, প্রতিষ্ঠা লাভ, বিয়ে-শাদি ইত্যাদির ক্ষেত্রে বাবা-মা যতখানি আন্তরিক, নৈতিক চরিত্র তথা দ্বীন শিক্ষা দানে ততখানি আন্তরিকতা অনেকের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সন্তানকে নৈতিকতা শিক্ষাদান অপেক্ষা পিতা-মাতার দেওয়ার কিছুই নেই।’

নৈতিক শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নামাজ অনন্য। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে দূরে রাখে।’ আল্লাহর রাসূল (সা.) সন্তানকে নামাজ শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে জোর তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু এখনতো আমাদের মসজিদগুলো শিশুশূন্য। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) শিশুদের নামাজে অভ্যস্ত করা ও দশ বছর বয়সে উপনীত হলে হালকা মারপিটের কথাও বলেছেন। সন্তান স্কুলে না গেলে কিংবা লেখাপড়ায় গাফিলতি করলে আমরা যতখানি পেরেশানি অনুভব করি, নামাজ না পড়লে মনে হয় না তেমন কষ্ট অনুভব করি। অথচ এই সন্তান জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের পাশাপাশি যদি অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে তখন সে তার দুনিয়া ও আখেরাত দু’টি হারায়। হালসমযের সন্তানদের নৈতিক অধপতন ও ইসলামবৈরী আচরণের অন্যতম কিছু হলো-

ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে গ্রহণ না করা
আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছেন যারা আচার-আচরণে অত্যন্ত ধার্মিক। নামাজ-রোজা-হজ ও জাকাতসহ আনুষ্ঠানিক ইবাদত-বন্দেগিতে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। কিন্তু সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ইসলাম মেনে চলার ক্ষেত্রে বেশ দুর্বল। এই শ্রেণির মুসলমানের সন্তানরা সাধারণত সেক্যুলার ধ্যান-ধারণায় অভ্যস্ত হয়ে থাকে।

সন্তানের সামনে নিজেকে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে না পারা
সন্তান পিতা-মাতাকে খুব কাছ থেকে দেখে। তাই তাদের আচার-আচরণ, লেন-দেনে যতখানি স্বচ্ছতা থাকা দরকার সন্তানরা সেটি না পেলে পিতা-মাতার প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং এই অনাগ্রহ অনেক সময় ইসলামের ওপর চলে আসে। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘এমন কথা কেন বলো, যা নিজেরা করো না? এটি আল্লাহর কাছে বড়ই ক্রোধ-উদ্রেককারী বিষয়, তোমরা যা বলো তা নিজেরা করো না।’ –সূরা সফ

ঘরে ইসলামের অনুশাসন না মানা
ঘরগুলোকে কবরখানায় পরিণত না করা প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নফল নামাজ ঘরে পড়ার তাগিদ দিয়েছেন। এতে বাচ্চারা বাবা-মার অনুসরণ করে নামাজে অভ্যস্ত হতে পারে। অনেক পর্দানশীন মা ছোট্ট মেয়েকে সখ করে পুরুষের পোশাক পরিধান করায়, আবার অনেক মা নিজে নেকাব পরিধান করে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে পর্দাহীন অবস্থায় সঙ্গে নিয়ে চলেন। এমন আচরণ কাম্য নয়।

হারাম উপার্জন
আনুষ্ঠানিক ইবাদত পালনে অভ্যস্ত এমন অনেকে আছেন, যাদের রুজি হালাল নয়। এমন লোকের সন্তানরা সাধারণত বাড়তি অর্থ পেয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যায়।

পরিবারে সময় না দেওয়া
একজন মানুষের ওপর তার নিজের, স্ত্রী কিংবা স্বামী, সন্তান ও পরিবারের হক রয়েছে এবং তাদের হক আদায় দ্বীনেরই অংশ। এই বোধ উপলব্ধি আমরা অনেক সময় হারিয়ে ফেলি। এমতাবস্থায় পিতা-মাতার সঙ্গে সন্তানের বন্ধন হালকা হয়ে যায় এবং পিতা-মাতাকে বন্ধু হিসেবে না পেয়ে বাইরে বন্ধু তালাশ করে। ইসলামবৈরী হওয়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি কারণ।

রূঢ় আচরণ
শাসন করার নামে সন্তানের সঙ্গে পিতা-মাতার রূঢ় ও কর্কশ ব্যবহার অনেক সময় হিতে বিপরিত হয়।

অবশ্য পিতা-মাতা যথাযথ দায়িত্ব পালনের পরও অনেক সময় সন্তানরা চোখ শীতলকারী না হয়ে চোখের কাঁটা হয়। অনেক নবী-রাসূলের স্ত্রী-সন্তানগণ তাদের কষ্টের কারণ ছিলেন। হজরত নূহ (আ.)-এর ছেলে, হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রী ও হজরত আছিয়া (আ.)-এর স্বামী ফেরাউনের উদাহরণ আমাদের সমানে বিদ্যমান। এ প্রসঙ্গে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের স্ত্রী (স্বামী) ও সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক।অবশ্য তোমরা যদি তাদের অপরাধ ক্ষমা করে দাও, তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করো, তাদের মাফ করার নীতি অবলম্বন করো, তাহলে আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তোমাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি একটি পরীক্ষা। আর কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আছে বিরাট প্রতিদান।’ -সূরা তাগাবুন: ১৪-১৫

বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালা নিজেই স্ত্রী-স্বামী ও সন্তানদের মধ্যে কাউকে শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তাদের থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। অর্থাৎ স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির কারণে আমরা যেন ঈমান ও নীতি-নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত না হই। কিন্তু আল্লাহ তাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করতে বলেননি বা সন্তানকে ত্যাজ্য বা স্ত্রী-স্বামী থেকে বিচ্ছেদ হতে বলেননি। এমনটি করলে সংশোধনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বরং আল্লাহ বলেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করতে ও দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করতে এবং বিনিময়ে আল্লাহকে পাওয়া যাকে অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু হিসেবে।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক উন্নয়ন ও সন্তানদের সংশোধনের লক্ষ্যে আল্লাহ চান তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করতে ও ক্ষমা করতে। আল্লাহতায়ালা নবী-রাসূলদের দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন।

মুমিনদের স্বামী কিংবা স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি সব সময় চোখ শীতলকারী নাও হতে পারে। এজন্য হতাশ হয়ে তাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ কিংবা সম্পর্কচ্ছেদ নয়। বরং তাদেরকে হেকমত ও দরদের সঙ্গে আল্লাহর পথে ডাকতে হবে এবং আল্লাহর শেখানো পন্থায় তারই কাছে কাতরভাবে দোয়া করতে হবে।

   

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল
মডেল। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক স্বাধীনতা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার
কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা.
বশিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবর রহমান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

;

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২০২ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভিক্ষাবিরোধী বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী সালেম আল সামসির বরাতে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ পাওয়ার আশায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন আটককৃত এসব ভিক্ষুক। মূলত তারা পেশাদার ভিক্ষুক নন। তবে রমজানে ধনীরা দুস্থদের সহায়তা করে থাকেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করছিলেন তারা।

জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ২০২ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ, আর বাকি ৯০ জন নারী।

দুবাই পুলিশের তথ্যমতে, যারা নির্দেশনা অমান্য করে ভিক্ষা কর ধরা পড়বেন, তাদের ৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ মাসের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যারা অন্য দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে এনে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নামাবে, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।

দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আল সামসি অনুরোধ করেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যেন তাদের অবহিত করা হয়। এই কর্মকর্তার মতে, বেশিরভাগই ভিক্ষুকই বানানো গল্প বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

এমন প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। সম্প্রতি নারীর পোশাক পরিধান করে মহিলার ছদ্মবেশে মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুবাইয়ের পুলিশ। তবে লোকটির নাম ও দেশের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লোকটি পুলিশের কাছে বলেছে নারী ভিক্ষুকরা বেশি সহানুভূতি পায় বলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাই আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারীর ছদ্মবেশে সে এ কাজটি করেছিল।

দুবাই পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সন্দেহভাজন এবং অপরাধমূলক ঘটনা বিভাগ বলেছে, লোকটি বোরকা এবং নেকাব আবৃত একজন মহিলার ছদ্মবেশে দুবাইয়ের একটি মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মার্চ দেশটির ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুবাইয়ে ভিক্ষাবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই ভিক্ষাবৃত্তি একেবারেই নিষিদ্ধ। সেখানে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভিক্ষা না দিতেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আর রমজান মাসে ভিক্ষা করার দায়ে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাস জেলের বিধান রয়েছে আরব আমিরাতে। তারপরও একশ্রেণির লোক ভিজিট ভিসায় এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ভিজিট ভিসায় এসে এ ভিক্ষাবৃত্তি বেশি করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

;

‘৫৩ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার ফিরে পায়নি’



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে নষ্ট করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটাই তারা পাচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি কামনায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গণ-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ সামান্য স্বার্থে নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সৎ সাহস অধিকাংশই হারিয়ে ফেলেছে। আল্লামা মামুনুল হক-সহ গুটিকয়েক সাহসী আলেম যারা দেশ-জাতি ও ইসলামের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ইসলাম এদেশের গনমানুষের অন্তরে গ্রথিত। একে এত সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না।

এসময় তিনি ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যুব মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় গণ-ইফতারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া ফারুকী, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমীন, ওমর মাতুব্বর, নাঈমুদ্দীন, মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আজীজ, দীদার প্রমুখ।

;

মক্কা-মদিনার রেলভাড়ায় বিশাল ছাড়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেসের টিকেটমূল্যে বিশাল ছাড় দিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে হারামাইন এক্সপ্রেসের ইকোনমি ক্লাসের টিকেটের দামে ৫০ শতাংশ এবং বিজনেস ক্লাসের টিকেটে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা। তবে এই ছাড় কেবল মদিনা থেকে মক্কা এবং জেদ্দা থেকে মক্কা-মদিনা রুটের যাত্রীরা ভোগ করবেন।

পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার মধ্যকার দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। সারা বছরই শহর দু’টিতে হজ ও উমরা যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে। ২০১৮ সাল থেকে এই রুটে উচ্চগতিসম্পন্ন হারামাইন এক্সপ্রেস চালু করে সৌদির সরকার। যাত্রাপথে জেদ্দা শহরে যাত্রাবিরতি দেয় ট্রেনটি।

যাত্রীরা চাইলে সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকেট কিনতে পারবেন, কিংবা এসএআর ডট এইচএইচআর ডট এসএ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনেও টিকেট কিনতে পারবেন।

অনলাইনে মূল্য পরিশোধের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ইমেইলে টিকেট এসে যাবে বলে জানিয়েছে সৌদির পরিবহন মন্ত্রণালয়।

হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ে বা এইচএইচআর ট্রেন পবিত্র দুই নগরীর মধ্যে দূরত্বকে কমিয়ে এনেছে। চলাচলকে করে তুলেছে আরও সহজ ও আরামদায়ক। সুচালো মাথার হারামাইন ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টায় মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছে দিচ্ছে যাত্রীদের। যেখানে সড়কপথে সময় লাগে এর দ্বিগুণেরও বেশি।

ট্রেনগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনগুলো এ রুটে দিনে প্রায় ৫০ বার যাতায়াত করে। তবে হজের সময় এ ট্রিপের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

হারামাইন ট্রেন বিশ্বের ১০টি দ্রুততম ট্রেনেরও একটি। অন্যান্য অঞ্চলও উচ্চগতির এ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। জ্বালানি তেল-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে রেলসহ অবকাঠামো খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করছে সৌদি আরব। উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কও দেশটির ভিশন-২০৩০ পরিকল্পনার অংশ।

;