‘কারোনাকালেও প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদরাসা চালুর ব্যবস্থা করেছেন’

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বক্তব্য রাখছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি, ছবি: সংগৃহীত

বক্তব্য রাখছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি, ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো মতবিরোধ কিংবা মতভিন্নতা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করা যায়। আলোচনার মাধ্যমে যে সমাধান আসে সেখানেই সবার জন্য কল্যাণ নিহিত।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তার অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী ধর্মীয় বিষয়ে উসকানি দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। এ বিষয়ে দেশে আলেম-উলামা ও ইমাম-খতিবসহ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সচেতন থাকতে হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। তিনি উলামা-মাশায়েখদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে করোনা মহামারির মধ্যে হাফেজিয়া, নুরানি এবং কওমি মাদরাসাসমূহ চালু রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি ভেবেছেন, নিয়মিত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, পবিত্র হাদিসের অধ্যায়ন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করলে আল্লাহতায়ালা করোনাভাইরাস থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করবেন। আলহামদুলিল্লাহ, অন্যান্য দেশের তুলনায় আল্লাহতায়ালা আমাদের দেশকে করোনা পরিস্থিতিতে অনেক ভালো রেখেছেন।

বিজ্ঞাপন

‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। মানবতাবাদী নেতা হিসেবে তিনি বাংলাদেশকে সব ধর্মের মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট ছিলেন’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ নগরীর এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বিপিএম, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান পিপিএম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আব্দুস ছালাম প্রমুখ।