নভেম্বরে শুরু হচ্ছে ভারতে হজ রেজিস্ট্রেশন

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আগামী নভেম্বর মাস থেকে শুরু হচ্ছে ২০২২ সালের ভারতের মুসলমানদের হজযাত্রার রেজিস্ট্রেশন। তবে করোনার টিকা নিলে তবেই মিলবে হজ যাত্রার ছাড়পত্র। সম্প্রতি হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটি রিভিউ বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার পর হজযাত্রীর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

বৈঠকে মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী মাসের শুরুতেই ২০২২ সালের হজযাত্রা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। ঘোষণার পর নভেম্বর থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে হজের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন ইচ্ছুকরা। প্রত্যেক হজযাত্রীকে দেওয়া হবে ডিজিটাল ‘ই-মাসিহা’ হেলথ কার্ড। যার মাধ্যমে সমস্ত মেডিক্যাল সুবিধা পাবেন তারা। পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য থাকবে ‘ই-লাগেজ-প্রি-ট্যাগিং’ কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে মক্কা-মদিনাতে বাসস্থান এবং পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাবেন যাত্রীরা।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে হজযাত্রা নিয়ে করোনা প্রোটোকল সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে। মহামারির কথা মাথায় রেখে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য, বিদেশ, অসামরিক বিমান পরিবহন, হজ কমিটি অফ ইন্ডিয়া, সৌদি আরবের ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দাস্থ ভারতের হজ অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে। ২০২২ সালের হজযাত্রার সমস্ত কাজ চলবে অনলাইনের মাধ্যমে।

মূলত ভারতের হজযাত্রীরা সৌদি আরবে কতদিন থাকবেন, কীভাবে তারা সেখানে পৌঁছবেন, কোভিড সংক্রান্ত নিয়মাবলীসহ একাধিক বিষয় সম্পর্কে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে ভারত সরকার।

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালের হজের জন্য কোভিড প্রোটোকল এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ভারত এবং সৌদি সরকার। হজযাত্রীসহ হজ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ এবং ২০২১ সালে পুরুষ যাত্রী ছাড়া হজের জন্য আবেদন জানানো ৩ হাজার মহিলা হজযাত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০২২ সালের হজের জন্য বিবেচিত হবেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০১৯ সালে ভারত থেকে হজ পালন করেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার জন। পরে অবশ্য ভারতের জন্য হজযাত্রীদের কোটা ৩০ হাজার বাড়িয়ে ২ লাখ করার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার জন্য বিদেশিদের জন্য হজের অনুমতি না থাকায় কাউকে পাঠাতে পারেনি ভারত।