জুমার দিন যাদের গোনাহ মাফ হয়

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মহান আল্লাহ রাত ও দিনকে সৃষ্টি করেছেন। সব দিনের মধ্যে জুমাবার তথা শুক্রবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে এই দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে।

জুমার দিনের বৈশিষ্ট্য

বিজ্ঞাপন

সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে জুমার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। হজরত আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনজির (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। তা হলো- এক. আল্লাহতায়ালা এদিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন, দুই. আল্লাহতায়ালা এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে জমিনে অবতরণ করিয়েছেন, তিন. এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে মৃত্যু দিয়েছেন, চার. এই দিনে এমন সময় আছে যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা কিছুই প্রার্থনা করবে তিনি তা দেবেন। যতক্ষণ না সে হারাম কিছু প্রার্থনা করবে না, পাঁচ. এই দিনে কেয়ামত সংঘটিত হবে।’ -ইবনে মাজাহ : ৮৯৫

জুমার দিনের বিশেষ মর্যাদা

বিজ্ঞাপন

মহান আল্লাহর কাছে জুমাবারের বিশেষ মর্যাদা আছে। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের জন্য এই দিনটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। হজরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলে কারিম (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা আগের জাতিদের কাছে জুমার মর্যাদা অজ্ঞাত রাখেন। তাই ইহুদিরা শনিবার নির্ধারণ করে। আর খ্রিস্টানরা রোববার নির্ধারণ করে। অতঃপর আমরা আসি। আমাদের তিনি জুমার দিনের মর্যাদা প্রকাশ করেন।’ -সহিহ মুসলিম : ৮৫৬

জুমার দিন পুরো বছর নামাজের সওয়াব

জুমার দিন গোসল করা ও আগে আগে মসজিদে যাওয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হজরত আউস বিন আউস সাকাফি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করল, দ্রুততর সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগ দিয়ে (খুতবা) শুনল, তার জন্য প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব থাকবে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৩৪৫

মসজিদে প্রথমে প্রবেশের সওয়াব

জুমার দিন মসজিদে আগে প্রবেশ করা ও মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনার বিশেষ গুরুত্ব আছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, অতঃপর প্রথমে মসজিদে গেল সে যেন একটি উট কোরবানি করল। যে এরপর মসজিদে গেল সে যেন একটি গরু কোরবানি করল। আর যে এরপর ঢুকল সে যেন ছাগল কোরবানি করল, এরপর যে ঢুকল সে যেন মুরগি কোরবানি করল, আর যে এরপর ঢুকল সে ডিম সদকা করল। অতঃপর ইমাম খুতবার জন্য এলে ফেরেশতারা আলোচনা শোনা শুরু করে।’ -সহিহ বোখারি : ৮৪১

গোনাহ মাফ হয়

বিখ্যাত সাহাবি হজরত সালমান ফারসি থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুই জন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে আল্লাহতায়ালা তার দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গোনাহ মাফ করবেন।’ –সহিহ বোখারি : ৮৮৩

জুমার দিন দোয়া কবুলের সময়

জুমার দিন একটি সময় আছে, যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আসরের পর অনুসন্ধান করো।’ -সুনানে আবু দাউদ : ১০৪৮