দোষ গোপন রাখার উপকারিতা



মাওলানা ফজলুল হক, অতিথি লেখক, ইসলাম
যে কোনো মুসলিমের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন

যে কোনো মুসলিমের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন

  • Font increase
  • Font Decrease

দোষ আড়াল করে রাখা আল্লাহতায়ালার অন্যতম অনুগ্রহ ও দান। এটা ছাড়া কিছুতেই মানুষের জীবন সুন্দর হয় না। এর ছায়াতলে থাকা ব্যতীত মন সুখী হয় না। দোষ ঢেকে রাখাটা শোভা ও সৌন্দর্য, উজ্জ্বলতা ও মহত্ত্ব। জাতি এর মাধ্যমে নিজের কাঠামো, সংহতি ও ভিত্তি রক্ষা করে। দোষ আড়াল করে রাখার অর্থ হলো- কথায় ও কাজে, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে দোষত্রুটি ঢেকে রাখা, ব্যর্থতা-তুচ্ছতা গোপন করা ও মন্দত্ব-স্খলন লুকিয়ে রাখা। আমাদের প্রতিপালক এ মহান গুণে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত, কেননা তিনি হলেন শ্রেষ্ঠতম গোপনীয়তা রক্ষাকারী। সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ লজ্জাশীল, দোষ গোপনকারী।’

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে তিনি অপছন্দ করেন এমন কিছুর সংবাদ গেলে তিনি এড়িয়ে যেতেন, তা স্পষ্ট করে প্রকাশ করতেন না। গোপন রাখতেন, তা ফাঁস করতেন না। তিনি বলেন, ‘সেসব লোকের কী অবস্থা যারা এমন এমন বলে?’ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোক নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমি শহরের দূরতম প্রান্তে এক নারীর সঙ্গে মেলামেশা করেছি এবং তার সঙ্গে আমার সহবাস করা ছাড়া সবই হয়েছে। আমি উপস্থিত, আমার বিষয়ে যা আপনার ইচ্ছা হয় বিচার করেন। তখন হজরত ওমর (রা.) তাকে বললেন, আল্লাহ তোমার বিষয়টি গোপন রেখেছেন, যদি তুমি নিজেকে গোপন রাখতে! এ কথায় নবী করিম (সা.) কোনো বাধা দেননি। তখন লোকটি উঠে চলে গেল। তারপর নবী করিম (সা.) আরেকজন লোক পাঠালেন তাকে ডেকে আনতে এবং এ আয়াতটি পাঠ করলেন, ‘দিনের দুই প্রান্তিক সময়ে ও রাতের প্রথম ভাগে নামাজ আদায় কর। নিশ্চয় ভালো কাজগুলো মন্দ কাজগুলোকে দূর করে দেয়। এটা জিকিরকারীদের জন্য উপদেশ।’ -সুরা হুদ : ১১৪

তখন গোত্রের এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, এটা কি তার জন্যই বিশেষভাবে নির্দিষ্ট? তিনি বললেন, ‘বরং সব মানুষের জন্যই।’ –সহিহ মুসলিম

সাহাবায়ে কেরাম দোষত্রুটি আড়াল করা এবং পাপ-স্খলন গোপন করার ক্ষেত্রে পাপী ও অন্যায়কারীদের সঙ্গে আচরণ বিষয়ে নবী করিম (সা.)-এর দিকনির্দেশনা সঠিকভাবে অনুধাবন করেছেন। ইবনে আবি শায়বা স্বীয় গ্রন্থে বর্ণনা করেন, ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) বলেছেন, ‘আমি যদি কোনো মদপানকারীকে ধরি, তবে আমি চাইতাম আল্লাহ তাকে গোপন করে রাখেন। আর আমি যদি কোনো চোরকে ধরি, তবে আমি চাইতাম আল্লাহ তাকে আড়াল করে রাখেন।’

দোষ গোপন রাখার সবচেয়ে বড় দৃশ্য হলো যেদিন আল্লাহ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে সব মানুষকে একত্র করবেন, যেখানে আল্লাহর রহমত প্রতিভাত হবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ মোমিন বান্দাকে কাছে নিয়ে তার ওপর নিজের ছায়া রাখবেন, তাকে আড়াল করবেন, তারপর বলবেন, তুমি কি অমুক গোনাহর কথা জান? তমুক পাপের কথা জান? সে বলবে, হে আমার রব, হ্যাঁ। এভাবে যখন সে নিজের পাপ স্বীকার করবে এবং মনে করবে যে, সে ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন আল্লাহ বলবেন, আমি দুনিয়াতে তোমার পাপ আড়াল করেছিলাম, আজ আমি তোমার জন্য তা ক্ষমা করে দিলাম, তারপর তার ভালো কাজের আমলনামা দেওয়া হবে।’ -সহিহ বোখারি

যে লোক নিজের দোষ গোপন রেখে আপন রবের দরবারে তওবা করে, আল্লাহর তা আড়াল করার আশা নিয়ে এবং তাকে ক্ষমা করার আকাঙ্খা পোষণ করে সেই লোকের জন্য আল্লাহর রহমতের বরং আরও বড় দৃষ্টান্ত হলো, তিনি নিজের অনুগ্রহে ও দয়ায় তার মন্দ কাজগুলোকে পুণ্যে পরিবর্তন করে দেবেন।

সুন্দর করে অন্যের দোষ গোপন করে রাখা মনুষ্যত্ব, বিশ্বস্ততা, উদারতা ও ভ্রাতৃত্বের পরিচয়। সুন্দর আচরণের পরিচয়বাহী এমন দোষ ঢেকে রাখার দৃষ্টান্ত হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার দোষ আড়াল করে রাখা। আল্লাহ বলেন, ‘তারা তোমাদের জন্য পোশাক ও তোমরা তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।’ -সুরা বাকারা : ১৮৭

পাপের কথা প্রচার করাও পাপ, এমন ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয় না 

 

জীবনের মধুর লগ্নে, তিক্ততায়, দুঃসময় ও সুখের লগ্নে উভয়ে আরেকজনের জন্য পর্দার আচ্ছাদন ও শোভা, ভালোবাসা, মমতা ও পূর্ণতার প্রতীক। তারা খুশি-আনন্দ ভাগাভাগি করবে, দুঃখ-বেদনা বণ্টন করে নেবে। তাই ভালোবাসা, দয়া ও কঠোর অঙ্গীকারের পরে একে অপরের গোপনীয়তা ফাঁস করে দেওয়া সমীচীন নয়।

দোষ গোপন রাখার উপকারিতা বিশাল। ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বিস্তার, মুসলমানদের মধ্যে সুধারণা সৃষ্টি, পাপী লোককে নিজেকে সংশোধন করতে এবং নিজ রবের কাছে তওবা করতে সহযোগিতা ইত্যাদি। দোষ গোপন রাখার গুরুত্বের কারণেই আল্লাহ মন্দকর্মের প্রচার ও ধ্বংসাত্মক বিষয়াদির প্রসার অপছন্দ করেন। যারা এমন কাজ করে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

অশ্লীল বিষয়াদি বিস্তার লাভ করুক এটা মনে মনে কামনা করা ও তাতে আনন্দিত হওয়াতেই যদি এত কঠোর হুঁশিয়ারি থাকে, তবে যারা তা সরাসরি প্রচার করে তাদের অবস্থা কেমন দাঁড়াবে? ইমাম বোখারি (রহ.) এর আল-আদাবুল মুফরাদে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অশ্লীলতার কথা শুনে তা প্রচার করে দিল, সে লোক তাতে ওই লোকের মতো জড়িত হয়ে পড়ল, যে তা সরাসরি করেছে। এর চেয়েও মারাত্মক হলো, এর দ্বারা সে নিজেকে আল্লাহর ক্ষমা থেকে ছিটকে ফেলল।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার পুরো উম্মত ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে, তবে পাপের প্রচারকারীরা ছাড়া। আর পাপের প্রচারণার দৃষ্টান্ত হলো, ব্যক্তি রাতে কোনো পাপ করে সকাল হলে বলবে, হে অমুক, আমি তো গতরাতে এমন এমন কাজ করেছি, অথচ আল্লাহ তা গোপন রেখেছিলেন। তার রব রাতে তা আড়াল করে রাখলেন, আর সে সকালে আল্লাহর পর্দা ফাঁস করে দিল।’

আল্লাহ কর্তৃক বান্দার দোষ গোপন করে রাখার সবচেয়ে বড় উপায় হলো, বান্দা নিজেকে খাঁটি ও আন্তরিক রাখার সর্বাত্মক সাধনা করবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কথায়-কাজে নিষ্ঠাবান হয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ ঢেকে রাখেন। আর যে নিজের আমলের দ্বারা যশ, খ্যাতি, সুনাম, প্রশংসা চায় আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হন, মানুষকে তার মনের নষ্টামির কথা জানিয়ে দেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে অন্যকে শোনাতে চায়, আল্লাহ তার দোষ শুনিয়ে দেন। যে লোক দেখাতে চায়, আল্লাহ লোকদের তার দোষ দেখিয়ে দেন।’ -সহিহ বোখারি

আল্লাহ কর্তৃক বান্দার দোষ গোপন রাখার আরেকটি বড় উপায় হলো, বান্দা অন্যদের দোষ গোপন রাখার গুণে ভূষিত হবে। যেমন কর্ম তেমন প্রতিদান হবে। তাই যে তার ভাইদের দোষ আড়াল করতে সচেষ্ট হবে, আল্লাহ আরও কঠিনতম পরিস্থিতিতে তার দোষ গোপন রাখবেন, যখন আল্লাহর দোষ করার প্রতি ও তার ক্ষমার প্রতি তার প্রয়োজন খুব বেশি হবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন করল, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন করবেন।’ –সহিহ বোখারি

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;