জনপ্রিয় কিছু ইসলামি পর্যটনকেন্দ্র



মাহফুজ বিন ফারুক, অতিথি লেখক, ইসলাম
প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র

প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে আছে ঐতিহাসিক, রহস্যঘেরা ও নয়নাভিরাম বহু স্থান। যা দেখতে ছুটে যায় পৃথিবীর নানা প্রান্তের পর্যটকরা। মুসলিম বিশ্বের এমন জনপ্রিয় সাতটি পর্যটনকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা করা হলো।

নকশে ময়দানে জাহান
ইরানের ইস্পাহানে অবস্থিত নকশে ময়দানে জাহানের অন্য নাম ইমাম স্কয়ার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামি পর্যটনকেন্দ্র। হাজার বছরের প্রাচীন ও মুসলিম সভ্যতার অন্যতম ধারক এই শহরকে পৃথিবীর অর্ধেক সৌন্দর্য বলা হয়। ১৫৯৮ সালে শাহ আব্বাস তার সাম্রাজ্যের রাজধানী উত্তর-পশ্চিম শহর কাজিন থেকে ইস্পাহানে স্থানান্তরিত করার সময় পারস্যের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এই কেন্দ্রের নির্মাণ শুরু করেন। ঐতিহাসিক এই দৃষ্টিনন্দন স্থানটি ইসলামিক স্থাপত্য সমাহারে বেষ্টিত। এর বিশেষ আকর্ষণ নীল আর হলুদ রঙের কারুকাজখচিত টাইলস। স্কয়ারটি এক হাজার ৮৪০ ফুট দীর্ঘ ও ৫২০ ফুট প্রস্থ। ৯ লাখ ৬৪ হাজার স্কয়ার ফিটের বিশাল জায়গার চারপাশে আকর্ষণীয় দালান ও মাঝখানে কৃত্রিম ঝরনা।

ইরানের ইস্পাহানে অবস্থিত নকশে ময়দানে জাহানের অন্য নাম ইমাম স্কয়ার



জালুলু হাম্মাম
তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ইস্তাম্বুলের জালুলু হাম্মাম। হাম্মাম অর্থ গোসলখানা। এই তুর্কি গোসলখানায় পর্যটকদের ঐতিহ্য ও আধুনিক পদ্ধতির সমন্বয়ে গোসল করানো হয়। নেওয়া হয় বিশেষ যত্ন। হাউসটি ১৭৪১ সালে নির্মিত। তুর্কি আদালতের স্থপতি ঐতিহাসিক হাম্মামখানার নকশা করেছিলেন। এখানে ইস্তাম্বুলের বৃহত্তম স্প্লাশিং ঝরনা ও হালকা ফিল্টারিং গম্বুজ রয়েছে। বাথহাউসগুলো গম্বুজযুক্ত। অষ্টভুজাকার রুম কেন্দ্র করে তা নির্মাণ করা হয়েছে। তুর্কি হাম্মামে গোসল করতে হলে পর্যটকদের গুনতে হয় ৭০ ডলার।

মুসলিম কোয়ার্টার
চীনের জিয়ানে অবস্থিত মুসলিম কোয়ার্টার। এখানে আছে চীনের মুসলিম হুই গোত্রের প্রাচীন বাড়ি-ঘর ও মসজিদ। জিয়ানে ৭০ হাজারের মতো হুই মুসলিম বসবাস করে। মুসলিম কোয়ার্টারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আঠারো শতকে নির্মিত গ্রান্ড মসজিদ, যা চীনা শৈলীতে নির্মিত। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বাণিজ্যিক কারণে মুসলিম কোয়ার্টার বেশ জনপ্রিয়। বিশেষত মুসলিম কোয়ার্টার স্ট্রিট ফুড ও রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয়।

তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ইস্তাম্বুলের জালুলু হাম্মাম



আলহামরা
স্পেনের গ্রানাডায় অবস্থিত আমহামরা মুসলিম স্পেনে সর্বশ্রেষ্ঠ স্মৃতিস্তম্ভ। গ্রানাডার শহরের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের আসসাবিকা পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই রাজপ্রাসাদ নবম শতাব্দীর শেষভাগে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান দুর্গের ভিতের ওপর নির্মিত হয়। তবে প্রাসাদ ও সংলগ্ন অন্য অংশ ১৩ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে সম্পন্ন হয়। আলহামরা প্রাসাদটি নাসরি রাজবংশের শাসনকালে তৈরি, যা তাদের বাসস্থান ও রাজসভা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। রাজা ফার্ডিন্যান্ড ও রানি ইসাবেলা স্পেন জয়ের পর আলহামরাকে তাদের রাজপ্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করেন। এ প্রাসাদের সংলগ্ন করিডোর, যা পুকুর থেকে শুরু হয়ে মার্টল কোর্টে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে এবং চারপাশে জলাধার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। প্রাসাদটি ৪২ মিটার লম্বা এবং ২২ মিটার প্রশস্ত।

আরব স্ট্রিট
সিঙ্গাপুরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোর অন্যতম আরব স্ট্রিট। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। ব্রিটিশ-মোগল নকশায় আইরিশদের নির্মিত সুলতান মসজিদ এখানে অবস্থিত। যার চারপাশে তৈরি হয়েছে মুসলিম ব্যবসাকেন্দ্র। রেস্তোরাঁয় আরবিয় খাবার, পার্সিয়ান কার্পেট, জায়নামাজ, চামড়া ও বুটিকের জুতা, চন্দনকাঠের সুগন্ধির জন্য বিখ্যাত আরব স্ট্রিট। রমজান মাসে এখানে কেক, বারবিকিউড মুরগি এবং ভারতীয় খাবারও পাওয়া যায়।

চীনের জিয়ানে অবস্থিত মুসলিম কোয়ার্টার



আরব ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট
ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত আরব ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট। ১৯৮০ সালে ফ্রান্স ও ১৮টি আরব দেশ যৌথভাবে প্যারিসে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত করে। ফ্রান্সে আরব সভ্যতা ও সংস্কৃতি তুলে ধরাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। আরব সভ্যতা, শিল্প, জ্ঞান ও নান্দনিকতার প্রচারের জন্য একটি জাদুঘর, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, রেস্তোরাঁ, অফিস ও সভাঘর নির্মাণ করা হয়। জাদুঘরটি আরব ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন দিয়ে সাজানো। পাশাপাশি সমসাময়িক আরব শিল্প থেকে আরব-আফ্রিকান ইসলামি সংস্কৃতির বহু নিদর্শন এখানে স্থান পেয়েছে। আরব ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট প্যারিসের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।

কায়রো
প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র। এখানে ইসলামি সভ্যতার বহু নিদর্শন রয়েছে। শহরজুড়ে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনা, মসজিদ ও মাদরাসা। কায়রো জাদুঘরগুলোতেও আছে ইসলামের ঐতিহাসিক অনেক নিদর্শন। কায়রোর জনপ্রিয় ইসলামি পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে আছে মিসরীয় জাদুঘর, ইসলামি আর্ট জাদুঘর, আল আজহার মসজিদ, আহমাদ ইবনে তুলুন মসজিদ, সুলতান হাসান মসজিদ, আল আজহার পার্ক, তাহরির স্কয়ার, খান এল খলিল মার্কেট, দ্য সিটাডেল, গেজারিয়া ইত্যাদি।

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;