জনপ্রিয় কিছু ইসলামি পর্যটনকেন্দ্র



মাহফুজ বিন ফারুক, অতিথি লেখক, ইসলাম
প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র

প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে আছে ঐতিহাসিক, রহস্যঘেরা ও নয়নাভিরাম বহু স্থান। যা দেখতে ছুটে যায় পৃথিবীর নানা প্রান্তের পর্যটকরা। মুসলিম বিশ্বের এমন জনপ্রিয় সাতটি পর্যটনকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা করা হলো।

নকশে ময়দানে জাহান
ইরানের ইস্পাহানে অবস্থিত নকশে ময়দানে জাহানের অন্য নাম ইমাম স্কয়ার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামি পর্যটনকেন্দ্র। হাজার বছরের প্রাচীন ও মুসলিম সভ্যতার অন্যতম ধারক এই শহরকে পৃথিবীর অর্ধেক সৌন্দর্য বলা হয়। ১৫৯৮ সালে শাহ আব্বাস তার সাম্রাজ্যের রাজধানী উত্তর-পশ্চিম শহর কাজিন থেকে ইস্পাহানে স্থানান্তরিত করার সময় পারস্যের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এই কেন্দ্রের নির্মাণ শুরু করেন। ঐতিহাসিক এই দৃষ্টিনন্দন স্থানটি ইসলামিক স্থাপত্য সমাহারে বেষ্টিত। এর বিশেষ আকর্ষণ নীল আর হলুদ রঙের কারুকাজখচিত টাইলস। স্কয়ারটি এক হাজার ৮৪০ ফুট দীর্ঘ ও ৫২০ ফুট প্রস্থ। ৯ লাখ ৬৪ হাজার স্কয়ার ফিটের বিশাল জায়গার চারপাশে আকর্ষণীয় দালান ও মাঝখানে কৃত্রিম ঝরনা।

ইরানের ইস্পাহানে অবস্থিত নকশে ময়দানে জাহানের অন্য নাম ইমাম স্কয়ার



জালুলু হাম্মাম
তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ইস্তাম্বুলের জালুলু হাম্মাম। হাম্মাম অর্থ গোসলখানা। এই তুর্কি গোসলখানায় পর্যটকদের ঐতিহ্য ও আধুনিক পদ্ধতির সমন্বয়ে গোসল করানো হয়। নেওয়া হয় বিশেষ যত্ন। হাউসটি ১৭৪১ সালে নির্মিত। তুর্কি আদালতের স্থপতি ঐতিহাসিক হাম্মামখানার নকশা করেছিলেন। এখানে ইস্তাম্বুলের বৃহত্তম স্প্লাশিং ঝরনা ও হালকা ফিল্টারিং গম্বুজ রয়েছে। বাথহাউসগুলো গম্বুজযুক্ত। অষ্টভুজাকার রুম কেন্দ্র করে তা নির্মাণ করা হয়েছে। তুর্কি হাম্মামে গোসল করতে হলে পর্যটকদের গুনতে হয় ৭০ ডলার।

মুসলিম কোয়ার্টার
চীনের জিয়ানে অবস্থিত মুসলিম কোয়ার্টার। এখানে আছে চীনের মুসলিম হুই গোত্রের প্রাচীন বাড়ি-ঘর ও মসজিদ। জিয়ানে ৭০ হাজারের মতো হুই মুসলিম বসবাস করে। মুসলিম কোয়ার্টারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আঠারো শতকে নির্মিত গ্রান্ড মসজিদ, যা চীনা শৈলীতে নির্মিত। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বাণিজ্যিক কারণে মুসলিম কোয়ার্টার বেশ জনপ্রিয়। বিশেষত মুসলিম কোয়ার্টার স্ট্রিট ফুড ও রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয়।

তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ইস্তাম্বুলের জালুলু হাম্মাম



আলহামরা
স্পেনের গ্রানাডায় অবস্থিত আমহামরা মুসলিম স্পেনে সর্বশ্রেষ্ঠ স্মৃতিস্তম্ভ। গ্রানাডার শহরের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের আসসাবিকা পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই রাজপ্রাসাদ নবম শতাব্দীর শেষভাগে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান দুর্গের ভিতের ওপর নির্মিত হয়। তবে প্রাসাদ ও সংলগ্ন অন্য অংশ ১৩ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে সম্পন্ন হয়। আলহামরা প্রাসাদটি নাসরি রাজবংশের শাসনকালে তৈরি, যা তাদের বাসস্থান ও রাজসভা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। রাজা ফার্ডিন্যান্ড ও রানি ইসাবেলা স্পেন জয়ের পর আলহামরাকে তাদের রাজপ্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করেন। এ প্রাসাদের সংলগ্ন করিডোর, যা পুকুর থেকে শুরু হয়ে মার্টল কোর্টে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে এবং চারপাশে জলাধার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। প্রাসাদটি ৪২ মিটার লম্বা এবং ২২ মিটার প্রশস্ত।

আরব স্ট্রিট
সিঙ্গাপুরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোর অন্যতম আরব স্ট্রিট। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। ব্রিটিশ-মোগল নকশায় আইরিশদের নির্মিত সুলতান মসজিদ এখানে অবস্থিত। যার চারপাশে তৈরি হয়েছে মুসলিম ব্যবসাকেন্দ্র। রেস্তোরাঁয় আরবিয় খাবার, পার্সিয়ান কার্পেট, জায়নামাজ, চামড়া ও বুটিকের জুতা, চন্দনকাঠের সুগন্ধির জন্য বিখ্যাত আরব স্ট্রিট। রমজান মাসে এখানে কেক, বারবিকিউড মুরগি এবং ভারতীয় খাবারও পাওয়া যায়।

চীনের জিয়ানে অবস্থিত মুসলিম কোয়ার্টার



আরব ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট
ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত আরব ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট। ১৯৮০ সালে ফ্রান্স ও ১৮টি আরব দেশ যৌথভাবে প্যারিসে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত করে। ফ্রান্সে আরব সভ্যতা ও সংস্কৃতি তুলে ধরাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। আরব সভ্যতা, শিল্প, জ্ঞান ও নান্দনিকতার প্রচারের জন্য একটি জাদুঘর, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, রেস্তোরাঁ, অফিস ও সভাঘর নির্মাণ করা হয়। জাদুঘরটি আরব ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন দিয়ে সাজানো। পাশাপাশি সমসাময়িক আরব শিল্প থেকে আরব-আফ্রিকান ইসলামি সংস্কৃতির বহু নিদর্শন এখানে স্থান পেয়েছে। আরব ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট প্যারিসের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।

কায়রো
প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র। এখানে ইসলামি সভ্যতার বহু নিদর্শন রয়েছে। শহরজুড়ে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনা, মসজিদ ও মাদরাসা। কায়রো জাদুঘরগুলোতেও আছে ইসলামের ঐতিহাসিক অনেক নিদর্শন। কায়রোর জনপ্রিয় ইসলামি পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে আছে মিসরীয় জাদুঘর, ইসলামি আর্ট জাদুঘর, আল আজহার মসজিদ, আহমাদ ইবনে তুলুন মসজিদ, সুলতান হাসান মসজিদ, আল আজহার পার্ক, তাহরির স্কয়ার, খান এল খলিল মার্কেট, দ্য সিটাডেল, গেজারিয়া ইত্যাদি।

   

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল
মডেল। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক স্বাধীনতা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার
কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা.
বশিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবর রহমান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

;

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২০২ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভিক্ষাবিরোধী বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী সালেম আল সামসির বরাতে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ পাওয়ার আশায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন আটককৃত এসব ভিক্ষুক। মূলত তারা পেশাদার ভিক্ষুক নন। তবে রমজানে ধনীরা দুস্থদের সহায়তা করে থাকেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করছিলেন তারা।

জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ২০২ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ, আর বাকি ৯০ জন নারী।

দুবাই পুলিশের তথ্যমতে, যারা নির্দেশনা অমান্য করে ভিক্ষা কর ধরা পড়বেন, তাদের ৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ মাসের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যারা অন্য দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে এনে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নামাবে, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।

দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আল সামসি অনুরোধ করেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যেন তাদের অবহিত করা হয়। এই কর্মকর্তার মতে, বেশিরভাগই ভিক্ষুকই বানানো গল্প বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

এমন প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। সম্প্রতি নারীর পোশাক পরিধান করে মহিলার ছদ্মবেশে মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুবাইয়ের পুলিশ। তবে লোকটির নাম ও দেশের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লোকটি পুলিশের কাছে বলেছে নারী ভিক্ষুকরা বেশি সহানুভূতি পায় বলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাই আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারীর ছদ্মবেশে সে এ কাজটি করেছিল।

দুবাই পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সন্দেহভাজন এবং অপরাধমূলক ঘটনা বিভাগ বলেছে, লোকটি বোরকা এবং নেকাব আবৃত একজন মহিলার ছদ্মবেশে দুবাইয়ের একটি মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মার্চ দেশটির ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুবাইয়ে ভিক্ষাবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই ভিক্ষাবৃত্তি একেবারেই নিষিদ্ধ। সেখানে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভিক্ষা না দিতেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আর রমজান মাসে ভিক্ষা করার দায়ে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাস জেলের বিধান রয়েছে আরব আমিরাতে। তারপরও একশ্রেণির লোক ভিজিট ভিসায় এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ভিজিট ভিসায় এসে এ ভিক্ষাবৃত্তি বেশি করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

;

‘৫৩ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার ফিরে পায়নি’



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে নষ্ট করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটাই তারা পাচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি কামনায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গণ-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ সামান্য স্বার্থে নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সৎ সাহস অধিকাংশই হারিয়ে ফেলেছে। আল্লামা মামুনুল হক-সহ গুটিকয়েক সাহসী আলেম যারা দেশ-জাতি ও ইসলামের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ইসলাম এদেশের গনমানুষের অন্তরে গ্রথিত। একে এত সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না।

এসময় তিনি ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যুব মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় গণ-ইফতারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া ফারুকী, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমীন, ওমর মাতুব্বর, নাঈমুদ্দীন, মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আজীজ, দীদার প্রমুখ।

;

মক্কা-মদিনার রেলভাড়ায় বিশাল ছাড়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেসের টিকেটমূল্যে বিশাল ছাড় দিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে হারামাইন এক্সপ্রেসের ইকোনমি ক্লাসের টিকেটের দামে ৫০ শতাংশ এবং বিজনেস ক্লাসের টিকেটে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা। তবে এই ছাড় কেবল মদিনা থেকে মক্কা এবং জেদ্দা থেকে মক্কা-মদিনা রুটের যাত্রীরা ভোগ করবেন।

পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার মধ্যকার দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। সারা বছরই শহর দু’টিতে হজ ও উমরা যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে। ২০১৮ সাল থেকে এই রুটে উচ্চগতিসম্পন্ন হারামাইন এক্সপ্রেস চালু করে সৌদির সরকার। যাত্রাপথে জেদ্দা শহরে যাত্রাবিরতি দেয় ট্রেনটি।

যাত্রীরা চাইলে সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকেট কিনতে পারবেন, কিংবা এসএআর ডট এইচএইচআর ডট এসএ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনেও টিকেট কিনতে পারবেন।

অনলাইনে মূল্য পরিশোধের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ইমেইলে টিকেট এসে যাবে বলে জানিয়েছে সৌদির পরিবহন মন্ত্রণালয়।

হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ে বা এইচএইচআর ট্রেন পবিত্র দুই নগরীর মধ্যে দূরত্বকে কমিয়ে এনেছে। চলাচলকে করে তুলেছে আরও সহজ ও আরামদায়ক। সুচালো মাথার হারামাইন ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টায় মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছে দিচ্ছে যাত্রীদের। যেখানে সড়কপথে সময় লাগে এর দ্বিগুণেরও বেশি।

ট্রেনগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনগুলো এ রুটে দিনে প্রায় ৫০ বার যাতায়াত করে। তবে হজের সময় এ ট্রিপের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

হারামাইন ট্রেন বিশ্বের ১০টি দ্রুততম ট্রেনেরও একটি। অন্যান্য অঞ্চলও উচ্চগতির এ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। জ্বালানি তেল-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে রেলসহ অবকাঠামো খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করছে সৌদি আরব। উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কও দেশটির ভিশন-২০৩০ পরিকল্পনার অংশ।

;