তুরস্কে হাফেজের সংখ্যা বৃদ্ধির রহস্য



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হাফেজ হওয়া শিশু-কিশোরদের সম্মান জানানো তুরস্কের ঐতিহ্য

হাফেজ হওয়া শিশু-কিশোরদের সম্মান জানানো তুরস্কের ঐতিহ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজে কোরআনে কারিমের হাফেজ। কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, এরদোগান তার নাতিকে কোরআনের তালিম দিচ্ছেন। পরে নাতি ওমর তাইয়েবসহ ১৩৬ শিশুকে কোরআনের হাফেজ হওয়ায় সম্মাননা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। সম্মাননাপ্রাপ্ত ১৩৬ জন হাফেজের মধ্যে এরদোগানের নাতি (নাজমুদ্দিন বেলালের ছেলে) ওমর তাইয়্যেব এবং তুর্কি স্পিকারের ছেলে ওমর আসেম শান্তুবও রয়েছেন।

প্রায় ৮৬ বছর পর বিথ্যাত আয়া সুফিয়ায় নামাজ শুরুর আগে এরদোগান কোরআন তেলাওয়াত করে বিশ্ববাসীর নজর কাড়েন। ওই দিন আয়া সুফিয়ায় জুমার নামাজের ইমামতি করেন, দেশটির ধর্মমন্ত্রী প্রফেসর ড. আলি এরবাশ। তিনিও পবিত্র কোরআনের হাফেজ। এর দ্বারাই অনুমান করা যায়, তুরস্কে ব্যাপকভাবে কোরআন চর্চার বিষয়টি।

সম্প্রতি দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, করোনা মহামারি সময়েও তুরস্কে ২০২১ সালে প্রায় ১২ হাজার শিশু-কিশোর কোরআনে কারিমের হাফেজ হয়েছেন। দেশটির সাধারণ মাদরাসা ও অন্তত ৯০ হাজার মসজিদের ইমাম ও খতিবদের দ্বারা পরিচালিত মাদরাসায় পড়ে তারা হিফজ সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়ার্স অ্যাফেয়ার্সের শিক্ষা-সেবা প্রকল্পের প্রধান কাদির দিজ।

মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরে সারা দেশে অন্তত ১১ হাজার ৭৭৩ জন শিক্ষার্থী হিফজ সম্পন্নের সনদ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি হিফজ বিভাগে পড়ে এই কীর্তি অর্জন করে।

হাফেজদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রেসিডেন্ট এরদোগান

 

গত গ্রীষ্মে তুর্কি দিয়ানাত কর্তৃপক্ষ দেশটির ৮১টি এলাকা নিয়ে অন্তত ১ হাজার ৬৭৯টি কোরআন শিক্ষা কোর্স চালুর ঘোষণা দেয়। ৬ হাজার ৮৩৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে কোর্সগুলোতে ৭১ হাজার ৪৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং গত বছরের শুরুর কয়েক মাসেই এদের মধ্য থেকে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

কাদির দিজ জানান, তুরস্কে সারা বছরই মাদরাসাগুলোতে কোরআন হিফজের ডে-কোর্স পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের মেধাস্তরের ভিন্নতার ফলে হিফজ সম্পন্ন করতে একেকজনের একেক রকম সময় ব্যয় হয়। কোর্স শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৭ হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী কোরআন মুখস্থের পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোর্সটি স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগে; এক বছর নাজেরা বা কোরআন দেখে দেখে পড়া, দুই বছর হিফজ বা মুখস্থ করা।

প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়ার্স অ্যাফেয়ার্সের কর্মকর্তা কাদির দিজ আরও জানান, তাদের তরফ থেকে মাদরাসাগুলোতে হাফেজ শিক্ষকও নিয়োগ করা হয়। তারা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোরআন হিফজের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষা শিক্ষাকেও বাধ্যতামূলক করবেন। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল লক্ষ্য হলো, শিক্ষার্থীরা যেন কোরআন মুখস্থের পাশাপাশি তার অর্থের সঙ্গেও পরিচিত হতে পারে।

কোরআনে কারিমের হাফেজের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। দেশটির ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আলি এরবাশ জানান, সারাদেশে এখন সনদধারী ২ লাখ হাফেজ আছেন এবং ৮০ হাজার শিক্ষার্থী এমন আছে যারা খুব শিগগিরই হিফজ সম্পন্ন করবে। তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ০.০২ শতাংশ নাগরিক কোরআনের হাফেজ। এটি বৃদ্ধি করে ১ শতাংশে উন্নীত করার চেষ্টা করছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে হাফেজ সংখ্যা হবে অন্তত ৮ লাখ ৪০ হাজার।

আলি এরবাশ জানান, তাদের দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ দেখে দেখে কোরআন পড়তে পারেন। এটিও আরও বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন তারা।

আয়া সুফিয়ায় কোরআন তেলাওয়াত করছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান

 

তুরস্কের মসজিদের ইমাম ও খতিবদের পক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কোরআনে কারিম মুখস্থ করানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। দেশটির ইমাম-খতিবদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে এসব ইমাম-খতিবদের পরিচালিত মাদরাসাগুলোর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৭৩টি। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬ লাখ ৬৭ হাজার।

দিয়ানাতের এই হিফজ কোর্স ইমাম-খতিবদের অন্তত ১৯৪টি মাধ্যমিক মাদরাসায় চালু করা হয়। সেখানে ভর্তি হয় ১৮ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্য থেকে ২ হাজার ৬১১ শিক্ষার্থী হাফেজ হয়ে সনদ গ্রহণ করেছে।

কাদির দিজ আরও জানান, কোরআন হিফজ কোর্সের একাধিক ব্যাচ আছে। চার থেকে ছয় বছরের বাচ্চাদের জন্য আলাদা, উঠতি বয়সীদের জন্য আলাদা এবং বয়স্কদের জন্য আলাদা ব্যাচ। তুর্কি প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়ার্স অ্যাফেয়ার্সের অধীনে সব বয়সীদের নিয়ে প্রতি বছর গ্রীষ্মে এই কোর্সের সূচনা হয়।

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;

সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার রোজা শুরু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবে আজ মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই দেশটিতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। খবর সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটের।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি সন্ধ্যায় দেশটির কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, মিসর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হবে।

সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ পালন হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরদিনই।

খালিজ টাইমস বলছে, খালি চোখে চাঁদ দেখার জন্য মঙ্গলবার সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসেছিল। চাঁদ দেখা না যাওয়ায় চাঁদ দেখা কমিটি বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

;