বিভিন্ন দেশের জন্য হজ কোটা বন্টন

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি রমজানে উমরা যাত্রীরা ভিড় করছেন মক্কায়

চলতি রমজানে উমরা যাত্রীরা ভিড় করছেন মক্কায়

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে দুই বছর পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের হজের জন্য দেশভিত্তিক কোটা বন্টন করেছে সৌদি আরব। বরাবরের মতো এবারও ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে হাজি আসার সুযোগ আছে। সৌদি সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট সূত্রে এ খবর জানা যায়।

সৌদির হজ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হাজি আসবেন। দেশটি থেকে এক লাখ ৫১ জনের কোটা নির্ধারণ করা হয়। এরপর পাকিস্তান থেকে ৮১ হাজার ১৩২ জন এবং ভারত থেকে ৭৯ হাজার ২৩৭ জনের কোটা নির্ধারণ করা হয়। আর বাংলাদেশ থেকে হজে কোটা নির্ধারণ করা হয় ৫৭ হাজার ৫৮৫ জনের।

বিজ্ঞাপন

আফ্রিকা মহাদেশের অ্যাঙ্গোলা থেকে মাত্র ২৩ জন হজে নেবেন। আর আরববিশ্বের মধ্যে মিসর থেকে ৩৫ হাজার ৩৭৫ জনের কোটা নির্ধারণ করা হয়। আফ্রিাকার মধ্যে নাইজেরিয়া থেকে ৪৩ হাজার ৮ জনের কোটা নির্ধারণ করা হয়। ইরান থেকে ৩৮ হাজার ৪৮১ এবং তুরস্ক থেকে ৩৭ হাজার ৭৭০ জনের কোটা নির্ধারণ করা হয়।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯ হাজার ৫০৪ জন, রাশিয়া থেকে ১১ হাজার ৩১৮, চীন থেকে ৯ হাজার ১৯০ জন, থাইল্যান্ড থেকে পাঁচ হাজার ৮৮৫ জন ও ইউক্রেন থেকে ৯১ জনের কোটা বরাদ্দ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সৌদির হজ মন্ত্রণালয় জানায়, এ বারের হজে ১০ লাখ লোক হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের ভেতর থেকে মাত্র দেড় লাখ লোক হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার লোক সৌদির বাইরের দেশ থেকে অংশ নেবেন। তবে এ সংখ্যা করোনা মহামারির আগে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের হাজিদের মাত্র ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল সৌদির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছরের হজে অংশ নিতে হজযাত্রীদের কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। হজযাত্রীর বয়স ৬৫ বছরের কম হতে হবে এবং করোনার উভয় ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে। সর্বশেষ সৌদির উদ্দেশে রওনা হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সনদও লাগবে।

করোনা মহামারির কারণে গত বছর সীমিতসংখ্যক হজযাত্রী হজপালন করেছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজপালন করেছেন। মহামারির আগে ২০ লাখের বেশি লোক হজ পালন করতেন। ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে হাজার সীমিতসংখ্যক লোক হজপালন করেন।