১৮০ বছর অপেক্ষা শেষে মসজিদ পাচ্ছে এথেন্সবাসী
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স। গ্রিসে প্রায় তিন লাখ বিশ হাজার মুসলমানের বসবাস। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র গ্রিসে মুসলমাদের জন্য আলাদা শরিয়া আদালত রয়েছে।
শরিয়া আদালতগুলো বিবাহ বিচ্ছেদ, শিশুর জিম্মা এবং উত্তরাধিকার বিষয়ে রায় দিতে পারে। কিন্তু কোনো বিষয়ে কোনো পক্ষ যদি বেঁকে বসেন, তাহলে সাধারণ গ্রিক আইন প্রযোজ্য হয়।
রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত মুফতিরা শরিয়া আইন অনুযায়ী পারিবারিক বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি করেন। অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ১৯২৩ সালে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যকার লৌজান চুক্তি অনুযায়ী শরিয়া আইন চালু হয় দেশটিতে।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের কোণায় কোণায় কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের ছাপ রয়েছে। এটা একটি ঐতিহাসিক জনপদ। বৈচিত্রে ভরপুর এথেন্স শহরের মধ্যে যেন জাদুর ছোঁয়া রয়েছে।
এতকিছুর মাঝে এথেন্সই একমাত্র ইউরোপীয় রাজধানী, যেখানে কোনো মসজিদ ছিলো না। এতদিন অস্থায়ী ও ব্যক্তিগত জায়গায় এথেন্সের মুসলমানরা নামাজ আদায় করতেন। সেই এথেন্সে প্রায় ১৮০ বছর অপেক্ষার পর আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো সরকারি মসজিদে নামাজ আদায়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
গ্রিসের শিল্প এলাকা এলিওনাসে অবস্থিত মসজিদটির নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যে দেশটির শিক্ষা ও ধর্মমন্ত্রী কোস্টাস গাভরোগলু এসব কথা জানান।
এ মসজিদের ইতিহাস সম্পর্কে আল জাজিরা জানিয়েছে, ২০১৬ সালে গ্রিসের পার্লামেন্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মসজিদটি নির্মাণের অনুমোদন দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। মসজিদটিতে একসঙ্গে ৩৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মিনারবিহীন মসজিদটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে প্রায় সোয়া ৮ কোটি টাকা। মিনার না থাকলেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মসজিদটি পেয়ে খুবই আনন্দিত এথেন্সের মুসলমানরা।
তাদের কাছে এটা একটি স্বপ্নপূরণ হওয়ার মতো বিষয়। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মুসলিমদের জন্য চমৎকার উপহার।