সৌদিতে এবার ১১৭ বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

হজপালনে যেয়ে কোনো হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেলে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হয় না। প্রত্যেক হজযাত্রী হজে গমনের আগে এ সংক্রান্ত ফরমে স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন। এ কারণে হজপালনকালে কারও মৃত্যু হলে তার লাশ নিয়ে সৌদি আরবে দাফন করা নিয়ে পরিবার-পরিজনের লোকজনও কোনো আপত্তি প্রকাশ করেন না।

তবে মৃত হাজির মৃত্যুসনদ, পাসপোর্ট, লাগেজ নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

মক্কায় কোনো হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে, আর মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববীতে জানাজা হয়। তদ্রুপ জেদ্দায় মারা গেলে জেদ্দায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মক্কায় মৃত্যুবরণকারীদের শারায়া কবরস্থানে, মদিনায় জান্নাতুল বাকিতে ও জেদ্দায় মারা গেলে জেদ্দা কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

হজযাত্রীর মৃত্যুর পর তার গোসল করানো, কাফনের কাপড় পরানো, জানাজা পড়ানো থেকে শুরু করে দাফন করাসহ যাবতীয় কাজ নির্দিষ্ট বিভাগ করে থাকে।

চলতি বছর হজপালনে যেয়ে ১৭ নারীসহ বাংলাদেশের ১১৭ হাজি ইন্তেকাল করেছেন। তন্মধ্যে মক্কায় ১০২ জন, মদিনায় ১৩ জন ও জেদ্দায় ২ জন।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন হজযাত্রী হজপালনে সৌদি আরব যান।

১০ আগস্ট শনিবার পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ৪ জুলাই শুরু হয়ে ৫ আগস্ট শেষ হয়।

আর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ১৭ আগস্ট শুরু হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।

হজপালনে যেয়ে মৃত্যুবরণকারীদের পাসপোর্ট ও মৃত্যুসনদ হজ অফিস, ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যুবরণকারী হাজিদের পাসপোর্ট ও মৃত্যুসনদ সংগ্রহের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ইস্যু করা ওয়ারিশান সনদ, ওয়ারিশদের মধ্যে যে আবেদন করবেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি সঙ্গে আনতে হবে) সহ অফিস চলাকালীন সময়ে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করতে হয়।

মৃত হজযাত্রীদের তালিকা http://www.hajj.gov.bd/bn/ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। তালিকায় মরহুম হাজি সাহেবের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, পুরো ঠিকানা, এজেন্সির নাম, মৃত্যুর কারণ, স্থান, তারিখ ও দাফনের স্থান উল্লেখ করা থাকে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ১৪২ জন, ২০১৭ সালে ১৬৫ জন, ২০১৬ সালে ১৯২ জন ও ২০১৫ সালে ২৪৫ জন হাজি ইন্তেকাল করেন।