সিবিআইয়ের তদন্তে হাজির রাজিব

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিবিআইয়ের তদন্তে হাজির রাজিব, ছবি: সংগৃহীত

সিবিআইয়ের তদন্তে হাজির রাজিব, ছবি: সংগৃহীত

নানা নাটকীয়তার পর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সিবিআইয়ের তদন্তে সহযোগিতায় হাজির হয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজিব কুমার।

ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের তদন্ত দলের কর্মকর্তাদের সামনে রয়েছেন রাজিব, তার জেরা চলছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সারদা চিটফান্ড মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি তিনি নষ্ট করে ফেলেছেন।

বিজ্ঞাপন

সুপ্রিম কোর্টের আদেশে মেঘালয়ের রাজধানীর মতো 'নিরপেক্ষ' স্থান শিলংকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেরার জন্য।

সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সিটের প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তভার নেয় সিবিআই। কুণাল ঘোষ, সৃঞ্জয় বোস, মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পালকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, সিটের দায়িত্বে থাকাকালীন সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত একাধিক নথি নষ্ট করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বেশ কয়েকবার তাকে নোটিশ পাঠানো হয়, তিনি হাজির বা কোনো উত্তর দেননি বলে অভিযোগ।

রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) তার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই কর্মকর্তোদের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানেই তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে যদিও তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সেই রাতেই ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেন, কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না, তবে তাকে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

রাজিবের পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকেও শিলং ডেকে পাঠানো হয়েছে। সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য সরকারের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে গ্রেফতার হন কুণাল। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে মামলার তদন্তভার নিজেদের হাতে নেয় সিবিআই। এরই মধ্যে দল থেকে বহিস্কার হন কুণাল। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর কিছু দিন আগে তাকে জামিন দেয় আদালত। তবে প্রথমে তার জামিনের জন্য কয়েকটি শর্ত রাখা হয়েছিল পরে তা তুলে নেয় আদালত। দীর্ঘ দিন জেলে থাকার সময় গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের অন্য শীর্ষ নেতাদের অভিযুক্ত করেছেন কুণাল। জেল থেকে আদালতে বা হাসপাতালে যাওয়ার পথে সুযোগ পেলেই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ উগড়ে দিতেন এই প্রাক্তন সংসদ সদস্য। শুধু তাই নয় তৎকালীন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকেও অভিযুক্ত করেন তিনি।