আইনি ব্যাখ্যায় ‘যুবতি রাধে’ বিতর্কের অবসান ঘটালো ‘অ্যাডভোকেট লাউঞ্জ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অ্যাডভোকেট লাউঞ্জ। ছবি: বার্তা২৪.কম

অ্যাডভোকেট লাউঞ্জ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লিগ্যাল ভয়েজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আইন বিষয়ক জনসচেতনামূলক অনুষ্ঠান ‘অ্যাডভোকেট লাউঞ্জ’।

তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৮টায় সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত কপিরাইট ইস্যুতে ‘কপিরাইট আইনের তত্ব, স্বত্ব ও প্রয়োগ’ নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘অ্যাডভোকেট লাউঞ্জ’ এর নতুন পর্ব ।

লিগ্যাল ভয়েস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজার সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ব্যারিস্টার আহমেদ এহসানুল কবির, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আইন গবেষক অ্যাডভোকেট সাকলান ইমন এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট।

মানুষের সৃজনশীলতার মেধাস্বত্ব রক্ষায় কপিরাইটের গুরুত্ব অপরিসীম। সম্পদের যেমন নিবন্ধন করতে হয় তেমনি মানুষের মেধারও মালিকানা স্বত্ব গ্রহণ করা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশে বর্তমানে কপিরাইটের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে-এমন তথ্য জানিয়ে একে স্বাগত জানান উপস্থিত আইন বিশেষজ্ঞগণ। তারা জানান, কপিরাইট ক্লেইম করার পূর্বশর্ত হচ্ছে শিল্পকর্মের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করে রাখা। অনিবন্ধিত মানে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে কপিরাইট ক্লেম করার সুযোগ নেই।

‘অ্যাডভোকেট লাউঞ্জ’ অনুষ্ঠান চলাকালীন মুহূর্তে। ছবি: বার্তা২৪.কম

কপিরাইটের ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট বলেন, “যেকোন সৃজনশীল কাজের কপিরাইটের ক্ষেত্রে ৫ ধরণের লেয়ার থাকতে পারে। যেখানে প্রতিটি রাইট আলাদা আলাদা ভাবে দাবি করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ যদি সঙ্গীতের কথা বলি তবে- গানের লেখক বা গীতিকার, সুরকার, কম্পোজার এবং একজন কণ্ঠশিল্পী থাকতে পারেন। এসব কিছুর স্রষ্টা যদি একজন হয়ে থাকেন তবে এককভাবে কপিরাইট ক্লেম করা যায়, কিংবা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি ওই গানের রচয়িতা, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী, কম্পোজার হলে আলাদা আলাদা করে কপিরাইট ক্লেম করা যায়।”

কপিরাইটের ব্যতিক্রম বিধানাবলি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ব্যারিস্টার আহমেদ এহসানুল কবির বলেন, “শিক্ষণীয় ক্ষেত্রে বা পাঠদানে, বক্তৃতায় উদ্ধৃতি হিসেবে কিংবা অর্থনৈতিক অলাভজনক কাজে ব্যবহার করলে ফেয়ার ইউজ বলা হয়ে থাকে। তবে বানিজ্যিকভাবে একজনের সৃষ্টি অন্যজন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আইনগত বাধ্যবধকতা রয়েছে যদি উক্ত সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট নিবন্ধন করা হয়ে থাকে। ”

কপিরাইটের মেয়াদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে এহসানুল কবির বলেন, “আইনে স্পষ্ট করে বলা আছে, সৃষ্টিকর্মের স্রষ্টা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন কপিরাইটের সুফল ভোগ করতে পারবেন। আর উনার মৃত্যুর পর ৬০ বছর পর্যন্ত তার উত্তরাধিকারীরা কপিরাইটের সুফল পাবেন। এরপর আর কপিরাইট থাকে না। সেই সৃষ্টিকর্ম তখন পাবলিক বা উমুক্ত হয়ে যায় সবার জন্য।”

জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত কোন সৃষ্টিকর্ম থেকে প্রভাবিত হয়ে কিছু লিখলে সেক্ষেত্রে কপিরাইট চাওয়ার সুযোগ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার আহমেদ বলেন, “যদি 'নভেলটি টেস্ট' বা অভিনবত্বের পরীক্ষায় তা উত্তির্ণ হয় তাহলে সমস্যা নেই। নভেলটি টেস্ট মানে পর্যাপ্ত নতুনত্ব যদি লেখায় থাকে তবেই পুরাতন সৃষ্টিকর্ম থেকে প্রভাবিত হয়ে নতুন তৈরি সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট ক্লেম করা যেতে পারে। “

ভার্চুয়াল এ আলোচনায় দর্শকের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আলোচনায় উঠে আসে সম্প্রতি সরলপুর ব্যান্ডের ‘যুবতি রাধে’ গানটির মৌলিকত্ব ও তাদের কপিরাইট প্রসঙ্গে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আইন গবেষক অ্যাডভোকেট সাকলান ইমন বলেন, “ইদানীং সময়ে সরলপুর ব্যান্ডের একটি গান “যুবতি রাধে” নিয়ে আইপিডিসি একটি প্রযোজনা করেছেন। গানটি নিয়ে সায়মন জাকারিয়া নামে একজনের কিছু কথা আমি শুনেছি। আইনের একজন পাঠক হিসেবে আমার যেটা মনে হয়েছে, সরলপুর ব্যান্ডের গানটি যদি বিভিন্ন গীতিকা থেকে নিয়ে যদি লেখা হয়েও থাকে, আমার সাধারণ পাঠ থেকে আমি যেটা বুঝতে পেরেছি তাহলো এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি গান। রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলায় নিয়ে সরলপুরের গানটি সম্পূর্ণ তাদের মতো হয়েছে। এইক্ষেত্রে আইপিডিসি কিভাবে তা প্রচার করেছে, অনুমতি নিয়েছিল কি না সকল বিষয়সমূহ দেখা প্রয়োজন। আপনি যদি এখন বলেন, এরকম করা যাবে না, তাহলে কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে চর্চা তার পথ সংকুচিত হয়ে যাবে। আমেরিকায় দেখা যাচ্ছে যদি কেউ নোভেলটি প্রমাণ করতে পারে সেক্ষেত্রে উক্ত গানের অন্য অংশগুলি যদি অন্য গানের সাথে মিল থেকেও থাকে তারপরও তা কপিরাইট পেয়ে যায়। ”

তিনি আরও বলেন, “এ গানটি যেহেতু বাংলাদেশে কপিরাইট করা আছে, এটি যদি কেউ ব্যবহার করতে চায়,তাহলে তাকে কপিরাইট শর্ত মেনেই ব্যবহার করতে হবে। তার মানে সরলপুর ব্যান্ডের অনুমতি নিয়েই গানটি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি তাদের অনুমতি না নেয়া হয়ে থাকে, তাহলে আইনের ব্যাত্যয় ঘটবে, সরলপুর ব্যান্ড এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের দাবি রাখতে পারে, ভায়োলেশন যদি কন্টিনিউ করতে থাকে তাহলে তাহলে সরলপুর আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। এটি খুবই ভালো যে, এ ধরণের একটি ঘটনা বাংলাদেশে ঘটে গেছে, এখন যদি কেউ ভাবে আমি একটা গান লিখছি, আমি কিভাবে লিখবো, তখন কিন্তু সৃষ্টিশীলতা আরো বেড়ে যাবে। ”

আইন বিষয়ে মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘অ্যাডভোকেট লাউঞ্জ’ নিয়মিত কাজ করে যাবে বলে জানান ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা। আয়োজনটির মিডিয়া পার্টনার ছিলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম, আদালত টিভি ও ল ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ।

সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটির ভিডিও: কপিরাইট আইনের তত্ত্ব, স্বত্ব ও প্রয়োগ

 

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;