দীপন হত্যার উদ্দেশ্য ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করা
মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেয়া, মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বন্ধ করে দেওয়া ছিল জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক আরেফিন দীপনকে হত্যার উদ্দেশ্য।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দীপন হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলেন ট্রাইব্যুনাল।
রায় উল্লেখ করা হয়, আনসার আল ইসলামের সদস্যরা সাভারে ব্লগার রিয়াজ মোরশেদ বাবুকে যেদিন হত্যা করে একই দিনে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক আরেফিন দীপন এবং লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর প্রকাশক টুটুল এর ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। জিহাদের অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য এবং এই মামলার আসামিদের লক্ষ্য ছিল ব্লগার লেখক-প্রকাশকদের হত্যা করা।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেয়া, মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা আর এসবের উদ্দেশ্য হলো মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বন্ধ করে দেয়া। এছাড়াও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ধ্বংস করে দেয়াও উদ্দেশ্য ছিল। ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করার জন্য জাগৃতি প্রকাশনীর ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
লেখক ব্লগার ও প্রকাশকদের হত্যার অংশ হিসেবে অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশের জন্য জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক আরেফিন দীপন কে হত্যা করা হয়। আসামিদের মধ্যে মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে নির্দেশ, প্রশিক্ষণ এবং মূল হত্যাকারীদের অর্থায়ন করার অভিযোগ আনা হয়।
ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৮ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত।