২০ বছর পর চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় ৬ জনের ফাঁসি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, শরীয়তপুর
জোড়া খুনের মামলায় ৬ জনের ফাঁসি

জোড়া খুনের মামলায় ৬ জনের ফাঁসি

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ২০ বছর পর শরীয়তপুরের বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর পিপি অ্যাড. হাবিবুর রহমান মুন্সী ও তার ভাই মনির হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার রায় দিয়েছে আদালত। এ রায়ে ৬ আসামির ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীবন ও ৩ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন এ রায় দেন।

অ্যাড. হাবিবুর রহমান মুন্সী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ছিলেন এবং তার ভাই মনির হোসেন মুন্সী শরীয়তপুর পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শহীদ কোতোয়াল (৫০), শাহীন কোতোয়াল (৪৬), শফিক কোতোয়াল (৪০), মজিবর তালুকদার (৫২), শহীদ তালুকদার (৪০) ও সলেমান সরদার (৪৮)।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বাবুল তালুকদার (৫৫), বাবুল খান (৫৬), ডাবলু তালুকদার (৪৯) ও টোকাি রশিদ (৪২)।

রায়কে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।

এদিকে রায় প্রত্যাখান করে শহরের প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করছে অ্যাড. হাবিবুর রহমান মুন্সী ও মনির হোসেন মুন্সী সমর্থকরা।

মামলার এজাহার ও বাদীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জাজিরা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার এবং বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ছিলেন হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ বিদ্রোহী প্রার্থী আওরঙ্গের পক্ষে অবস্থান নেন। ১ অক্টোবরের ওই নির্বাচনে সহিংসতার কারণে জাজিরা উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় এবং পরবর্তী ৮ অক্টোবর স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে নির্বাচন কমিশন। ৫ অক্টোবর নৌকার পক্ষে শহরের নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করছিলেন অ্যাড. হাবিবুর রহমান। ওই সভায় বিদ্রোহী প্রার্থী আওরঙ্গ'র সমর্থক আওয়ামী লীগের একটি বিদ্রোহী গ্রুপ অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন অ্যাড. হাবিবুর রহমান ও তার ভাই মনির মুন্সী।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান বাদী হয়ে আওরঙ্গসহ মোট ৫৫ জনকে আসামি করে পালং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বিএনপি সরকার গঠন করে। ২০০৩ সালে সংসদ সদস্য আওরঙ্গ'র নাম বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলার বাদী তখন আদালতে নারাজি দেন। আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর বাদী উচ্চ আদালতে রিট করেন। ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় আওরঙ্গ মারা যান। এরপর উচ্চ আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে পুলিশকে অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন। আওরঙ্গ সহ তিন আসামি মারা যাওয়ায় পুলিশ তদন্ত করে ২০১৩ সালের অক্টোবরে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর চার্জ গঠন করে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনা হয়। কয়েক দফায় রায়ের তারিখ পেছানোর পরে অবশেষে বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রায় ঘোষণা করে আদালত।

অ্যাড. হাবিবুর রহমান মুন্সীর বড় ছেলে অ্যাড. পারভেজ রহমান জন শরীয়তপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও জেলা জজ আদালতের এপিপি।

অ্যাড. পারভেজ রহমান জন বলেন, আমার বাবা ও চাচা হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত যাদের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছি। আমাদের আশা ছিল তাদের ফাঁসির রায় হবে। কিন্তু তাদের অনেককে সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অনেককে খালাস দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মাসুদুর রহমান বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;