নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, আটক ৫
নোয়াখালীর সেনবাগে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি ইটভাটায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এবং এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
রোববার (৯ মে) দুপুরে আটককৃত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার (৭ মে) রাতে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম (৪০) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউপির পশ্চিম ছাতারপাইয়া এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সেনবাগ থানায় মামলা করলে, পুলিশ আসামি সাদ্দাম (২৪), মাঈন উদ্দিন সুজন (২১), আবদুল মোতালেব (৩৮), ওমর ফারুক (৩০) ও মাসুদকে (৩৮) আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাতারপাইয়া বাজারে ইফতার পূর্ববর্তী সময় যানজটকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অটোরিকশা চালকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এসময় বাজারের জয়নাল প্লাজার ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে অটোরিকশা চালকদের কয়েকজন তার উপর ক্ষুদ্ধ হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সোনাকান্দি গ্রামের জহির, মহিন, কামাল, বাবু ও শাকিলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল তাজুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর এবং লুটপাট করে। স্থানীয়রা তাজুলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। শুধু তাই নয় পাশ্ববর্তী তাজুল ইসলামের ভায়রা আবুল কালামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরবর্তীতে রাতে আবুল কালামের মালিকানাধীন কেবিএমসি ব্রিক ফিল্ডে ঢুকে হামলা চালিয়ে ২ টি এক্সকাভেটর, ৫টি মাটিকাটার ও ইট সরবরাহের হাইড্রেলিক পিকআপ ভাংচুর করেছে হামলাকারীরা।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে । অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।