ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ আদালতের
নাটোরের লালপুরে ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে আদালতকে জানানোর জন্য আদেশে বলা হয়। সেই সাথে একই দিনে পরবর্তী আদেশের জন্য ধার্য করেন বিচারক।
গত ৩১ আগস্ট একটি গণমাধ্যমে ‘নাটোরের একটি গ্রামের চক্র কীভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে?’ এ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিগোচর হয় । তা পর্যালোচনা করে আদালত তার অবজারভেশনে উল্লেখ করেন নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে একটা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমো হ্যাক করে প্রতিদিন প্রবাসীসহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যা একটি আমলযোগ্য অপরাধ।
নাটোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজু আহমেদ বলেন, আদালত তার আদেশে অপরাধটিকে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩ ও ৩৪ ধারার অধীনে দণ্ডনীয় আমলযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩ ধারার অপরাধ সংঘটনের শাস্তি ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ৩৪ ধারায় সংঘটিত অপরাধের শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে একটি শক্তিশালী প্রতারক চক্র বিভিন্ন উপায়ে হাজার হাজার মানুষের নিকট থেকে দেদারসে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
সংগঠিত চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে উপরের প্রতিবেদন ও সংবাদগুলো পর্যালোচনা করে উপ-পরিদর্শকের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, আদালতের আদেশের কপি পেলেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।