মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠন
ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরই মাধ্যমে এই মামলার বিচারকার্য শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিবউদ্দিন আহমেদ।
অ্যাড. রকিবউদ্দিন জানান, গত ৩০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন এক নারী। ওই মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। আগামী তারিখে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। ধর্ষণ মামলাটির অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার একমাত্র আসামি মাওলানা মামুনুল হক।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে আনা হয় হেফাজতের সাবেক এই নেতাকে। পরে অভিযোগ গঠনের সময় তাকে আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলাটি তদন্ত করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গত ৩ এপ্রিল বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। তখন ওই নারীকে নিজের বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল। ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা ওই রিসোর্ট ঘেরাও করেন। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকা অবস্থায় মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায় নেতা-কর্মীরা। পরে রাতভর সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন উত্তেজিত হেফাজত কর্মীরা। ওই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এই ঘটনার প্রায় মাসখানেক পর ৩০ এপ্রিল মামুনুলের বিরুদ্ধে তারই দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ওই নারী ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন মাওলানা মামুনুল হক। তাদের আইনত বিয়ে হয়নি। এর আগে ১৮ এপ্রিল ঢাকায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে।