যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী শাহাদাৎ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহাদাৎ হোসেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ জানান, ২০০২ সালে দণ্ডিত আসামি শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের আউলটিয়া গ্রামের জাহারা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ থেকে ৪ মাস পরে ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে শাহাদাৎ। জাহারা খাতুনের পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় শাহাদাৎ স্ত্রীকে নির্যাতন করে। পরে ২০০২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শাহাদাৎ শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখানে রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে ঘুমাতে যায়। পরের দিন ভোরে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে তাদের ঘরের দরজা খোলা দেখে সেখানে যায়। কিন্তু ঘরের ভিতরে কাউকে না পেয়ে বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে বাড়ির দক্ষিণ পাশের মেহগুনি বাগানের কাছে একটি পুকুরে জাহারা খাতুনের লাশ ভেসে থাকতে দেখে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
সেদিনই নিহতের ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় চিকিৎসক, আইওসহ মোট ৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ মামলার আসামি শাহাদাৎ হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী। তিনি জানান, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।