প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে নিজের স্বামীকে গলা কেটে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের মণিরামপুরের কৃষ্ণবাটি গ্রামের আকবর আলী গাজী হত্যা মামলায় স্ত্রী হালিমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ।

হালিমা খাতুন একই গ্রামের মৃত শামছুদ্দিন গাজীর মেয়ে।

হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ জনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সুব্রত কুমার পাল।

জানা যায়, আসামি হালিমা খাতুনের বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি পাশাপাশি। হালিমা খাতুনের ভাই মিনাজ কাশেমের সাথে প্রতিবেশী আব্দুল হাইয়ের পরিবারের প্রায় ঝগড়া হতো। আব্দুল হাই ও তার পরিবারের লোকজন ঝগড়া হলেই মিনাজ কাশেমের বংশ তুলে গালিগালাজ করত। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে মারামারির ঘটনায় আব্দুল হাই বাদী হয়ে মিনাজ কাশেমসহ তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটি ১৪ হাজার টাকায় মিমাংসা করেন মিনাজ কাশেম। এদিন টাকা না থাকায় আব্দুল হাই জোর করে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছিল মিনাজ কাশেমের। এনিয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছে।

ওই বছরের ১৭ নভেম্বর রাতে মিনাজ কাশেমের দুলাভাই আকবার আলী ও তার বোন হালিম রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে চিৎকারে সকলের ঘুম ভাঙলে দেখে বারান্দায় আকবার আলীর গলাকাটা লাশ পড়ে আছে।

এ ব্যাপারে আকবর আলীর ছেলে মিন্টু হোসেন আব্দুল হাইসহ পরিবারের চার সদস্যকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর আগে হালিমা খাতুনকে বিয়ে করে শ্বশুরের দেওয়া জমিতে বাড়ি করে বসবাস করত আকবর আলী গাজী। বিয়ের পর থেকে আকবর আলী তার শ্যালিকাসহ বিভিন্ন নারীদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে শ্যালিকার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে আকবর। ২০১৫ সালে শ্যালিকার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আকবর আলীকে ধরে ফেলে স্ত্রী হালিমা খাতুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আকবর আলী সংসার চালানো টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকারে পৌঁছায়। ওই বছরে ১৫ নভেম্বর গভীর রাতে আকবর আলী বাড়ি ফিরলে স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে বেদম মারপিট করে। এরপর থেকে হালিমা খাতুন প্রতিশোধ নিতে আকবর আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। এরমধ্যে ২০১৭ সালের সালে হালিমার ভাই মিনাজ কাশেমের কাছ থেকে প্রতিবেশী আব্দুল হাই মামলা মীমাংসার কথা বলে ১৪ হাজার টাকা দাবি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিলে বোন হালিমা খাতুন তাদের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয় পাল্টা মামলা দিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে হালিমা।

পরিকল্পনা অনুয়ায়ী আব্দুল হাইয়ের বাড়ি থেকে হালিমা একটি ওড়না চুরি করে নিয়ে আসে। রাতে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়লে হালিমা খাতুন তার স্বামী আকবর আলীকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে বেডসিট দিয়ে চেপে ধরে রাখে। আকবর আলী বেশি নড়াচড়া করায় ঘাড়ের দুইপাশে কোপ দিয়ে জখম করেছিল হালিমা। আকবর আলী খাটের নিচে পড়ে গেলে হালিমা টেনে বারান্দায় রেখে হাত-মুখ ধুয়ে আসে। এরপর ভাই মিনাজ কাশেমকে ঘুম থেকে তুলে হালিমা জানিয়েছিল, ওড়ানা দিয়ে তার হাত-মুখ বেঁধে আব্দুল হাইসহ অন্য আসামিরা আকবর আলীকে জবাই করে হত্যার পর ফেলে রেখে গেছে। হালিমা তার স্বামীকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি ঘরের পিছনে মাটিতে পুতে রেখেছিল। যা পরে হালিমা ফেরিওয়ালাকে দিয়ে পাপড় কিনেছিল।

এ মামলার দীর্ঘ তদন্তকালে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী হালিমাকে আটক করে পুলিশ। হালিমা তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামির দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের দেওয়া বক্তব্য যাচাই বাছায় করে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় হালিমাকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুল হাই, পারভীনা খাতুন, জুলেখা খাতুন, আনিছুর রহমান, নুরনবী হোসেনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;