রবির কাছে ২২৭ কোটি টাকা চেয়ে মাহতাব উদ্দিনের মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবসর–সুবিধা ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে ২২৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ মামলা করেছেন।

সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এই মামলা করেন। এতে রবি আজিয়াটা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সিইও ইজাদ্দিন ইদ্রিস, বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যান থায়াপরান এস সাঙ্গারা পিল্লাইসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

মাহতাব উদ্দিন ২০১০ সালে রবির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) পদে যোগ দিয়ে ২০১৬ সালে সিইও হন। পরের পাঁচ বছর তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন। পরে ২০২১ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।

মাহতাব উদ্দিনের আইনজীবী হাসান এম এস আজিম এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, মাহতাব উদ্দিন ২০২১ সালের ২ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন, যা একই বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। রবির পরিচালনা পর্ষদ সে বছরের ৫ আগস্ট শর্তহীনভাবে সে পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা এক চিঠিতে তাকে জানায়। তবে ২০২২ সালের ২২ মে রবি আজিয়াটা গ্রুপ মাহতাব উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হঠাৎ করে রবি মাহতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের একটি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। এই লেনদেন সম্পর্কে আজিয়াটা গ্রুপ ও রবির বোর্ড অবগত ছিল।

এরপর ওই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে রবি। মাহতাবের মামলায় বলা হয়েছে, অনিয়মের ওই অভিযোগ ছিল ‘সম্পূর্ণ অসত্য’। ২০২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতেও ওই আর্থিক লেনদেন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি।

মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, আমি প্রায় তিন বছর চুপ ছিলাম। আজ আর নয়। বন্ধ দরজার আড়ালে যা যা হয়েছে সবকিছুই আমার রবি টিম, পরিবার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানার অধিকার রাখেন। ২০১৯ এর আগস্ট থেকে এ্যাক্সিয়াটা গ্রুপ এবং গ্রুপের জিসিইও (ইজ্জাদিন ইদ্রিস) এর সঙ্গে আমার সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। কারণ, আমার চুক্তি নবায়ন এবং ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের গুরুতর অবহেলা। আমি যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে জিসিইও-এর চুক্তি ফিরিয়ে দিই। নভেম্বর ২০২০ এর এক আলোচনার পরে কোনো রকমের মনোমালিন্য ছাড়াই আমি সেখান থেকে সরে আসতে চাই, যার প্রত্যুত্তরে আমি সম্ভাব্য ফলাফলের হুমকিসহ ইমেইল পাই। সত্যি বলতে, তাদের দেওয়া মিথ্যা আশ্বাস এবং সংশোধিত বেতন-ভাতা আমার চাকরি, আমার স্বপ্ন, আমার সবকিছুকেই এক অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিয়েছিলো। এই সবকিছুই আমার কাজের চুক্তি লঙ্ঘন করেছিলো। এতকিছুর পরও আমি কখনোই আমার কঠোর পরিশ্রম এবং রবির প্রতি আমার অঙ্গীকারে ব্যঘাত ঘটতে দিইনি। ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি এই কম্পানির প্রতি দায়িত্ব পালন করে গেছি। যখন আমি রবি ছেড়ে দিই, ২০২১ এর আগস্টে, তখন আমার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার এবং রবির পারফরম্যান্স— দুটোই সফলতার শিখরে ছিল। আমার সময়ে কোম্পানিটা উপরের কিছু মানুষের ক্ষমতার দুর্ব্যবহারে নিমজ্জিত ছিল। আমার পদত্যাগের প্রায় ১০ মাস পরে, ২৫ মে ২০২২-এ, আমাকে জানানো হয় যে, আমি অবসর সুবিধাসমূহ পাব না, কারণ আমাকে ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবরেই বহিষ্কার করা হয়েছে। একটি প্রসিদ্ধ কোম্পানি কি কখনও একজনকে বহিষ্কার করতে পারে, যে তার কোম্পানিতে আর কর্মী হিসেবেই নেই? তাও আবার পদত্যাগের ১০ মাস পর? জিসিইও সাহেব কিন্তু আমার পদত্যাগের পরও হয়রানি থামাননি। আমাকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসাতে চেয়েছেন, কিন্তু পারেননি। ২০১৯ এর এক ট্রানজেকশন নিয়েও কথা তুলেছেন; আইটেম এর ক্যাপেক্স/ওপেক্স হওয়া নিয়ে। বিক্রেতা থেকে শুরু করে সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক এবং স্থানীয় ম্যানেজমেন্ট টিম কেউই কোনো অনৈতিক ঘটনা ঘটার ইঙ্গিত দেননি, যেটা রবির ২০২১-এর ফাইন্যানশিয়াল স্টেটমেন্টেও প্রতিফলিত হয়।

নিতান্তই করপোরেট প্রতিহিংসার কারণে ৩১ বছরের এক্সিকিউটিভ ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে দেখুন— চুক্তিবদ্ধ বোনাস, শেয়ার, অবসর সুবিধাসমূহ সবকিছু থেকেই আপনি বঞ্চিত হলেন; মর্যাদাহানি আর গুজবের কারণে করপোরেট জগতে কুখ্যাত হয়ে উঠলেন। একটি হাই প্রোফাইল ক্যারিয়ার এবং কয়েক দশকের অভিজ্ঞতার জায়গায় চলে আসে আর্থিক বঞ্চনা এবং মানসিক যন্ত্রণা। টাকা দিয়ে এই অবিচারের ক্ষতিপূরণ হবে না।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রবির ৬১ দশমিক ৮২ শতাংশ মালিকানা রয়েছে মালয়েশিয়ার বহুজাতিক কোম্পানি আজিয়াটার হাতে। এছাড়া ভারতী এয়ারটেল ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাকি ১০ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

   

সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগম (৬০) হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা প্রথম আদালতের বিচারক জজ মো.ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল জলিল ওরফে কালু একই উপজেলার নগরীকাপন গ্রামের মৃত আব্দুল কাছিমের ছেলে। পাশাপাশি রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন- সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন ।

মামলার সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার এক বছর আগে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগম। সন্তানরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করায় তিনি ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার নিজ বাসায় একা থাকতেন। তার ভাই মামলার বাদী আব্দুল কাদির ও আব্দুল খালিক বোনের দেখাশোনা করতেন। ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগমের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা বলেন তার ভাই আব্দুল কাদির। এরপর ফোন বন্ধ পেয়ে ৩০ জুলাই বাদীর ছোট ভাই আব্দুল খালিক তার ছেলে আব্দুস সামাদকে পাঠালে ঘরের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ দেখে বাড়িতে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে ফের রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় গিয়ে কলিং বেল দিলেও কোনো সাড়া শব্দ মেলেনি। ঘটনাটি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ছেলেমেয়েদের জানানোর হয়। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বাসার ভেতরে ডাইনিং রুমের বাথরুমে গলাকাটা ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের ধারণা, ওই বছরের ২৮ জুলাই থেকে বিকেল ৩টা থেকে ৩০ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে যেকোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ওসমানীনগরের ছোট বিরাই গ্রামের মৃত মন্তাজ উল্লাহর ছেলে আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে এক আগস্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকালে পুলিশ নিহতের পার্শ্ববর্তী বাসার জলিল ওরফে কালু মিয়াকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীর লুণ্ঠিত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার করে। পরে স্বেচ্ছায় তিনি আদালতে হত্যায় নিজেকে জড়িয়ে জবানবন্দি দেয়। তার দেখানো মতে, বসতঘর থেকে হত্যার আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জলিল ওরফে কালুকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম।

মামলাটি এই আদালতে বিচারের জন্য ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আসামির নামে বিচারক কার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানিতে ২১ সাক্ষীর ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

;

যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মালিককে খুন, যুবকের ৬ বছর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মালিককে খুনের ঘটনায় কর্মচারীকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।

দণ্ডিত মো. ইউনুছ (৩৫) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্যম সরফভাটা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১২ জুন নগরীর চান্দগাঁও বহদ্দারহাট এলাকায় হক মার্কেটে নিজের সেলাই মেশিন ওয়ার্কশপে খুন হন কামাল উদ্দিন। পরদিন সকালে কামালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাদেক চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে কর্মচারী ইউনুছকে গ্রেফতার করে। ইউনুছ খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ইউনুছ জানান, মালিক কামাল তাকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন। ১২ জুন রাতে কামাল তাকে ওয়ার্কশপে নিয়ে তিনবার যৌন নির্যাতন করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ইউনুছ কামালকে ধাক্কা দেন। কামাল আবার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তার গায়ে সেলাই মেশিন ছুড়ে মারেন। কিন্তু সেটা ইউনুছের শরীরে লাগেনি। এরপর তিনি ইউনুছকে গলাটিপে খুন করতে চান। পরে ইউনুছ কামালের গালে কামড় দেন এবং গলা চেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে কামাল মারা যান।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ২০১০ সালের ৩ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি ইউনুছের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ থেকে ৩০৪ ধারায় রূপান্তর করে এ রায় দেন। আসামি ইউনুছ জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

;

ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবীর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের তারাগঞ্জে মাদক সেবনের অভিযোগে নুর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মাদকসেবী নুর হোসেন উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকার কপার উদ্দীনের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকার অভিযান চালায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা। এসময় নিজ বাড়িতে মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে নুর হোসেনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাছে সোপর্দ করে তারা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নুর হোসেনকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।

এলাকাবাসী অভিযোগ নুর হোসেন প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে এবং যুবসমাজকে নষ্ট করছে। এর আগেও মাদক কারবারির দায়ে সে কারাগারে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রুবেল রানা বলেন, আটক ব্যক্তিকে মাদক সেবনের দায়ে কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়েছে। মাদক প্রতিরোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন।’

মো. আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

আশফাকুল ইসলাম ১৯৫৯ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ কে এম নুরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আর মাতা জাহানারা আরজু একুশে পদক প্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক।

;