জায়েদ নয়, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত।

সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর নিপুণের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে আবেদন করেন নিপুণ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।

আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।

   

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

এর আগে মঙ্গলবার কত রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয় রিটে। এছাড়া ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ’ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

;