মানিকগঞ্জে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামী কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামী কারাগারে

মানিকগঞ্জে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় স্বামী আল মাহমুদ সবুজকে (৩০) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করে ৫ মাসের শিশু কন্যাসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন সাটুরিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে সবুজ। স্থানীয়রা সামাজিকভাবে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেও কোন ফলাফল না হওয়ায় ৫ জনকে আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী।

এ ঘটনার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে মুক্তি পায় চার জন। পরে আজ দুপুরে এক নম্বর আসামি সবুজ আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্ত্রী বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে সামাজিকভাবে সবুজের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের ঘরে ৫ মাসের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায় সবুজ। বহু চেষ্টা করেও তাকে ফেরানো যায়নি।

সম্প্রতি কারণে-অকারণে তাকে বেদম মারধর করে সবুজ ৷ সবশেষ ৫ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করে মারধর করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে বাধ্য হয়েই থানায় মামলা করেন তিনি। এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ বিচার প্রার্থনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার সুজন হোসেন বলেন, বাদীপক্ষের দায়েরকৃত মামলায় আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী আল মাহমুদ সবুজ। আদালতের বিচারক উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনায় বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

চেক প্রতারণায় ব্যবসায়ী সুমন কান্তির ১০ মাসের কারাদণ্ড, ১৩ লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে চেক প্রতারণা মামলায় ব্যবসায়ী সুমন কান্তি দে'কে পৃথক দুটি মামলায় জেল-জরিমানা করেছেন আদালত। এরমধ্যে মামলায় ১০ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) শামুসুল হুদার করা মামলায় প্রথম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শ্রীপতি পাল জানান, দি নেগোসিয়েশবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী সাব্যস্ত করে দুটি মামলাতেই কারাদণ্ড ও অর্থদ্ণ্ড দিয়েছেন। প্রথম মামলায় ১০ মাসের কারাদণ্ড ও চেকের সমপরিমান জরিমানা দিয়েছেন। একইভাবে আরেক মামলায় সুমন কান্তি দে’কে তিন মাসের কারাদণ্ড ও চেকের সম পরিমান জরিমানা করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শামসুল হুদার কাছ থেকে দুই দফায় ১০ লাখ ও ৩ লাখ মিলে মোট ১৩ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। এর বিপরীতে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ১০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। ২ ডিসেম্বর ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক পাস হয়নি।এরপর টাকা ফেরত দিতে আসামীর কাছে ২৬ ডিসেম্বর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। অপর চেকটি দিয়েছিলেন ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর। এরপর ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন শামসুল হুদা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুমন কান্তি চট্টগ্রামের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কোম্পানির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন। বর্তমানে নগরীর সিরাজদৌল্লা রোডে শ্রীনিকেতন, রঙ্গম কনভেনশন সেন্টার, সিটি অব হার্ট কনভেনশন সেন্টার, গোপী অটোস ও গোপী ট্রান্সপোর্ট নামে গাড়ির ব্যবসা রয়েছে।

 

;

মাদক মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, স্বামীর ৪ বছর কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় লিলি বেগমের (৪০) যাবজ্জীবন ও স্বামী বকুল সিকদারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জারিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মোস্তফা শাহারিয়ার খান ওই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত লিলি বেগম জেলার ঘাটাইল উপজেলার সিংগুরিয়া গ্রামের বকুল সিকদারের স্ত্রী এবং দণ্ডপ্রাপ্ত বকুল সিকদার একই এলাকার মৃত কালু সিকদারের ছেলে।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর গোপনে খবর পেয়ে স্ত্রী লিলি বেগম ও তার স্বামী বকুল সিকদারকে উপজেলার সিংগুরিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় স্ত্রী লিলির কাছ থেকে ৩০ গ্রাম এবং স্বামী বকুলের কাছ থেকে ১৫ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় ওই দিনই তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্দ্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় জামিন পেয়ে তারা উভয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তদন্ত শেষে ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক প্রবীর চন্দ্র সরকার লিপি ও বকুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।

;

ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য না, মানুষের সেবার জন্য: হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিষয়টি নিয়ে শুনানির সময় আদালত বলেছেন, কারাগারে অধিকাংশ গরিব মানুষ থাকে। চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এই গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান। ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য না, ক্ষমতা মানুষের সেবার জন্য বলে মন্তব্য করেন আদালত।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ জুন) শুনানি হয়। রিটের পক্ষের এডভোকেট মো. জে আর খান রবিন এ কথা জানান।

কারা অধিদফতরের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী এটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

আইনজীবী মো: জে আর খান রবিন আদালতে বলেন, কারাগারে শূন্যপদে এখনও চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। তখন আদালত বলেন, বাংলাদেশে তো ডাক্তারের অভাব নেই। রাস্তায়ও ডাক্তার ঘুরতে দেখা যায়। বেসরকারি মেডিকেল থেকেও অনেকে ডাক্তারি পড়ছেন। কারা অধিদফতরের আইনজীবী বলেন, ১৪১ পদের মধ্যে ১২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা তাগাদা দিচ্ছি।

আদালত স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারা অধিদফতরের মহাপরিচালকের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিঠি চালাচালি থেকে বের হয়ে দ্রুত নিয়োগ দিন। এতদিনেও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারলেন না। ক্ষমতা অ্যাবিউজ করার জন্য না, ক্ষমতা মানুষকে সেবার জন্য। এটা মনে রাখবেন।

আদালত বলেন, কারাগারে তো গরিব মানুষ থাকে। ধনীরা কারাগারে গেলেও তাদের জন্য ডিভিশনের ব্যবস্থা থাকে। তাই কারাগারে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে গরিব মানুষকে বাঁচান। এরপর আদালত এক মাসের মধ্যে কারাগারের শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন।

;

রংপুরে হত্যা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে হত্যা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

রংপুরে হত্যা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মী সোনা মিয়াকে হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ জুন) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শহীদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী।

তিনি বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদনের শুনানি শেষে তার নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তার সমর্থকরা বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান শেষ না করেই বাণিজ্যমন্ত্রী চলে যান।

বিকেলের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুকুল মিয়ার ভাই সোনা মিয়াকে বাজারে একা পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

নিহত সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।

এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে সোনা মিয়ার ছেলে আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ ৭৬ জনের নামে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

;