বিজিবির ফৌজদারি মামলার এখতিয়ারের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ফৌজদারি মামলা দায়েরের এখতিয়ারের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। ফলে বিজিবি এখন থেকে মামলা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

তবে বিজিবির মামলা দায়েরের এখতিয়ার নিয়ে জারি করা রুল বহাল রেখেছেন আদালত।


এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের এখতিয়ারের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন একই বেঞ্চ।

বিজিবির দায়ের করা একটি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

একইসাথে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ১৪ জুন এই রুলের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০২২ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করে। বিজিবি এ ঘটনায় ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে এ মামলার চার্জশিট দিলে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। পরে আসামি কামরুজ্জামান খান এ মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের শুনানিতে বিজিবির ফৌজদারি মামলা দায়েরের আইনগত এখতিয়ার রয়েছে কিনা এ প্রশ্ন ওঠে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যে কেউ মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজিবিও এর বাইরে নয়।’

আদালত বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনের কোথাও বিজিবিকে মামলা দায়েরের ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি দেখতে পাওয়া গেল না।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।

   

নতুন প্রধান বিচারপতিকে কোর্ট রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের শুভেচ্ছা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নব-নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে কোর্ট রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কোর্ট রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট রুবেল হাওলাদারের নেতৃত্বে নতুন প্রধান বিচারপতির চেম্বারে গিয়ে এ ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোর্ট রিপোর্টাস এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মো. শাহজাহান খান, আশরাফ উল আলম, চৈতন্য চন্দ্র হালদার, মো. মুনজুর আলম, কোষাধক্ষ মো. মিজানুর রহমান ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহেদুন্নবী বিপ্লব।

উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

;

মামলা খারিজের প্রতিবাদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটাধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় নয় পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ইউনাইটেড ল'ইয়ার্স ফ্রন্টের ঢাকা বার ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার নিম্ন আদালত এলাকায় তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী, ইকবাল হোসেন, খোরশেদ মিয়া আলমসহ অনেক বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অংশ নেন।

পরে সিএমএম আদালতের সামনে তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, আমদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার সকালে মামলা করি। বিকেলে মামলাটি খারিজ করা হলো। আইনজীবীদের ওপর হামলার মামলা করলে সিএমএম সাহেবরা খারিজ করে দেন। পুলিশ দিয়ে রাতের ভোট হয়। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করলে তা খারিজ করা হয়। আইনজীবীদের মন থেকে তো খারিজ হয়নি। আমরা আমাদের এক দফার আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তত্ত্বাবধায়কের সরকারের আন্দোলন আরও বেগবান হবে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন মিয়া মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। মামলা গ্রহণের মতো কোন উপাদান না থাকায় বিকেলে মামলা খারিজের আদেশ দেন।

;

দুই এডিসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জজ কোর্টে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় কোতয়ালী জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুহিত কবিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতা মহসিন মিয়া এ মামলার আবেদন করেন।

মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- লালবাগ জোনের এডিসি শহিদুল ইসলাম, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান শাহীন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) নাজমুল হাসান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। (তদন্ত) মেহেদী হাসান, এসআই মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, কনস্টেবল মো. মাহাবুব আলম, আব্দুর রশীদ ও রমজান মোল্লা।

সে সময় বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দিবেন বলে জানান। আবেদনে মামলা গ্রহণের মতো উপাদান না থাকার কারণ দেখিয়ে বিকালে আদালত তা খারিজ করে দেন।

আবেদনে বলা হয়েছিল, গত ১২ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট ঢাকা বার ইউনিট ভোটাধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পদযাত্রার আয়োজন করে। বেলা ১২ টার দিকে তারা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে পদযাত্রা নিয়ে সিএমএম কোর্টের দিকে যাচ্ছিল। মেইন রোডে গেলেই পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও অশোভন আচরণ করে। পদযাত্রার সামনে থাকা নারী আইনজীবীরা এর কারণ জানতে চাইলে পুলিশ আইনজীবীদের বেধড়ক মারধর শুরু করে। এতে কয়েকজন নারী আইনজীবী আহত ও শ্লীলতাহানির শিকার হন। পেছনে থাকা পুরুষ আইনজীবীরা এগিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে সিনিয়র আইনজীবীসহ কয়েকজন আহত হন।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আইনজীবীদের গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্য আক্রমণ করে তাদের গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। 

;

ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্স।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার জামিন চেয়ে শুনানি করে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিন আক্তার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সাথে তার বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাদী ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টায় তার আত্নীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে আসামি জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে।

২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ওই নারী। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।

গত ২৫ জুলাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বর্তমানে বরখাস্ত আছেন। তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।

;