ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সস্ত্রীক ৪ দিনের রিমান্ডে
গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে ৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান এই আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
রিমান্ড শুনানিতে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে বিচারক বলেন, বাসাটা তো মৃত্যকূপ বানিয়ে রেখেছেন, জাস্ট মৃত্যুকূপ। আপনাদের ছেলে-মেয়ের সাথেও এমনটা ঘটতে পারতো। রিপিটেডলি ঘটনা, এর দায় এড়াতে পারেন না।
- ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের জামিন নামঞ্জুর, জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
- ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু
- গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক আটক
- গৃহকর্মীর অবহেলাজনিত মৃত্যু: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা
- ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের ফাঁসির দাবি স্থানীয়দের
- গৃহকর্মী প্রীতির মৃত্যু নিয়ে রহস্য
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোড এলাকায় বহুতল ভবনের অষ্টম তলা থেকে ফেলে প্রীতিকে হত্যার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক (৬৫), তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার (৪৭) নামে নিহত প্রীতির বাবা লুকেশ ওরাং বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ আগস্টও একই ধরনের ঘটনা ঘটে আশফাকুল হকের বাসার। সেবার ৯ বছরের এক শিশু গৃহকর্মী লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া হক ও শিল্পী নামের আরেক নারীকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা। সেই মামলা এখনও চলছে।