বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে ৯ বছর আগে এক বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মো. জালাল (২৮) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। একই রায়ে দণ্ডিত আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণি এ রায় দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হাবিবুর রহমান আজাদ।

বিজ্ঞাপন

দণ্ডিত আসামি মো. জালাল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে। তিনি পেশায় পোশাক শ্রমিক। কাজের সুবাদে জালাল স্ত্রীকে নিয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শহীদ কলোনিতে থাকতেন।

আদালত সূত্র জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ মার্চ জালালের হাত ধরে চট্টগ্রাম শহরে আসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাকপ্রতিবন্ধী ওই তরুণী। পরে তার মাধ্যমে চান্দগাঁও এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় উঠে সে। পরে জালাল তাকে পোশাক কারখানায় চাকরি পাইয়ে দেয়। একই বছরের ১৯ মার্চ জালালের স্ত্রী পোশাক কারখানায় চাকরি যান। ওইদিন চাকরিতে যায়নি জালাল এবং ওই তরুণী। বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ বাসার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে জালাল। পরে পুলিশ জালালকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনের ঘটনা স্বীকার করেন। ময়নাতদন্তেও হত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে জালালকে একমাত্র আসামি করে চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ জালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় আট জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান আজাদ জানান, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত করতে সক্ষম হওয়ায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি জালাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।