আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রচার করার অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য কামরুন নাহার লিজার বিরুদ্ধে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগটি করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির আরেক সদস্য সোমাইদ শাহারিয়া। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বার কাউন্সিলের সচিবের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন।
খন্দকার হাসান শাহরিয়ার নামে এক আইনজীবী অভিযোগ দায়েরের রিসিভিং কপি ফেইসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি জানান, পেশাগত অসদাচণের অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে বার কাউন্সিলের সচিব বরাবরে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
এরপরের পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, সচিব অভিযোগ প্রাপ্তির পর তা বার কাউন্সিলের এক ট্রাইব্যুনালে পাঠাবেন। ট্রাইব্যুনাল এরপর সচিবের মাধ্যমে অভিযুক্ত আইনজীবীকে শো-কজ করবেন। অভিযুক্ত আইনজীবী আত্মপক্ষ সমর্থন করে শো-কজের জবাব দিবেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করবেন তিনি পেশাগত অসদাচারণ করেছেন কী-না।
অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে অভিযোগকারী আইনজীবী সোমাইদ শাহারিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেম্বারে আসুন, সব বুঝিয়ে বলা হবে। প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে এ মূহুর্তে তার চেম্বারে যাওয়া সম্ভব নয় জানানো হলে তিনি মুঠোফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। অভিযোগ করেছেন কিংবা করেননি শুধু হ্যাঁ বা না বলতে বলা হলে তিনি তাও বলতে অস্বীকৃতি জানান।
অভিযুক্ত আইনজীবী কামরুন নাহার লিজা মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, আপনাদের মতো আমিও ফেইসবুকে এ টুকুই জেনেছি। আসলে কী অভিযোগ করা হয়েছে তার কিছুই আমি জানি না। আমি বিস্তারিত জেনে এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানাবো।
খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভাইরাল এক টিকটকারকে সাথে নিয়ে তিনি একটি ভিডিও তৈরী করেন। তাতে তিনি আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
বাংলাদেশ শিক্ষানবিশ আইনজীবী সমিতি নামক একটি ফেইসবুক পেইজে মেহেদী হাসান সোহেল সরকার নামে এক আইনজীবী ভিডিওটি পোস্ট করেন। তাতে ভাইরাল টিকটকার প্রিন্স মামুনকে পাশে নিয়ে আইনজীবী লিজাকে বলতে শোনা যায়, “আমি বলছি না যে আমার কাছেই আসতে হবে। আইনি সমস্যা প্রত্যেক ফ্যামিলিতে হয়। ব্যক্তিগত জীবনেও হতে পারে। যে কেউ ঝামেলায় পড়লে আমার সাজেশান হচ্ছে আপনার পরিচিত যে ল’ইয়ার আছে, সাথে সাথে তার সাথে যোগাযোগ করবেন এবং তার কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন যে এরপর আমি কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।”
এরপর পাশে থাকা একজন তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “যদি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চায় তাহলে কীভাবে করবে? উত্তরে লিজা বলেন, “আমার চেম্বারে চলে আসবেন সরাসরি। আমার চেম্বার হচ্ছে কাকরাইল এসএ পরিবহনের পাশে আমিন মোহাম্মদ বিল্ডিংয়ের লিফটের ৭।
এরপর মামুন বলেন, “এ ঠিকানায় চলে আসবেন, তাহলে কিন্তু লিজা আপুকে পেয়ে যাবেন।”