টাঙ্গাইলে আ. লীগ নেতা ফারুক হত্যা: ২ জনের যাবজ্জীবন, খালাস ১০
-
-
|

আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক
এক যুগ আগে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত না হওয়ায় ১০জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসানের আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন, আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন, সানিয়াত খান বাপ্পা, মাসুদুর রহমান, ফরিদ হোসেন, নাসির উদ্দিন নুরু, আলমগীর হোসেন চাঁন, ছানোয়ার হোসেন ও দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙা বাবু।
রায় ঘোষণার সময় আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি এ মামলায় জামিনে থাকলেও অন্য মামলায় কারাগারে আটক আছেন। বিচার চলাকালে আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা ও সমির মিয়া মারা যান।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরে আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুককে তার বাসার সামনে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত চলাকালে খান পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আনিসুল ইসলাম রাজা এবং মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
হত্যাকাণ্ডের তিন বছর বাদে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যেতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করে হত্যা করে।