পাঠাও চালক মিলনের চিকিৎসার বিষয়ে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
রাইড শেয়ারিং আ্যাপ `পাঠাও’ চালক মিলনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার চিকিৎসার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে নিহত মিলনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আহত মিলনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হলো এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট কী চিকিৎসা দিল—এ বিষয়ে দুই পরিচালককে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে শুনানি করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী এম. সাইফুদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
গত ২৫ আগস্ট রাত সোয়া ২টার দিকে মোটরসাইকেলে আরোহী নিয়ে মালিবাগ থেকে শান্তিনগর যাচ্ছিলেন মিলন। উড়ালসড়কে ওঠার পর মিলনের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। ওই অবস্থায় দৌড়ে উড়ালসড়ক দিয়ে নেমে আসেন তিনি। এ দৃশ্য দেখে দুইজন পথচারী মিলনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শান্তিনগর মোড়ের টহল পুলিশের কাছে।
এরপর দ্রুত মিলনকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সেখানে মিলনের গলায় অস্ত্রোপচার করে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়। কিন্তু রক্ত বন্ধ না হওয়ায় এবং অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা লড়াইয়ের পর মারা যান মিলন।