'নারীরা মুখ খুললে যৌন হয়রানি কমে আসবে'
যৌন হয়রানির প্রতিরোধে কমিটি গঠনের বিষয়টি আগে নিজেদের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। নিজের ঘর থেকে শুরু হলে অন্যরাও এগিয়ে আসবে। নারীদের মুখ খুলতে হবে। নারীরা মুখ খুলতে থাকলে যৌন হয়রানি অনেকটাই কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে 'যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন ও গনমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'নারীদের প্রতি একধরনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকানো হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে যৌনহয়রানির মনোভব সৃষ্টি হয়। তাই আমাদেরকে এ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।'
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে যে রায় দেয়া হয়েছিলো সে রায়টিও আইনজীবী সমিতি বা সুপ্রিম কোর্ট পালন করেননি। আমরা যখন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কমিটি নিয়ে জবাবদিহিতা চাইবো তখনতো তারা পাল্টা আমাদের কাছে প্রশ্ন তুলবে। তাই অবিলম্বে ওই রায় বাস্তবায়নের আহ্বানও জানান তিনি।
এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ) এবং আইন, আদালত ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল' রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)। আর্থিক সহযোগিতায় ছিলো ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশ। এল আর এফ সদস্যরা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, ল'রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরন, এলআরএফ'র সাবেক সভাপতি এম. বদি-উজ-জামান, বিএনডব্লিউএলএ'র অ্যাডভোকেট নাহিদা আনজুম কণা, ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ বাবলুর রহমান, পরিচালক অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জোবায়দা পারভিন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সীমা জহুর। কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এলআরএফ'র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রাজু। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক মো. মাসউদুর রহমান।