‘আইনে স্নাতক দুই হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত’



নাজমুল আহসান রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারিত আসনের চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করায় আইন বিষয়ে স্নাতক ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আসন নির্ধারণের আগেই এসব শিক্ষার্থী আইন বিষয়ে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হলেও তাদের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার নিবন্ধন ও ফরম পূরণের অনুমতি দেয়নি আইনজীবীদের তদারককারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। এরই মধ্যে নিবন্ধন ও ফরম পূরণের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব শিক্ষার্থী। ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।

এ জন্য শিক্ষার্থীরা দায়ী করছেন বার কাউন্সিলের স্বেচ্ছাচারিতা ও খাম খেয়ালিপনাকে। তাদের মতে সেমিস্টার প্রতি শিক্ষার্থীর ভর্তির তালিকা বার কাউন্সিলে পাঠানোর পর বার কাউন্সিল আপত্তি জানালে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতো না। স্নাতক হওয়ার পর শিক্ষানবীশ আইনজীবীর ফরম পূরণের সময়েও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি তাদের। নিবন্ধন কার্যক্রম শেষের দিকে এসে তাদের নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আকস্মিক এ কাণ্ডে এসব শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন।

জানা গেছে, ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো-সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি ও টাইমস ইউনিভার্সিটি ফরিদপুর।

নিরুপায় শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন ও ফরম পূরণে ব্যর্থ হয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন উচ্চ আদালতের। তাদের পৃথক রিট আবেদনে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ও ফরম পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরে বার কাউন্সিলের আবেদনে হাইকোর্টের ওই নির্দেশনা স্থগিত হয়ে গেছে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে। আগামী সোমবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, নিবন্ধন ও ফরম পূরণের বিষয়টি বিচারাধীন। ১৪ অক্টোবর আপিল বিভাগ যে আদেশ দিবেন বার কাউন্সিল তাই মেনে নিবে। শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ও ফরম পূরণের নির্দেশ দেওয়া হলে আমরা তা পালন করবো।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল ইউজিসি আইন বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৫০ জনের আসন নির্ধারণ করে দেয়। ওই নির্দেশনা অনেকে মানেনি। যারা নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিল তাদেরই নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। আমরা এখানে ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেছি মাত্র। তিনি জানান, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি একটি ব্যাচে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিল। এতো শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন কি ইউজিসি দিয়েছে? তাদের নিবন্ধন দেওয়া কি ঠিক হবে?

অন্যদিকে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ৪১ শিক্ষার্থীর রিট আবেদনের আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল আইন বিষয়ে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইউজিসি। তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির তালিকা পাঠায় বার কাউন্সিলে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ৫৫ ব্যাচে ৮৭ জন, ৫৬ ব্যাচে ১০ জন এবং ৫৭ ব্যাচে ১১০ জন ভর্তি হয়েছিল। এ তালিকা পাঠানোর পর বার কাউন্সিল কোন প্রশ্ন বা আপত্তি জানায়নি। এখন কেন এই তিনটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন দিচ্ছে না?

এই আইনজীবী বলেন, ১৫ বছর আগে স্টামফোর্ড, ইস্টার্ন, সাউথইস্ট, নর্দান ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আরো কয়েকটি ইউনিভার্সিটি আইন অনুষদ চালু করে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি সামার, ফল ও স্প্রিং সেমিস্টারে ভর্তি হয় ১২০ জন করে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলোতে ভর্তি হয় ৫ জন। এতো কম শিক্ষার্থী নিয়ে তারা ইউনিভার্সিটি চালাবে কিভাবে? তাদের আইন অনুষদে ৭০ জনের মতো করে শিক্ষক রয়েছে। তারা এতো কম শিক্ষার্থী নিয়ে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাবে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল আপিল বিভাগের রায়ে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতার বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। যেহেতু ভূতাপেক্ষতার বিষয় নেই সেহেতু আমরা ভবিষ্যতের বিষয় বলে ধরে নিতে পারি। স্টামফোর্ডের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছিল ২০১৪ সালে। চার বছর পর ২০১৭ সালের রায়ের দোহাই দিয়ে তাদের নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না এটা বার কাউন্সিলের বিমাতাসূলভ আচরণ। এ চার বছর ওরা পড়লো কেন?। ২০১৪ সালে যখন শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠানো হলো তখন না করলে তারা ভর্তি হতো না।

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে স্নাতক শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি আইন অনুষদে ভর্তি হয়েছিলাম ২০১৪ সালের ৯ মার্চ। আমার সেমিস্টার শুরু হয় ওই বছরের ১৫ এপ্রিল। আটদিন পর ইউজিসি ৫০ আসন নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। স্বাভাবিকভাবে আমি ওই বিজ্ঞপ্তির আওতায় পড়ি না। তাছাড়া আমাদের সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের তালিকা বার কাউন্সিলে পাঠানোর পর তারা আমাদের নিষেধ করেনি। আমি শিক্ষানবীশ আইনজীবীর ফরম পূরণ করেছি ১৭ মাস হলো। গত এক বছর ধরে পরীক্ষার জন্য কোচিং করেছি। এখন আমাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা বার কাউন্সিলের স্বেচ্ছাচারিতা ও খামখেয়ালিপনা।

আগামী ২২ নভেম্বর বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা হবে। এক দফা সময় বাড়ানোর পর গত ৩ অক্টোবর নিবন্ধন ও ফরম পূরণের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণের শেষ সময় ছিল।

এর আগে ঢাকা ইন্টারন্যাশনালের ৭৫ জন, স্টামফোর্ডের ৪১ জন, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ৬৫ জনসহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ে স্নাতক শিক্ষার্থীদের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় নিবন্ধন ও ফরম পূরণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু ইস্টার্ন ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনালের রিটে হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার জজ আদালতে আটকে গেছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) এ বিষয়ে আপিল বিভাগের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। গত ১ অক্টোবর বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ এপ্রিল ২০১৪ সালের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) স্মারক উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এলএলবি প্রোগ্রামে প্রতি সেমিস্টারে সর্বোচ্চ ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করে। ওই নির্দেশনার আলোকে সেমিস্টার প্রতি ৫০ জনের বেশি কোন এলএলবি (অনার্স) শিক্ষার্থীকে বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট (তালিকাভুক্তি) পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদান করবে না।

   

পদে থেকেই উপজেলায় প্রার্থী হতে পারবেন ইউপি চেয়ারম্যানরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পদত্যাগ না করেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক।

কুষ্টিয়া ও সিলেটের দুটি উপজেলা নির্বাচনের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আদেশ দিয়েছেন আদালত।

;

কুমিল্লায় পারভেজ হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যা মামলায় একই উপজেলার কালিবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সেকান্দার আলীসহ ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ও ৩ পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার ধনুয়াখালী এলাকার মৃত হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সেকান্দর আলী (৬৪), একই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. শাহীন (৩৯), সৈয়দপুর এলাকার আব্দুস সাত্তার এর ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২), কমলাপুর এলাকার মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২১), যশপুর এলাকার মৃত আহমেদ আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, কমলাপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. জয়নাল মাস্টারের ছেলে মো. কায়সার (৩২), কমলাপুর এলাকার মৃত মনিরের ছেলে মো. রিয়াজ (৩৩), মনশাসন এলাকার শফিক মেম্বার এর ছেলে বিল্লাল, কমলাপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে কামাল হোসেন, কালির বাজার ইউনিয়নের আবদুল ওহেদ এর ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল (৪৫), রায়চোঁ এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান, সৈয়দপুর এলাকার মৃত হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, নারায়নসার এলাকার মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে আনোয়ার।

মামলার তথ্যমতে, ২০২০ সালের ১০ জুন কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে কবরস্থান সংলগ্ন বাগানে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা পারভেজকে নির্মমভাবে হত্যা করে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী এবং তার বাহিনীর ক্যাডারেরা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম জানান, এই চাঞ্চল্যকর পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে এজাহারে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। এই ঘটনায় চারজন আসামির ১৬৪ ধারা জবানবন্দি ও ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত ১৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। রায়ের সময় ১৪ জন আসামির মধ্যে ১১ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাকী ৩ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।

;

চট্টগ্রামে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের মামলায় যুবকের ২২ বছর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের রাউজান থানায় রাবার বাগান থেকে ৫ বছর আগের অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের একটি মামলায় মো. আলমগীর নামরে এক যুবকের ২২ বছরের কারাদণ্ডের দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১৫ এর বিচারক আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আলমগীর প্রকাশ আলম ডাকাত (৪৬) রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির মো .আবদুল ছাত্তারের ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর রাউজান থানার পূর্ব রাউজান গ্রাম রাবার বাগান ঘোড়া সামছু টিলার এলাকা থেকে মো. আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় দেশি তৈরি কারখানা থেকে ১০টি দেশি তৈরি শর্টগান সদৃশ বন্দুক, ১টি গ্যাস গান, ৫টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, ১টি পুরাতন ম্যাগাজিন, ৭টি কার্তুজের খোসা, ৩টি দেশীয় তৈরি এক নালা বন্দুক ও ২৭টি কাঠের বাটসহ দেশীয় তৈরি অস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাউজান থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইমুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাফেজ আহম্মেদ জানান, সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. আলমগীরকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

কার্তুজের জন্য ৭ বছর কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। মোট ২২ বছর কারাদণ্ড দিলেও দুটি কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে, আসামি আলমগীরকে ১৫ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

স্ত্রী জামিন পেলেও পাননি ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আশফাকুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।

শুনানির পর খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, এটা জামিনযোগ্য অপরাধ। আশফাকুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে এবং তানিয়া খন্দকারকে অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন।

এর আগে গত ২১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। প্রীতি ওড়ান নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনের বাসিন্দা ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতেন।

এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান।

মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ৩০৪ (ক) ধারায় অভিযোগ করা হয়। এরপর ৬ জানুয়ারি তাদের গ্রেফতার করা হয়। ৭ জানুয়ারি আদালত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদের তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন । ১৮ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

ঘটনার পরিক্রমায় গত ২ এপ্রিল ডেইলি স্টার থেকে সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

;