ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন হবে কি না জানা যাবে ৩ নভেম্বর
ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদনের ওপর ৩ নভেম্বর আদেশ দিবেন হাইকোর্ট। ওইদিন জানা যাবে তার জামিন হবে কি না।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ ও রানা কাওসার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরওয়ার হোসেন বাপ্পী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহানা পারভীন। বাদী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন।
আইনজীবী সাইয়েদুল হক সুমন জানান, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। ৩ নভেম্বর জানা যাবে তার জামিন হবে কি না।
গত ১৪ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী জানান হাইকোর্টে জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় আছে। এজন্য সময় চাইলে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশ দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন। এদিন আদেশ দাখিল না করা হলে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে বলে আদেশে বলেন বিচারক।
বর্তমানে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
গত ২৭ আগস্ট ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
এর আগে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হলে ৯ জুলাই বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ তা উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
গত ১৬ জুন রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ জুন তাকে সোনাগাজী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ৩০ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানার পক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
একই দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ জুন দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৭ জুলাই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ মামলায় মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।