ঋণখেলাপিদের ‘বিশেষ সুবিধা’ হাইকোর্টের রুলের রায় ৩ নভেম্বর
ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে তদন্ত কমিশন গঠন এবং ঋণখেলাপিদের ২ শতাংশ সুবিধা নিয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুলের রায় ঘোষণা করা হবে ৩ নভেম্বর (রোববার)।
রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংককে ঋণখেলাপিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট । একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে তদন্ত কমিশন গঠনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না ও এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
গত ২৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলগালা করে ঋণখেলাপিদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করে।
গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১ মে ওই বিজ্ঞপ্তির ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ৮ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। ৮ জুলাই এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়। তবে যারা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের সুবিধা নেবেন তারা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না।