কত টাকা দিতে পারবে জানাতে দুই সপ্তাহ সময় গ্রামীণফোনকে
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পাওনা (বিটিআরসি) ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে কত টাকা দিতে পারবে তা জানাতে আরো দুই সপ্তাহের সময় পেয়েছে গ্রামীণফোন।
একইসঙ্গে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে গ্রামীণফোনের পক্ষে সময় চাওয়া হলে আদালত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
গত ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বিটিআরসির আবেদনের ওপর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করে দেন।
২৪ অক্টোবর পাওনা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোন ন্যূনতম কত টাকা বিটিআরসিকে দিতে পারবে তা জানতে চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবারের (৩১ অক্টোবর) মধ্যে তা আদালতকে অবহিত করতে গ্রামীণফোনের আইনজীবীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। গ্রামীণফোনের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞাসহ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আগামী ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত ।
চলতি বছরের ২ এপ্রিল বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছিল। পরে গ্রামীণফোন ওই চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালতে মামলা করে। একইসঙ্গে ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
পরে ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।