ঋণ বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংককে ৯ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকের ঋণ বিতরণ ও আদায়ে ঘাটতি চিহ্নিত করতে ৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই কমিটির সুপারিশ ও পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

আদেশে আদালত আরও বলেছেন, গত ১৬ মে ২ শতাংশ ঋণ সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি আইনত বৈধ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এখতিয়ার রয়েছে এ ধরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করার। এ বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ আরও ৯০ দিনের জন্য বাড়াতে পারবে কর্তৃপক্ষ। খেলাপিদের নতুন ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা বিজ্ঞপ্তির আলোকে ১৫% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে আবেদন করতে হবে।

রোববার (৩ নভেম্বর) ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে কমিশন গঠনের রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।

পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, অর্থ হচ্ছে অর্থনীতির রক্ত। এর সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকা দরকার। মানবদেহে হৃৎপিণ্ড যেমন রক্ত সঞ্চালন করে তেমনি অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যম ব্যাংক।

পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, দেশে কয়েকটি আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটেছে। এর মধ্যে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি উল্লেখযোগ্য। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন আর্থিক অনিয়ম রোধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে তদন্ত কমিশন গঠন এবং ঋণখেলাপিদের ২ শতাংশ সুবিধার রুলের রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি ও ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

আদেশের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন সেই রকম নয়জন ব্যক্তিকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে, সেই কমিটি সরকারি বেসরকারি সকল ব্যাংকের যে দুর্বলতা, বিশেষ করে ঋণ পরিশোধ, ঋণ অনুমোদন এবং সংগ্রহে অনিয়মসহ সব বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করবেন। সেখানে তারা এগুলো তৈরি করে কি কি উপায়ে এগুলো দূর করা যায় তা সুপারিশ করবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই সুপারিশ করবে।

২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১২ সালের ‘মাস্টার সার্কুলার অন লোন রিশিডিউল’ সংক্রান্ত সার্কুলার-যেটাতে বলা আছে কেউ যদি ঋণ পুন:তফসিলের সুযোগ গ্রহণ করে পরবর্তীকালে সে যদি ঋণ নিতে যায় তার কাছে যে ঋণ পাবে তার ১৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে। এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এবং সিআইবিতে তার নাম পাঠাতে হবে।

আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আদালত বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি কমিটি করতে বলেছেন। কমিটির কাজ হচ্ছে- ব্যাংকিং সেক্টরে অনিয়ম কেন হয়েছে সেটি তদন্ত করে দেখে প্রতিবেদন তৈরি করবে।

আইনজীবী মুনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময়েই বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিটির পরামর্শ নিয়ে কাজ করে থাকে। আমি মনে করি আদালতের আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজে প্রভাব পড়বে না।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিট অনিয়ম রোধে কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি দায়ের করে। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি ঋণখেলাপিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট । একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে তদন্ত কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না ও এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

পরে গত ২৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলগালা করে ঋণখেলাপিদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করে। সিলগালা থাকায় ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ হয়নি।

এরমধ্যে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে খেলাপি ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে এইচআরপিবির সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১ মে ওই বিজ্ঞপ্তির ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ৮ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। ৮ জুলাই এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়।

আপিল বিভাগ তখন বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চকে রুল নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;