নাইমুলের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নাইমুল আবরার, ছবি: সংগৃহীত

নাইমুল আবরার, ছবি: সংগৃহীত

রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলা ও তার বাবার দায়ের করা মামলা একত্র করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনা তদন্ত করে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধির ৩০৪-এ ধারায় মামলা করেন নাইমুলের পিতা মো. মজিবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান ও কিশোর আলোর অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মামলায় আসামি করা হয়েছে।

আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় নাইমুলের পিতা মজিবুর রহমান সন্তানের মৃত্যুতে দায়ীদের বিচার দাবি করেন।

গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল আবরার। অনুষ্ঠান চলাকালে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই মাঠে স্থাপিত জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পের দু’জন বিশেষজ্ঞ (এফসিপিএস) চিকিৎসক নাইমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যে কেউ মারা যেতে পারে জেনেও আসামিরা বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে যেরূপ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা ছিল আসামিরা তা গ্রহণ করেননি। এছাড়া নাইমুল বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার পর তাকে নিকটবর্তী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে দূরবর্তী মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। এতে অনেক সময় অপচয় হয়।

মামলায় বলা হয় নাইমুলের মৃত্যুতেও আসামিরা অনুষ্ঠান বন্ধ না করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যান। এছাড়া নাইমুলের বাবা-মা তথা তার পরিবারের কাউকে জানানো হয়নি। সহপাঠীর মাধ্যমে তারা নাইমুলের বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার সংবাদ পান।