ওসি মোয়াজ্জেম আদালতে, রায় দুপুর ২টায়
ফেনীর সোনাগাজী থানার মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের জবানবন্দীর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের মামলার রায় দুপুর ২টায় ঘোষণা করা হবে।
ইতোমধ্যে মামলার আসামি ওসি মোয়াজ্জেমকে আদালতে আনা হয়েছে। সকাল পৌনে ১০ টায় তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ১৪ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন মোয়াজ্জেম।
রায় ঘোষণার আগে মামলার বাদীসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ১৬ জুন বিকালে হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন তাকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানার প্রত্যাহার করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ওইদিন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দী রেকর্ড করে ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দেন।
পিআইবি ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করলে গত ২৭ মে ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
জবানবন্দি দেওয়ার সময় বাদী সুমন বলেছিলেন, যৌন হয়রানির বিষয়ে নুসরাত থানায় অভিযোগ করতে গেলে আসামিসহ তাকে থানায় নেওয়া হয়। সেই সময় ওসি মোয়াজ্জেম তাকে আপত্তিকর জেরা করেন ও জেরার ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ১১ এপ্রিল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তিনি তা ছেড়ে দেন। থানার ভেতরে এমন ভিডিও ধারণ করা ও সোশ্যাল মিডিয়ার ছেড়ে দেওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ।
গত ১০ এপ্রিল অগ্নিদগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।