রায় ভিন্ন দিকে ঘোরাতে চেয়েছিল আসামিরা



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় অপরাধের বিষয়ে চার্জগঠনের পর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের কোনো পর্যায়ে আসামির কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আইন তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়। সে সময় আসামি নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার জন্য ডকুমেন্টস দাখিল করতে পারেন। কোনো কথা বলার থাকলে বলতে পারেন। কিংবা তার সমর্থনে আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির করতে চাইলে সে সুযোগ পেতে পারেন।

গত ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার আগে ৩০ অক্টোবর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। তারও আগে চার্জশিটের ২১১ সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নেয় ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্যগ্রহণের সময়ই আসামিরা বুঝে যায় মামলার রায় কী হতে পারে। শেষ চেষ্টা হিসেবে তারা রায় ভিন্নদিকে ঘোরানোর পরিকল্পনা করে। আর এজন্য তারা বেছে নেন ৩০ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিনকে।

হলি আর্টিজান মামলার রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ট্রাইব্যুনালে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিয়ে রায় ভিন্ন দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেন। অন্য আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিতভাবে বক্তব্য দিলেও রাজীব গান্ধী মৌখিকভাবে তার বক্তব্য ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করেন। কৌশলী বক্তব্যে তিনি হলি আর্টিজান হামলার আগের দিন পর্যন্ত বসুন্ধরার সেই বাড়িতে (যে বাড়িতে আত্মঘাতী ৫ সদস্য ছিলেন) অবস্থানের কথা বললেও হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণের কথা এড়িয়ে যান। একইসঙ্গে অপর জঙ্গিদের বাঁচানোরও চেষ্টা করেন তিনি।

ওইদিন রাজীব গান্ধী ট্রাইব্যুনালে বলেন, আমি ২০০২ সালে জেএমবিতে যোগদান করি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করি। এ সময় ইরাক ও সিরিয়ায় খেলাফত ঘোষণা করা হলে আমি তামিম চৌধুরী ও সরোয়ার জাহানের মাধ্যমে বায়াত (অনুগত্য স্বীকার) গ্রহণ করি। তারা আমাকে আইএস’র উত্তরবঙ্গ শাখার দায়িত্ব দেন।

রাজীব গান্ধী বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করি। জাপানি নাগরিক হোশে কুনিও এবং কুড়িগ্রামে মুসলিম থেকে খ্রিস্টান হওয়া হোসেন আলীকে হত্যা করি। এরকম বেশ কিছু অভিযান আমি পরিচালনা করি।

২০১৬ সালের ১ মার্চ মারজান আমাকে থ্রিমা অ্যাপসের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের ফুড ভিলেজ হোটেলে ডেকে নেন। তাদের নিয়ে আমি বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করি। ওই বছরের ১৬ মে মেজর জাহিদ এপসের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে আমাকে দেখা করতে বলেন। ওখানে স্বপন, বাধন, উজ্জানসহ তিনজনের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে মেজর জাহিদ তাদের নিয়ে চলে যান। আমি জানতে পারি গুলশানে একটি হামলার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণে নতুন পরিচিত মেজর জাহিদ, সারোয়ার, মানিক তারাও ছিলেন।

ওই বছরের ২০ মে তামিম চৌধুরী আমাকে চিড়িয়াখানা ডেকে নেন। সেখানে তামিম চৌধুরী, মানিক, চকলেট, নাইম ওয়াসিম, তারেকসহ কয়েকজনকে একসঙ্গে দেখতে পাই। তামিম, সরোয়ারকে কিছু গ্রেনেড সংগ্রহ করতে বলে। চকলেট, নাইমকে অস্ত্র সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন।

গান্ধী আরও বলেন, বসুন্ধরার একটি বাসায় তারা আমাকে নিয়ে যায়। ওখানে ঢুকে বেশ কিছু ব্যক্তিকে আমি দেখতে পাই। মানিক, তানভির, কাদেরীসহ গুলশান হলি আর্টিজানে নিহত ৫ জনকে আমি দেখতে পাই। একদিন পরে মারজান বসুন্ধরার বাসায় আসে। হলি আর্টিজানের হামলার নিহত তিনজন আমার রুমে থাকতো।

হামলার জন্য যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা সেগুলো সংগ্রহ করে ওই বাসায় নিয়ে আসে। কোথাও হামলা করা হবে জানতাম তবে কোথায় তা জানতাম না।

২০১৬ সালের ২৭ জুন জানতে পারি তামিম চৌধুরী হামলার স্থান দেখে এসেছেন। এর কয়েকদিন পর তামিম চৌধুরী আমাকে বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন।

তার আগে তামিম জানান, ১ জুলাই সন্ধ্যা ৮টার সময় ঢাকায় হামলা করা হবে। কোথায় হামলা করা হবে সে কথা গোপন রাখার নির্দেশ রয়েছে বলে জানায় সে। তামিম আরও বলেন, আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আপনারা যেখানে বাসা নিয়েছেন চলে যান। তখন আমি বাসার উদ্দেশে রওনা দেয়। তামিম চৌধুরী অ্যাপসের মাধ্যমে হামলার আপডেট জানান। হামলায় দলের যারা নিহত হয়েছেন তারা যেন শহীদের মর্যাদা পায় বলেও জানান।

৩ জুলাই তামিম চৌধুরী পুনরায় ঢাকা মিরপুরে ১০ নম্বরে ডাকে আমাকে। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গা রেকি (আক্রমণপূর্ব পর্যবেক্ষণ) করতে বলে। ১০ জুলাই উত্তরবঙ্গের দাওয়াত বিভাগের প্রধান রজবকে কল্যাণপুর রিসিভ করতে গিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কাছে ধরা খায়।

রাজীব গান্ধী বলেন, ওই দিন থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তারা আমাকে গ্রেফতারের বিষয়টি গোপন রাখে। ওরা আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়েছে। যারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত না তাদেরও আমার মাধ্যমে জড়ানো হয়েছে। এখন যাদের এ মামলার আসামি করা হয়েছে তারা কেউ হলি আর্টিজান হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। এদের কাউকে আমি কখনও দেখিনি।

এভাবে আসামি রাজীব গান্ধী হলি আর্টিজান হামলায় নিজেকে না জড়ালেও অন্যান্য খুন ও গুলশানের একটি স্থানে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। একইসঙ্গে অপর আসামিদের বাঁচাতে তাদেরকে পরিকল্পনার কোনো পর্যায়ে কিংবা হামলার বিষয়ে না জড়িয়ে তাদেরকে চিনেন না মর্মে বক্তব্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিলেন। বাঁচাতে চেয়েছিলেন অপর জঙ্গিদের।

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। রায় ৮ আসামির ৭ জনকে ফাঁসির দণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।

   

সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য ফেরত বৃদ্ধা রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগম (৬০) হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা প্রথম আদালতের বিচারক জজ মো.ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল জলিল ওরফে কালু একই উপজেলার নগরীকাপন গ্রামের মৃত আব্দুল কাছিমের ছেলে। পাশাপাশি রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন- সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন ।

মামলার সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার এক বছর আগে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগম। সন্তানরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করায় তিনি ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার নিজ বাসায় একা থাকতেন। তার ভাই মামলার বাদী আব্দুল কাদির ও আব্দুল খালিক বোনের দেখাশোনা করতেন। ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগমের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা বলেন তার ভাই আব্দুল কাদির। এরপর ফোন বন্ধ পেয়ে ৩০ জুলাই বাদীর ছোট ভাই আব্দুল খালিক তার ছেলে আব্দুস সামাদকে পাঠালে ঘরের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ দেখে বাড়িতে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে ফের রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় গিয়ে কলিং বেল দিলেও কোনো সাড়া শব্দ মেলেনি। ঘটনাটি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ছেলেমেয়েদের জানানোর হয়। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বাসার ভেতরে ডাইনিং রুমের বাথরুমে গলাকাটা ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় রহিমা বেগম ওরফে আমিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের ধারণা, ওই বছরের ২৮ জুলাই থেকে বিকেল ৩টা থেকে ৩০ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে যেকোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ওসমানীনগরের ছোট বিরাই গ্রামের মৃত মন্তাজ উল্লাহর ছেলে আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে এক আগস্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকালে পুলিশ নিহতের পার্শ্ববর্তী বাসার জলিল ওরফে কালু মিয়াকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীর লুণ্ঠিত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার করে। পরে স্বেচ্ছায় তিনি আদালতে হত্যায় নিজেকে জড়িয়ে জবানবন্দি দেয়। তার দেখানো মতে, বসতঘর থেকে হত্যার আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জলিল ওরফে কালুকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম।

মামলাটি এই আদালতে বিচারের জন্য ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আসামির নামে বিচারক কার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানিতে ২১ সাক্ষীর ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

;

যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মালিককে খুন, যুবকের ৬ বছর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মালিককে খুনের ঘটনায় কর্মচারীকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।

দণ্ডিত মো. ইউনুছ (৩৫) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্যম সরফভাটা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১২ জুন নগরীর চান্দগাঁও বহদ্দারহাট এলাকায় হক মার্কেটে নিজের সেলাই মেশিন ওয়ার্কশপে খুন হন কামাল উদ্দিন। পরদিন সকালে কামালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাদেক চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে কর্মচারী ইউনুছকে গ্রেফতার করে। ইউনুছ খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ইউনুছ জানান, মালিক কামাল তাকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন। ১২ জুন রাতে কামাল তাকে ওয়ার্কশপে নিয়ে তিনবার যৌন নির্যাতন করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ইউনুছ কামালকে ধাক্কা দেন। কামাল আবার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তার গায়ে সেলাই মেশিন ছুড়ে মারেন। কিন্তু সেটা ইউনুছের শরীরে লাগেনি। এরপর তিনি ইউনুছকে গলাটিপে খুন করতে চান। পরে ইউনুছ কামালের গালে কামড় দেন এবং গলা চেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে কামাল মারা যান।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ২০১০ সালের ৩ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি ইউনুছের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ থেকে ৩০৪ ধারায় রূপান্তর করে এ রায় দেন। আসামি ইউনুছ জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

;

ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবীর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের তারাগঞ্জে মাদক সেবনের অভিযোগে নুর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মাদকসেবী নুর হোসেন উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকার কপার উদ্দীনের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকার অভিযান চালায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা। এসময় নিজ বাড়িতে মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে নুর হোসেনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাছে সোপর্দ করে তারা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নুর হোসেনকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।

এলাকাবাসী অভিযোগ নুর হোসেন প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে এবং যুবসমাজকে নষ্ট করছে। এর আগেও মাদক কারবারির দায়ে সে কারাগারে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রুবেল রানা বলেন, আটক ব্যক্তিকে মাদক সেবনের দায়ে কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়েছে। মাদক প্রতিরোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন।’

মো. আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

আশফাকুল ইসলাম ১৯৫৯ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ কে এম নুরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আর মাতা জাহানারা আরজু একুশে পদক প্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক।

;