ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন সেই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করায় হাইকোর্টে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী। পরে আদালত তাকে সতর্ক করে অব্যাহতি দিয়েছেন।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ বুঝতে না পারায় ভুল হয়েছে। ভবিষ্যাতে এমন ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে ক্ষমা চান তিনি।
আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অপর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান।
ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন জানান, বিচারক মো. রফিকুল বারী আদালতকে বলেছেন, উচ্চ আদালতের আদেশ বুঝতে না পারায় এমনটা হয়েছে। পরে আদালত তাকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রফিকুল বারীকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ তলব আদেশে মঙ্গলবার হাজির হন তিনি।
গত ২৭ জুন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, চাঁদা না পেয়ে মো. আতাহার আলী, সিরাজ উদ্দিন, লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়েরসহ ১৩ জন বাদীর বাবা নয় নম্বর চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকার ওপর হামলা করেন। বাদী আইনজীবী হওয়ায় তার প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় যে সমিতির সদস্যদের কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে সে মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়তে পারবেন না।
মামলার ১ থেকে ১১ নম্বর আসামিকে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সম্প্রতি আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এছাড়া ৩১ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর পরেও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বিচারক। বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে এলে ওই বিচারককে তলব করা হয়।