তারেক-ফখরুলসহ ১২ জনের মামলা তদন্তের নির্দেশ
বাদি ও প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
তারেক রহমান ও ফখরুল ইসলাম ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, দলটির মহানগর উত্তর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল সোহেল, জামায়াতে ইসলামীর রোকন ও শাহ আলী বাগদাদী (রা.) কামিল মাদ্রাসার সাময়িক বহিষ্কৃত উপাধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, মাদ্রাসার অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও আবদুল করিম, হাফেজ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, আমিনুল হক বাবু এবং ফারুক আহমদ।
এছাড়া এই মামলায় আরো ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান বাদির অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দারুস সালাম পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদি অভিযোগ করেন, এ বি সিদ্দিকী গত ৬ ডিসেম্বর শাহ আলী মাজারের কাছে গেলে ৪/৫ জন লোক নিজেদের আওয়ামী ওলামা লীগের কর্মী বলে পরিচয় দেয়।
তারা বিএনপির বিরুদ্ধে একটি মামলা করার জন্য পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে নিয়ে যেতে চায়।
কিন্তু বাদি এ বি সিদ্দিকী বুঝতে পারেন এটি মিরপুরের বিএনপি নেতা রবিউল আউয়াল সোহেলের ভবন। তিনি ভবনের ভিতরে যেতে অস্বীকার করেন।
এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, তারা বিএনপি, জামায়াতের লোক। রবিউল আউয়াল তাদের পাঠিয়েছেন তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাদি যেতে না চাইলে তারা বলেন, বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাদের নেতা (তারেক রহমান) নির্দেশ দিয়েছেন, খালেদা জিয়া এবং সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ২১ আগস্টের মতো শেখ হাসিনার পরিবার এবং তোর পরিবারের সদস্যদের আইএস দিয়ে খুন করাবো।