বুয়েটে র্যাগিং: ১০ শিক্ষার্থীর শাস্তি নিয়ে হাইকোর্টের রুল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) র্যাগিংয়ের ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীর শাস্তি আরোপের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে বুয়েটের শিক্ষার্থী মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মুনতাসির ও আদনানসহ ১০ জন রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক।
নুর উস সাদিক বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনার সঙ্গে আবরারের মৃত্যুর ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনাটি গত বছরের হলেও এর সিদ্ধান্ত হয় আবরারের ঘটনার পর।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে র্যাগিং এর প্রমাণ পাওয়ায় প্রথমে সতর্ক করে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করে। দ্বিতীয় ধাপে ৬ মাসের জন্য হল থেকে ও সাত টার্ম পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে। তৃতীয় পর্যায়ে ১৮ ডিসেম্বর আজীবনের জন্য হল থেকে এবং সাত টার্ম পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় একই ব্যক্তিদের তিনবার শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ তুলে তারা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করলে ২৩ ডিসেম্বর ৪৫০তম সভায় তা নিষ্পত্তি হয়। পরে ওই সভার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করে শিক্ষার্থীরা। এদিকে পরীক্ষা দিলেও পরবর্তীতে রুল যথাযথ না হলে তা কাজে লাগবে না বলে জানান তিনি।